November 28, 2024
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক শক্তি গড়ে তোলাই লক্ষ্য: কিম

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক শক্তি গড়ে তোলাই লক্ষ্য: কিম

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক শক্তি গড়ে তোলাই লক্ষ্য: কিম

বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক শক্তি গড়ে তোলাই লক্ষ্য: কিম

উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন বলেছেন, আমাদের মূল লক্ষ্য বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পারমাণবিক শক্তি থাকা। রাষ্ট্র ও জনগণের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা করতে পারমাণবিক বাহিনী গড়ে তোলা হচ্ছে। রবিবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এ তথ্য জানায়।

সম্প্রতি উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের সঙ্গে জড়িত কয়েক ডজন সামরিক কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেন কিম জং উন। ১৮ নভেম্বর হোয়াসং-১৭ নামে নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) উৎক্ষেপণ করে পিয়ংইয়ং। অত্যাধুনিক এই ক্ষেপণাস্ত্র উেক্ষপণ নিজেই তত্ত্বাবধান করেন কিম জং উন। গত সপ্তাহেই নিজেদের পারমাণবিক অস্ত্র দিয়ে মার্কিন পারমাণবিক হুমকি মোকাবিলার প্রতিশ্রুতি দেন কিম জং উন। এর সপ্তাহখানেক পরেই পারমাণবিক শক্তিতে সবচেয়ে সমৃদ্ধ দেশ হয়ে ওঠার পরিকল্পনার কথা জানালেন তিনি। আইএসবিএম উৎক্ষেপণের সঙ্গে জড়িত থাকা সামরিক কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ঘোষণার আগে কিম বলেন, ‘আমার প্রধান লক্ষ্য উত্তর কোরিয়াকে এমন পরমাণবিক শক্তিতে সমৃদ্ধ করা, যা এই শতাব্দীতে নজিরবিহীন হয়ে থাকবে।’

তিনি হোয়াসং-১৭কে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কৌশলগত অস্ত্র দাবি করে বলেন, ‘এটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী তৈরি করার জন্য উত্তর কোরিয়ার সংকল্প ও ক্ষমতাকে তুলে ধরেছে। আমরা ধারাবাহিকভাবে সেনাবাহিনী ও পারমাণবিক অস্ত্রের ভান্ডার সমৃদ্ধ করার কাজ করে যাব।’ কিম আরো বলেন, ‘আমাদের বিজ্ঞানীরা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক ওয়ারহেড স্থাপন প্রযুক্তির উন্নয়নে বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছেন। আশা করি তারা এমনভাবেই দেশের পারমাণবিক প্রতিরোধক্ষমতাকে প্রসারিত ও শক্তিশালী করার কাজ করে যাবেন।’ এদিন আইসিবিএম উৎক্ষেপণের সঙ্গে জড়িত বিজ্ঞানী, প্রকৌশলী, সামরিক কর্মকর্তাসহ অন্যদের সঙ্গে ছবিও তোলেন কিম। এ সময় উপস্থিত সবাই উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের প্রতি আনুগত্য ও আনুগত্যের শপথ নেন।

এ ছাড়া উপস্থিত কর্মকর্তারা কিম ও তার দলের নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব রক্ষার প্রতিশ্রুতি দেন। এমনকি তারা বলেছে যে কিম জং উন যেখানেই বলবেন সেখানেই ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হবে। প্রচার অনুষ্ঠানে কিম জং উনের মেয়েও উপস্থিত ছিলেন। অনেকে বিশ্বাস করেন যে ICBM পরীক্ষায় তার মেয়ের অপ্রত্যাশিত উপস্থিতি ইঙ্গিত দেয় যে উত্তর কোরিয়ার ক্ষমতা কিম পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের কাছে যেতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X