May 6, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি: ছুটির পরও বুয়েটে চলছে পরীক্ষা বর্জন

ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি: ছুটির পরও বুয়েটে চলছে পরীক্ষা বর্জন

ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি: ছুটির পরও বুয়েটে চলছে পরীক্ষা বর্জন

ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি: ছুটির পরও বুয়েটে চলছে পরীক্ষা বর্জন

ঈদের পর বুধবার পুরোদমে খুলেছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)। সেদিন ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১তম ব্যাচের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা। ওই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছিল মাত্র ৮ জন। বাকি ১২৭১ শিক্ষার্থীই  পরীক্ষা এড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের ২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা। তবে এই পরীক্ষায় কেউ অংশ নেয়নি।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা এখনো ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে অনড়। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সব রাজনৈতিক সংগঠন ও তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার জরুরি প্রজ্ঞাপন হাইকোর্ট স্থগিত করায় ছাত্র রাজনীতিতে আর কোনো বাধা নেই। এর প্রতিক্রিয়ায় বুয়েটের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ছাত্র রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাসের আকাঙ্ক্ষা যাবো  পুনর্ব্যক্ত করেন।

বুয়েট সূত্রে জানা গেছে, ২২তম ব্যাচে বর্তমানে সক্রিয় শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১,৩০৫। তারা কেউই পরীক্ষার হলে উপস্থিত হননি। অর্থাৎ ১০০% শিক্ষার্থী এই পরীক্ষা এড়িয়ে যায়। শিক্ষার্থীরা বলেছেন, রাজনৈতিক মুক্ত ক্যাম্পাসের দাবিতে তারা এই গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষাটি এড়িয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পরীক্ষা শুরুর নির্ধারিত সময় ছিল সকাল ৯টা। পরীক্ষার্থীরা নির্ধারিত সময়ের আগেই পরীক্ষার কক্ষে চলে যান। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি শূন্য থাকায় সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তারা পরীক্ষার হল ত্যাগ করেন।

২২তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ৩০মার্চ প্রথমবারের মতো টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করেছিল। এর আগে ১৮ এবং ২০ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন করেছিল। পরীক্ষা বর্জন ও ক্যাম্পাসে রাজনীতি বন্ধসহ ছয় দফা দাবিতে অটল তারা।

গত ২৭ মার্চ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতাদের ক্যাম্পাসে প্রবেশকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে বুয়েট। পরে এক ছাত্রলীগ নেতার করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বলেছেন, বুয়েটে ছাত্র রাজনীতিতে কোনো বাধা নেই। আদালতের আদেশের পর বুয়েটে কমিটি দেওয়ার ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ। অন্যদিকে ছাত্ররা রাজনীতি বন্ধের দাবিতে তাদের অবস্থানে অনড়। শিক্ষকরাও একই মত ও দাবি জানিয়েছেন।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী বুয়েটে রাজনীতি বন্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বার খান।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তের বিষয়ে হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ এখনো তারা পাননি। হাইকোর্টের আদেশ পেয়ে আইনি লড়াইয়ে যাবে বুয়েট।

অধ্যাপক আবদুল জব্বার খান মন্তব্য করেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা আদালত থেকে কোনো আদেশ পাইনি। আমি যতদূর জানি, ২২ এপ্রিল পর্যন্ত আদালত বন্ধ রয়েছে। পরে হয়তো আদেশ হাতে পেতে পারি। হাইকোর্টের আদেশ পেলে আমরা দেখব সেখানে কী বলা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘২০১৯ সালে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে, সেই প্রজ্ঞাপন কি স্থগিত করা হয়েছে নাকি বলা হয়েছে তা স্থগিত করা হয়েছে বা কেন স্থগিত করা হয়েছে বা কেন স্থগিত করা হবে না? নিশ্চয়ই হাইকোর্ট আমাদের কারণ দেখাবেন। যদি কারণ দেখানো হয়, আমাদের বিষয়বস্তু-মেরিট অনুযায়ী উত্তর দিতে হবে। এর বাইরে  উত্তর দেওয়ার কোনো উপায় নেই। কারণ এটা আইনি প্রক্রিয়ার অংশ।’

বুয়েটের উপাচার্য বলেন, বুয়েট কর্তৃপক্ষ আইনি প্রক্রিয়ার বাইরে থাকতে চায় বলে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। এটা আসলে মোটেও সম্ভব নয়। আমাদের অবশ্যই আইনি প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক গতিতে সাড়া দিতে হবে। আমরা শেষ পর্যন্ত আইনি প্রক্রিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আপিল বিভাগে যাব, আপিল করব। সেখানে আমরা একা নই, আমাদের ছাত্র ও প্রাক্তন ছাত্ররা আমাদের সঙ্গে থাকবে।

২০১৯ সালের অক্টোবরে, ছাত্র আবরার ফাহাদকে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের একদল কর্মী পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বুয়েট কর্তৃপক্ষ জরুরি বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করে।

প্রসঙ্গত, গত ২৭শে মার্চ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের বুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশকে কেন্দ্র করে ২৯ মার্চ থেকে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। টার্ম ফাইনাল পরীক্ষা বর্জন ও ৩ এপ্রিল পর্যন্ত অবস্থান কর্মসূচির মাধ্যমে বুয়েট ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান জানান শিক্ষার্থীরা। ছাত্রলীগের  কেন্দ্রীয় নেতা ইমতিয়াজ হোসেনকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার, ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের পদত্যাগসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের দাবি অনুযায়ী বুয়েটে রাজনীতি বন্ধে আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার কথাও জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. আব্দুল জব্বার খান।

তিনি বলেন আমাদের অবশ্যই আইনি প্রক্রিয়ার স্বাভাবিক গতিতে সাড়া দিতে হবে। আমরা শেষ পর্যন্ত আইনি প্রক্রিয়ায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আপিল বিভাগে যাব, আপিল করব। সেখানে আমরা একা নই, আমাদের ছাত্র ও প্রাক্তন ছাত্ররা আমাদের সঙ্গে থাকবে।

    Leave a Reply

    Your email address will not be published.

    X