এবার মাটি চুরি করলেন পুলিশের এসআইসহ নয়জন
বি বাড়িয়া নবীনগরে মাটি চুরির অপরাধে এসআই জাহাঙ্গীরসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলায় এসআই বাদে ৮ জনকে সমনজারি করেছেন আদালত। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি দায়ের হলে ম্যাজিস্ট্রেট তা আমলে নিয়ে আগামী ২মে আসামিদের সশরীরে হাজির থাকার নির্দেশ দেন। মামলার বাদী মো. হাসান উদ্দিন বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়ে ঘটনার চিত্র তুলে ধরে ন্যায় বিচারের দাবি জানান।
অন্য আসামিরা হলেন,উপজেলার কড়ইবাড়ি গ্রামের সোহেল মিয়া ও সগির মিয়া, জিনদপুর গ্রামের মামুন মিয়া,আল-আমিন,মো. জসিম, জয়নাল মিয়া,নজরুল মিয়া, পৌরসদর কলেজ পাড়ার ক খ ম হযরত আলী।
বাদী অভিযোগ করেন,গত ২৫ ফেব্রুয়ারি নবীনগর-কোম্পানিগঞ্জ সড়কের জিনদপুর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাদীর ভিটেবাড়ি ও নাল শ্রেণির ভূমি থেকে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটি কেটে ট্রাক্টর ট্রলির মাধ্যমে রাতেই মাটি চুরি করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্যে হবে প্রায় ১০ লাখ টাকা। চুরির ঘটনাটি পুলিশকে জানালে এস আই জাহাঙ্গীর আলম সরজমিন গিয়েও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত আসামিদের মধ্যে সোহেল মিয়া বলেন, আমরা মাটি চুরি করি নাই,সরকারি খাল উদ্ধারের মাটি নিলামে কিনে নিয়েছি।
এ ব্যাপারে এস আই জাহাঙ্গীর আলম জানান,ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি কাউকে পাননি। এ
বিষয়টি নিয়ে সহকারী কমিশনার (ভ’মি) মাহমুদা জাহান বলেন,সরকারি খাল উদ্ধারের দিন বিধি মোতাবেক খালের অংশের মাটিগুলো সরিয়ে ফেলা হয়েছে। চারদিন পরে মাটি চুরি ঘটনা যখন শুনেছি তখন পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২১শে ফেব্রুয়ারি উপজেলা প্রশাসন নবীনগর-কোম্পানীগঞ্জ সড়কের জিন্দপুর-কড়াইবাড়ির দুই পাশে সরকারি খাল তৈরি করে, যা দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে ভূমিদুসু সিন্ডিকেটের দখলে ছিল। সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা জাহান মৃত্তিকা ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ লঙ্ঘনের জন্য অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে কোন অবৈধ দখলদারের সন্ধান না পাওয়ায় খালের উপর অস্থায়ী স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় এবং খালের মাঝখানের মাটি বেলচা দিয়ে অপসারণ করা হয়।