মেরুদণ্ডের গড়ন বদলে দিতে পারে যে বাতরোগ
স্টাফ রিপোর্টার

পিঠ, ঘাড় বা কোমরব্যথা খুব সাধারণ এক সমস্যা। পরিণত বয়সে এ রকম ব্যথা হয়নি, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। এ ধরনের ব্যথা মেরুদণ্ডজনিত হতে পারে। মেরুদণ্ড ঘাড় থেকে কোমর পর্যন্ত বিস্তৃত। কিছু বাতরোগ আছে, যা সচরাচর মেরুদণ্ডকে আক্রান্ত করে বেশি। এসব বাতরোগ সঠিক সময়ে নির্ণয় বা চিকিৎসা করা না হলে মেরুদণ্ডের গড়ন বা গঠন পরিবর্তন হয়ে যেতে পারে। মেরুদণ্ড হতে পারে বাঁকা!
মেরুদণ্ডের বাতরোগ
মেরুদণ্ডের বাতরোগকে সাধারণ ভাষায় বলে ‘স্পন্ডাইলো-আর্থোপ্যাথি’। মেরুদণ্ডে যেকোনো রকমের প্রদাহ হলে বলে ‘স্পন্ডালাইটিস’। নারী-পুরুষ উভয়েরই হতে পারে, তবে তুলনামূলকভাবে পুরুষদের বেশি হয়। হাত-পায়ের অন্যান্য বাতরোগ বা আর্থ্রাইটিস আবার নারীদের বেশি হয়। আরেকটি ভিন্ন দিক হচ্ছে, তুলনামূলক তরুণ বয়স থেকে এটি শুরু হতে পারে। এই রোগের কারণ হতে পারে বিভিন্ন। বংশগত বা জেনেটিক ত্রুটি ও পারিবারিক ইতিহাস অনেকাংশে ভূমিকা রাখে।
লক্ষণ
মেরুদণ্ডের বাতরোগে যে লক্ষণ বেশি দেখা যায়, সেটি হলো কোমর বা পিঠের নিচের দিকে ব্যথা। ব্যথার পাশাপাশি অনেকে সকালে ঘুম থেকে উঠে মেরুদণ্ড ও এর সংলগ্ন অংশ অসাড় অনুভব করেন। অনেকে ঘাড়ব্যথা ও ঘাড় শক্ত অনুভব করেন। এ ছাড়া বিভিন্ন বড় অস্থিসন্ধি, যেমন হাঁটু, গোড়ালি ও কনুইয়ে ব্যথা হতে পারে ও ফুলে যেতে পারে। কিছু কিছু রোগীর মেরুদণ্ড আক্রান্ত হওয়ার আগে এসব অস্থিসন্ধিতে আক্রান্ত হয়। কারও কারও পায়ের পাতা, টেন্ডনেও ব্যথা ও প্রদাহ হতে পারে।
কীভাবে মেরুদণ্ডের গড়ন পরিবর্তন করে এই বাতরোগ
মেরুদণ্ডে থাকে কশেরুকা আর মাঝখানে থাকে ডিস্ক, এসবকে সাধারণ ভাষায় বলা হয় মেরুদণ্ডের হাড়। মূলত কশেরুকার হাড়গুলোতে প্রদাহ হয় এ রোগে। এর সংলগ্ন তন্তু, লিগামেন্ট, টেন্ডন—এসবেও প্রদাহ হয়ে গঠনগত পরিবর্তন হয়। ফলে দেখা যায় মেরুদণ্ডের হাড়গুলো একটির সঙ্গে আরেকটি জোড়া লেগে যায়; কিছু হাড় প্রবর্ধিত হয়। অনেক সময় হাড়ের ঘনত্ব কমে যায়। এসব পরিবর্তন ঘটায় মেরুদণ্ডের হাড় বেঁকে যায়, কারও কারও ক্ষেত্রে শারীরিক যে স্বাভাবিক গঠন থাকে, সেটিও পরিবর্তন হয়ে যায়।
করণীয়
এ রকম লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। চিকিৎসক প্রথমে লক্ষণ অনুযায়ী বাতরোগ নিশ্চিত করবেন ও সেটির ধরন বুঝে সে অনুযায়ী চিকিৎসা দেবেন। আধুনিক চিকিৎসায় ব্যাপক পরিবর্তন আসায় এ ধরনের বাতরোগ ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তবে রোগগুলো যত আগে নির্ণয় করা যায়, চিকিৎসায় তত দ্রুত উন্নতি সম্ভব।
আরেকটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার, এ ধরনের বাতরোগে শরীর সচল রাখা খুব জরুরি। এসব রোগের চিকিৎসায় শারীরিক ব্যায়াম, সাইক্লিং ও সাঁতার জরুরি।
স্বাস্থ্য এর আরো খবর

চিকিৎসক এবং চিকিৎসা-গ্রহণকারী উভয়ের কল্যাণে AI / মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে এগিয়ে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’

ত্বক, নখ এবং চুলের স্বাস্থ্য নিশ্চিতে বায়োটিন / খাদ্য তালিকায় থাকা চাই ‘বায়োটিন’ সমৃদ্ধ খাবার

৮৪ শতাংশ আইটি কর্মী ভুগছেন ফ্যাটি লিভারে! জানতে হবে, মানতে হবে

গরমে যে পানীয়গুলো এড়িয়ে চলা প্রয়োজন

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট পেসমেকার আবিষ্কার এটি কাজ করবে যেভাবে / বিশ্বের সবচেয়ে ছোট পেসমেকার আবিষ্কার এটি কাজ করবে যেভাবে
