May 6, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
আদালতে ট্রাম্প: বাইরে আগুনে যুবকের আত্মহত্যা

আদালতে ট্রাম্প: বাইরে আগুনে যুবকের আত্মহত্যা

আদালতে ট্রাম্প: বাইরে আগুনে যুবকের আত্মহত্যা

আদালতে ট্রাম্প: বাইরে আগুনে যুবকের আত্মহত্যা

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার চলাকালীন নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালতের বাইরে আত্মহত্যার পর এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। ম্যানহাটনের এই আদালতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিচার চলছিল। এ সময় আদালতের বাইরে ম্যাক্সওয়েল আজারেলো (৩৭) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার। এ সময় ট্রাম্প আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পর আদালত থেকে বেরিয়ে যান ট্রাম্প।

তবে ম্যাক্সওয়েল কেন এমন করেছেন তা এখনও জানা যায়নি। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের পেছনে কেউ জড়িত আছে কিনা তাও গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ম্যাক্সওয়েল সর্বপ্রথম ‘ষড়যন্ত্র-তত্ত্ব’ প্যামফলেট বাতাসে ছুড়ে দেন। এরপর নিজের শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। ম্যাক্সওয়েলকে উদ্ধার করে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

পরে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তদন্তকারীরা বলছেন, ম্যাক্সওয়েল তার পরিবারের সঙ্গে ফ্লোরিডায় থাকতেন। গত সপ্তাহে তিনি ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্কে আসেন। ম্যাক্সওয়েলকে অপরাধমূলক কার্যকলাপের সাথে যুক্ত করার কোনো তথ্য নিউইয়র্ক পুলিশের কাছে নেই। ম্যাক্সওয়েলের পরিবার জানতেন না যে তিনি ফ্লোরিডা থেকে নিউইয়র্কে এসেছেন। এমন ঘটনায় আশপাশের সবাই হতবাক।

প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ওই ব্যক্তি পার্ক থেকে হেঁটে একটি ক্যান বের করে শরীরে দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন।তার আগে হাতে থাকা কিছু কাগজ ছুড়ে ফেলেন তিনি। সেই সময়ে, ৩৭ বছর বয়সী লোকটি সম্পূর্ণ শান্ত ছিল। যদিও পুলিশ কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিভিয়ে ফেলে।

প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মানি লন্ডারিং মামলার বিচার চলাকালীন নিউইয়র্ক রাজ্যের ম্যানহাটনে আদালতের বাইরে একজন ব্যক্তি নিজেকে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন। শুক্রবার নিউইয়র্কে স্থানীয় সময় দুপুর ১টার পর এ ঘটনা ঘটে। যে যুবক নিজেকে আগুন দিয়েছে ম্যাক্সওয়েল আজারেলো।

ফ্লোরিডার বাসিন্দা আজারেলো এক সপ্তাহ আগে নিউইয়র্কে এসেছিলেন। নিউইয়র্ক স্টেটে তার পূর্বে কোনো অপরাধমূলক রেকর্ড নেই। তবে ফ্লোরিডায় বসবাসরত অ্যাজারেলোর পরিবারের সদস্যরা জানতেন না যে তিনি নিউইয়র্কে এসেছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প একসময় মার্কিন পর্ন অভিনেত্রী স্টর্মি ড্যানিয়েলের ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০১৫ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনী প্রচারের সময় এই বিষয়ে মুখ বন্ধ রাখতে স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে $১৩,০০০০ ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই অভিযোগ সংক্রান্ত মামলাটি ‘হ্যাশ-মানি’ মামলা নামে পরিচিতি পেয়েছে।

ম্যানহাটনের ওই আদালতে হ্যাশ-মানি মামলার শুনানি চলাকালীন শুক্রবার বিকেলে ট্রাম্প আদালতে উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার পর শুনানি স্থগিত হওয়ায় আদালত থেকে বেরিয়ে যান ট্রাম্পও। তবে আজজারেলোর ঘটনায় আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনো সমস্যা হয়নি। কয়েক ঘণ্টা মুলতবি থাকার পর বিকেলে আদালতে আবারও শুনানি শুরু হয়।

নিউইয়র্কের পুলিশ প্রধান জেফরি মাদ্রে সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের উদ্ধৃতি দিয়ে, ম্যাক্সওয়েল আজারেলো শুক্রবার সকাল থেকে একটি ব্যাগ এবং রাজনৈতিক প্রচারের প্যামফলেট এবং প্ল্যাকার্ড নিয়ে কোর্টহাউস এবং সংলগ্ন পার্ক এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। এরপর বেলা ১টার দিকে আদালত চত্বরের বাইরে ব্যাগ থেকে এক বোতল দাহ্য তরল বের করে নিজের গায়ে ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। মাদ্রে বলেছিলেন যে ট্রাম্পের বিচারের কারণে আদালতে যথেষ্ট পুলিশ উপস্থিতি ছিল। কর্তব্যরত পুলিশ ঘটনার কিছুক্ষণের মধ্যে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র দিয়ে আগুন নিভিয়ে তাকে হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা নেয়। আজারেলো বর্তমানে ম্যানহাটনের একটি হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন।অবস্থায় তার মৃর্ত্যু হয় ।

তার ব্যাগ থেকে তরল দাহ্য পদার্থ ও কিছু পাম্পলেট উদ্ধার করা হয়েছে। এই সমস্ত পুস্তিকা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং রাজনৈতিক প্রচারের উপর ভিত্তি করে তৈরি। এই পুস্তিকাগুলির মূল বিষয় হল ট্রাম্প এবং বাইডেন একই মুদ্রার বিপরীত দিক এবং তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একটি ফ্যাসিবাদী শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। ম্যাক্সওয়েল আজারেলো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত নন। আগুন লাগানোর আগে আজজারেলো অন্য কারো সাথে বা সোশ্যাল মিডিয়াতে কথা বলেননি। ফলে ঠিক কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করেছেন তা এখনও জানা যায়নি।

জানা যায়, এই ঘটনার সময় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার বিচারের জন্য ম্যানহাটনের আদালতে ১২ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ জুরি গঠনের কাজ চলছিল। ঘটনার পর আদালত থেকে বেরিয়ে যান ট্রাম্প।

ট্রাম্পের তৎকালীন আইনজীবী মাইকেল কোহেন ২০১৬ সালের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় প্রাক্তন পর্ন তারকা স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে প্রায় $১৩০,০০০ দিয়ে ঘুষ দিয়েছিলেন ট্রাম্পের সাথে তার যৌন সম্পর্কের বিষয়ে মুখ না খুলতে।

একটি ১২ সদস্যের জুরি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ঘুষের মামলায় ট্রাম্পের দোষ বা নির্দোষতা মূল্যায়ন করবে। আগামী সোমবার আদালতে প্রাথমিক আইনি যুক্তিতর্ক শুনানি হতে পারে। ট্রাম্পই প্রথম সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় এ মামলায় ট্রাম্পের বিচার চলবে।

    Leave a Reply

    Your email address will not be published.

    X