সম্ভাব্য তালিকায় থাকতে পারে বাংলাদেশ—ভারতসহ বেশ কয়েকটি দেশ
যুক্তরাষ্ট্রের ভ্রমণ ভিসায় দিতে হবে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত বন্ড
নিজস্ব প্রতিবেদক

নিউইয়র্ক: টুরিষ্ট বা ভ্রমণ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে এসে নির্ধারিত সময়ের বেশি অবস্থান ও থেকে যাওয়ার প্রবণতা ঠেকাতে এবার কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন। ভ্রমণ ভিসায় যুক্তরাষ্ট্রে আসতে হলে ৫ থেকে ১৫ হাজার ডলার বন্ড জমা দিতে হবে ভ্রমণকারীকে। তবে কোন কোন দেশ এর আওতায় পড়বে সেটি আগামী ২ সপ্তাহ পর জানা যাবে। সোমবার সোমবার এক নতুন নিয়ম জারি করে ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায়, যেসব দেশের নাগরিকদের ভিসা মেয়াদ অতিক্রম করার হার বেশি বা যেসব দেশে অভ্যন্তরীণ যাচাই—বাছাইয়ের মান দুর্বল তাদের লক্ষ্য করেই এই বন্ড নীতির প্রয়োগ হবে।
এর আওতায় সম্ভাব্য তালিকায় বাংলাদেশ, ভারত, নেপালসহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের জামানত দিয়ে ভিসা নিতে হতে পারে। কারণ এসব দেশের অধিকাংশ নাগরিকরা ভ্রমণ ভিসায় এসে এখানে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করে এবং এখানে থেকে যান। তবে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামে থাকা দেশগুলোর ক্ষেত্রে বন্ড প্রযোজ্য হবে না।
ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায়, যে দেশগুলো এই তালিকায় পড়বে, তাদের ১৫ দিনের মধ্যে জানানো হবে। এরপর সেসব দেশের আবেদনকারীদের কাছে পাঁচ, দশ বা ১৫ হাজার ডলারের জামানত দিতে হবে ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে।
পরীক্ষামূলকভাবে চালু হতে যাওয়া একটি কর্মসূচির আওতায় নির্দিষ্ট কিছু দেশের নাগরিকদের ব্যবসায়িক কিংবা ব্যক্তিগত ভ্রমণের জন্য ভিসা পেতে হলে পাঁচ হাজার থেকে ১৫ হাজার ডলার পর্যন্ত জামানত রাখতে হতে পারে।
ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট জানায়, যে দেশগুলো এই তালিকায় পড়বে, তাদের ১৫ দিনের মধ্যে জানানো হবে। এরপর সেসব দেশের আবেদনকারীদের কাছে পাঁচ, দশ বা ১৫ হাজার ডলারের জামানত দিতে হবে ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে।
নিয়মে বলা হয়েছে, জামানতের এই তিনটি স্তর কনসুলার কর্মকর্তাদের এমন একটি সুযোগ দেবে, যাতে তারা আবেদনকারীর অবস্থা বিবেচনা করে যথাযথ অঙ্কের বন্ড নির্ধারণ করতে পারবেনযা তার ভিসা নিয়ম লঙ্ঘনের ঝুঁকি কমাবে।
তবে এই পদক্ষেপের কারণে অনেক ভ্রমণেচ্ছু ব্যক্তির জন্য যুক্তরাষ্ট্রের দরজা কার্যত বন্ধ হয়ে যেতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
এতদিন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ভিসা পাওয়ার জন্য বন্ডের বিধান থেকে বিরত ছিল। কারণ, বন্ড গ্রহণ, তা প্রক্রিয়াকরণ ও ছাড়ের পদ্ধতি বেশ জটিল ও সময়সাপেক্ষ।
এই উদ্যোগ এসেছে এমন এক সময়ে, যখন ট্রাম্প প্রশাসন একাধিক দেশ থেকে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। ১২টি দেশের ওপর সরাসরি নিষেধাজ্ঞা এবং সাতটি দেশের ক্ষেত্রে ভ্রমণে সীমাবদ্ধতা আরোপ করেছে।
তারা বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞার মূল কারণই হলো সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর নাগরিকদের ভিসা অতিক্রম হার বেশি এবং তাদের যাচাই—বাছাই ব্যবস্থা যথেষ্ট নয়।
তবে এই নতুন বন্ড কর্মসূচি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা ওয়েভার প্রোগ্রামে থাকা দেশগুলোর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে না। ওইসব দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের আগে আলাদা করে ভিসা নেওয়ার প্রয়োজন পড়ে না।
আন্তর্জাতিক এর আরো খবর

ঘানায় হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রতিরক্ষামন্ত্রীসহ ৮ জন নিহত

স্পেনের হুমিয়ায় ঈদ উদযাপন নিষিদ্ধ: ইসলামবিদ্বেষী সিদ্ধান্তে উত্তাল মুসলিম সম্প্রদায়

উত্তেজনার মধ্যেই রাশিয়া সফরে যেতে পারেন ট্রাম্পের বিশেষ দূত

পলাতকরা ষড়যন্ত্র করছে, গণতন্ত্র রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান : মুশফিকুল ফজল

ট্রাম্পের আমলে যুক্তরাষ্ট্র থেকে রেকর্ড সংখ্যক ভারতীয় ফেরত, সাত মাসেই ১,৭০০ ছাড়াল
