ভোক্তা অধিকার আইন আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে: উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ
ভোক্তা অধিকার:
ভোক্তা অধিকার একটি মৌলিক অধিকার, যা কিনা সংবিধানের অনুচ্ছেদ ২৬ থেকে ৪৭ (ক)-এ নিশ্চিত করা আছে। সরকার ২০০৯ সালে ভোক্তা অধিকার আইন পাস করে। যেখানে খাদ্য, চিকিৎসা, পণ্য, ওষুধ ও সেবা খাতের ভোক্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। এ আইনের আওতায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ ও উন্নয়ন সরকারের একটি প্রাধিকার কর্মসূচি।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভূঁইয়া বলেন, ভোক্তা অধিকার আইন শিগগিরই আরও জোরদার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকার আইন সংশোধনের বিষয়ে ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেছি, বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। খুব শিগগিরই ভোক্তা অধিকার আইন শক্তিশালী করা হবে।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) ভোক্তা অধিকার সংগঠন সচেতন কনজ্যুমার সোসাইটি (সিসিএস) আয়োজিত ভোক্তা অধিকার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ উপদেষ্টা এ কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ভোক্তা অধিকার আইনের কঠোর প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা প্রতি বছর পণ্যের দামের যে, সমস্যা দেখতে পাই তা কমাতে আমরা সফল হতে পারব বলে আশা করছি।
তরুণদের উদ্দেশে আসিফ মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে কৃষকের বাজার অনেক বড়। জিডিপির প্রায় ১৫ শতাংশ। ব্যবসার জন্য এটি একটি ভাল সুযোগ। যারা এতে কাজ করতে চান তারা নিজেদের উন্নতির পাশাপাশি জনকল্যাণে নিজেরাও উপকৃত হবেন।
তিনি বলেন, কৃষি খাতে তরুণদের এগিয়ে আসার আহ্বান থাকবে। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। কোনো বাধা থাকলে সরকার তা সামাল দেবে।
সম্মেলনে সিসিএসের নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ বলেন, ভোক্তা অধিকার সংগঠন সচেতন কনজ্যুমার সোসাইটির (সিসিএস) স্বেচ্ছাসেবকরা কোনো তহবিলের টাকা নয়, নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করে সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কাজ করছেন।
তিনি বলেন, সিসিএস দীর্ঘদিন ধরে সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য কাজ করে আসছে। সংস্থাটি ভোক্তা অধিকার রক্ষায় সচেতনতা তৈরিতে কাজ করছে।
তিনি বলেন, ভোক্তা অধিকারের জনবল খুবই কম। এমন অনেক জেলা আছে যেখানে মাত্র একজন থেকে দুইজন করে কার্যক্রম চালাচ্ছেন। যার ফলে ঠিকমতো কাজ করা সম্ভব হয় না। এমন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
আমরা চাই ভোক্তা অধিকার জোরদার হোক। মোবাইল কোর্ট করার ক্ষমতা দিতে হবে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে ভোক্তা অধিকারে জনবল বাড়াতে হবে।
এর আগে সকাল ৯টা থেকে শুরু হওয়া এই সম্মেলন চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এবারের সম্মেলনে ১০ জন সাংবাদিককে ‘ভোক্তা অধিকার সাংবাদিকতা পুরস্কার’ দেওয়া হবে।
এছাড়াও দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে প্রায় ৫০টি জেলা ও ৫০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত ভোক্তা সংগঠক এই সম্মেলনে অংশ নেন।