বড় অংকের ঘুষসহ এমপি গ্রেপ্তার
ক্ষমতাসীন ব্যক্তিদের ভাবখানা এরকম যে, তারা তো মানুষের দ্বারা মানুষের ভালোবাসায় নির্বাচিত ব্যক্তি। তাই সাধারন মানুষদের কাছ থেকে ঘুষ পারিতোষিক হিসেবে নিতেই পারেন। কারণ মানুষকে জানিয়ে, নাজানিয়ে কত রকমের খেদমতই তারা করে থাকেন। তাই মানুষ থেকে ঘুষ খেতেই পারেন তারা। ঘুষ ছাড়া কর্ম করলে মানুষের বেশিদিন মনে থাকে না। হয়তোবা সেই ভাবনা থেকেই আমাদের সরকারি-বেসরকারি সহ সকল রকমের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, এম্পি-মন্ত্রীরা ঘুষ নিয়ে সুযোগের সদ্ব্যবহার করে থাকেন। আসলে যদি চরিত্রের দোষ থাকে বা বেজন্মা হয় অ-জন্মা হয় তাহলে এসব কোন ব্যাপারই না। এদের দু’একজন হয়তোবা ধরা পড়ে যান। আর বাকি সবাই আড়ালে আবডালে মজা করেই চলছেন খেটে খাওয়া মানুষের ঘুষের টাকা দিয়ে।
ভারতের কর্ণাটকে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে বিজেপি বিধায়ক মাদল বিরুপাক্ষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঠিকাদারি পাওয়ার নামে ঘুষ নিয়েছেন সরকারি কর্মকর্তার ছেলে। এবার সেই ঘটনায় সোমবার তার বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সম্প্রতি মাদলের ছেলে প্রশান্ত কুমার ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়েন। ওই ঘটনার অন্যতম আসামি ছিলেন মাদল। ঘটনার ২০ দিনের বেশি সময় পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রশান্ত কুমার কর্ণাটক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিসের ২০০৮ ব্যাচের অফিসার ছিলেন। প্রশান্ত সাবান ও ডিটারজেন্ট তৈরির কাঁচামাল কেনার জন্য একটি ঠিকাদারের কাছ থেকে ৮১ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেছিলেন। এরপর ঠিকাদার সরকারি কর্মকর্তাদের দ্বারস্থ হন।
প্রশান্ত কুমারকে ধরার জন্য ফাঁদ দেওয়া হয়। ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের সময় তাকে হাতেনাতে ধরা হয়। বাবা মাদল বিরূপাক্ষের জন্য তিনি ঘুষ নিচ্ছিলেন বলে জানা গেছে। অফিস থেকে নোট ভর্তি মোট তিনটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়েছে।
বিরূপাক্ষ হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন। কিন্তু বিজেপি বিধায়কের কথায় কান দেয়নি হাইকোর্ট। জামিন আবেদন খারিজ করে দেয় তার। এর পর সোমবার তাকে গ্রেফতার করা হয়।