হিট স্ট্রোক সচেতনতায় সহজ খাবার
গ্রীষ্মের তাপে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাবে যেসব খাবার

হিট স্ট্রোকের প্রধান কারণ হলো পানিশূন্যতা। মানুষের শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ৯৮ ডিগ্রি ফারেনহাইট। প্রচণ্ড গরমে ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলেই হিট স্ট্রোক হতে পারে। আর রোগী যদি তাৎক্ষণিক চিকিৎসা না পান, তাহলে রোগীর বড় দুর্ঘটনারকারণও হতে পারে।
হিট স্ট্রোকের লক্ষণগুলো হলো-
- মাথা ঘোরা,
- বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া,
- ক্লান্তি এবং দুর্বলতা,
- মাথাব্যথা,
- পেশীতে টান,
- ঝাপসা দৃষ্টি,
- গরমে ঘুমের অভাব,
- ত্বক শুষ্ক ও লাল হয়ে যাওয়া,
- হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি,
- শ্বাসকষ্ট,
- দৃষ্টিভ্রম, ইত্যাদি।
এ ছাড়া যাদের নিম্ন রক্তচাপের সমস্যা আছে তারা প্রচণ্ড রোদে হিট স্ট্রোক করতে পারেন।
গরমে পর্যাপ্ত পানি পানের কোন বিকল্প নেই। প্রতিদিন প্রায় দুই লিটার তরল পান করা গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত পানি, ফলের রস, লেবুর রস পান করুন।
এছাড়াও, এমন খাবার খেতে হবে যাতে পানির পরিমাণ বেশি থাকে। হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে, কিছু খাবার গরমে নিয়মিত খাওয়া উচিত। আসুন এই খাবারগুলি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক-
শসা
শসা গ্রীষ্মে স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী একটি খাবার। এই ফলটি শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ দূর করে। এতে ক্যালোরিও কম থাকে। এছাড়াও শসায় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। যা শরীর ঠান্ডা রাখতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
তরমুজ
এই ফলের ৯২ শতাংশই পানি। তাই হিটস্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে প্রতিদিন তরমুজ খেতে হবে। এটি গ্রীষ্মে শরীর ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে।
বেদানা
বেদানা একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ। বেদানা খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাপ স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।
পুদিনা পাতা
পুদিনা পাতায় মেন্থল থাকে। এই উপাদানটি শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। গ্রীষ্মে পুদিনা পাতা দিয়ে তৈরি শরবত খেলে শারীরিক অস্বস্তি এবং ক্লান্তি সহজেই দূর হয়।
এই ফলে বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। এগুলি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে এবং হজমের সমস্যা দূর করে। গ্রীষ্মে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে খারমুজ বা ফুটি খান।
আম
কাঁচা হোক বা পাকা - এই গ্রীষ্মে আম খাওয়া উপকারী। আমে ভিটামিন এ, বি৬, সি, ম্যাগনেসিয়াম, রাইবোফ্লাভিন, আয়রন, ফোলেটের মতো বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজ থাকে। গ্রীষ্মে এই সুপারফুড স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী।
অঙ্কুরিত মুগ ডাল
বেশিরভাগই ভাজা খাবার খাও। এতে শরীরে পানির ঘাটতি আরও বেড়ে যেতে পারে। গরমের দিনে দুপুরে যদি খিদে পায়, তাহলে অঙ্কুরিত মুগ ডাল দিয়ে সালাদ তৈরি করতে পারো। এতে ক্যালোরি কম থাকে। তাই শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে না। পেট ঠান্ডা থাকে, এবং শরীরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের মাত্রাও বজায় থাকে।
টক দই
গ্রীষ্মকালে তোমার খাদ্যতালিকায় টক দই থাকা উচিত। তুমি ভাতের সাথে, ফলের সাথে, অথবা শুধু টক দই দিয়ে খেতে পারো। তবে, দই ঘি বা লস্যি তৈরি করে খেলে শরীরে পানিও প্রবেশ করবে। ফলে হজমশক্তিও ভালো হবে এবং শরীরের পানির চাহিদাও পূরণ হবে।
বেল
গ্রীষ্মে তাপ স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়াতে আপনি নিয়মিত বেলের শরবত খেতে পারেন। এটি শরীরের ইলেক্ট্রোলাইটের ঘাটতি পূরণ করে এবং পেটের অস্বস্তি দূর করে।
ডাবের পানি
গরম থেকে বাঁচার অন্যতম উপায় হল ডাবের পানি। এটি পেট ঠান্ডা রাখে। এটি পুষ্টিগুণও বাড়ায়। নারকেল জল শরীরে সোডিয়াম এবং পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় রাখে। গরমের দিনে নারকেল জল পান করলে শরীর সুস্থ থাকে।
লাউ
লাউ এমন একটি সবজি যা শরীর ঠান্ডা রাখতে খুবই উপকারী। লাউয়ের উপকারিতা অনেক বেশি। দিনের যেকোনো সময় লাউ খাওয়া যেতে পারে লাউ শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করে।
স্বাস্থ্য সম্পর্কিত আমাদের প্রতিটি পোষ্ট গবেষণা এবং সচেতনতামূলক। এ নিয়ম অনুসরণ করলে সহজ হয়। তবে কোন কিছুর তীব্রতার তারতম্যে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হয়।
স্বাস্থ্য এর আরো খবর

প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশ / চিকিৎসকদের রোগী দেখতে হবে কমপক্ষে ১০ মিনিট, অতিদরিদ্রদের জন্য বিনা মূল্যে স্বাস্থ্যসেবা

ঔষধি গুণ-সমৃদ্ধ মজাদার ফল / সফেদা: প্রাকৃতিক চিনিতে সৃষ্ট রসে ভরা টসটসে ফল

আসছে পুরুষের কন্ট্রাসেপটিভ পিল, কাজ করবে হরমোন পরিবর্তন ছাড়াই

চিকিৎসক এবং চিকিৎসা-গ্রহণকারী উভয়ের কল্যাণে AI / মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে এগিয়ে ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’

ত্বক, নখ এবং চুলের স্বাস্থ্য নিশ্চিতে বায়োটিন / খাদ্য তালিকায় থাকা চাই ‘বায়োটিন’ সমৃদ্ধ খাবার
