যে বাদশা সার্টিফিকেট ছিঁড়েছিল সে এখন কৃষক
চাকরির জন্য অনেক দৌড়েছেন, অনেক প্রতিষ্ঠানে ইন্টারভিউ দিয়েছেন। মামু-খালুদের তদবির ছিল না, ফলে বাদশা চাকরি পাননি।
এভাবেই কেটে যায় কাজের বয়স। অবশেষে, তিনি ফেসবুক লাইভে আসেন এবং শিক্ষার সময় যে সার্টিফিকেট অর্জন করেছিলেন তা ছিঁড়ে ফেলেন। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমও এ নিয়ে খবর দিয়েছে।
সেই রাজা সেই বাদশা পরিবারের নিয়ন্ত্রণ নিতে কৃষিকাজ শুরু করেন। প্রচণ্ড তাপ ও রোদে পুড়ে ধান উঠানে নিয়ে যাচ্ছে সে । অল্প আবাদি জমির ফসল দিয়েই তার সংসার চলে। বাদশা মিয়া কৃষক মহুবর রহমানের ছেলে। দরিদ্র পরিবারে ছয় ভাইবোনের মধ্যে সবার বড়।
২০১৪ সালে তিনি নীলফামারী সরকারি কলেজ থেকে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক পাস করেন। তবে টাকার অভাবে স্নাতকোত্তর শেষ করতে পারেননি। এর আগে ২০০৭ সালে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন, আলীম ২০০৯ সালে বিজ্ঞান বিভাগে পাস করেন।
প্রায় ২০ টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা দিয়েও চাকরি পাননি নীলফামারীর ডিমলার যুবক বাদশা মিয়া। এভাবেই সরকারি চাকরির বয়সসীমা পেরিয়ে যায়। পরে, তিনি রেগে যান এবং ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২২ -এ সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক লাইভে আসেন এবং তার পড়াশোনার সময় অর্জিত সমস্ত একাডেমিক সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলেন। এখন বেকার জীবন যাপন পেছনে ফেলে বেঁচে থাকার সংগ্রাম করছেন।