April 29, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমেছেই

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমেছেই

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমেছেই

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি কমেছেই

তৈরি পোশাক রপ্তানির প্রধান বাজার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলতি অর্থবছরের ২০২৩-২৪ সালের আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) রপ্তানি সামগ্রিকভাবে হ্রাস পেয়েছে। যদিও গত অর্থবছর থেকে এ বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি নিম্নমুখী। তবে একই সময়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), যুক্তরাজ্য, কানাডা ও নতুন বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি বেড়েছে।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে পোশাক শিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ এ তথ্য জানিয়েছে। দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ৩ হাজার ২৮৬ মিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এ রপ্তানি ৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ বেশি।

চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে ১ হাজার ৬২৪ মিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এই রপ্তানি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৩.২৭ শতাংশ বেশি। যদিও গত অর্থবছর ২০২২ -২৩ শেষে এই বাজারের প্রবৃদ্ধি ছিল ৯.৯৩  শতাংশ। তার মানে এই অর্থবছরে ইইউতে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি কিছুটা মন্থর হয়েছে।

জার্মানি ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্যে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের একটি বড় বাজার। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আট মাসে এ বাজারে ৪.০৯ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই রপ্তানি ১১ দশমিক ৬৩ শতাংশ কম।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে পোশাক রপ্তানির নেতিবাচক প্রবণতা থেকে এখনো বেরিয়ে আসতে পারেনি বাংলাদেশ। চলতি অর্থবছরের জুলাই-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ বাজারে ৫৪৬ মিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এই রপ্তানি ২ দশমিক ৫৮ শতাংশ কম। গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্র ৮.৫২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করেছে। তখন রপ্তানি কমেছে ৫.৫ শতাংশ।

এছাড়া চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের বাজারে ৩৮৫ মিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ১৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। এ ছাড়া কানাডায় রপ্তানি হয়েছে ১০০ মিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক। এ বাজারে রপ্তানি বেড়েছে ১ দশমিক ৮১ শতাংশ।

বিজিএমইএ জানায়, চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে নতুন বাজারে ৬ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৩ শতাংশ। নতুন বাজারের মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়ায় তৈরি পোশাক রপ্তানি বাড়লেও ভারতে কমেছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে ভারত ৫৮০ মিলিয়ন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি করেছে। এ ক্ষেত্রে রপ্তানি কমেছে ২৩ শতাংশ।

এদিকে, বিজিএমইএ এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে যে পরিবেশ বান্ধব সবুজ কারখানার সংখ্যা হয়েছে এখন ২১৩ টি  । আরেকটি পোশাক কারখানা রবিবার পরিবেশ বান্ধব কারখানার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বা লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন বা LEAD সার্টিফিকেট পেয়েছে। এর ফলে দেশে সবুজ কারখানার সংখ্যা বেড়ে ২১৪ টি  হয়েছে। মার্কিন সংস্থাটি ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিলকে (ইউএসজিবিসি) সনদ দেয়। নতুন প্রত্যয়িত কারখানা হল এপিএস নিট কম্পোজিট লিমিটেড। কারখানাটি গাজীপুরের কামারগাঁও, পূবাইলে অবস্থিত। এ প্রসঙ্গে বিজিএমইএর পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেন, বিশ্বের সেরা কয়েকটি কারখানা এখন বাংলাদেশে। বিশ্বের শীর্ষ ১৫টি লিড গ্রিন কারখানার মধ্যে ১৩টি বাংলাদেশে।

পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারি বা মার্চ থেকে চাহিদা বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। কারণ, বছর শেষে উৎসবের সময় পণ্যের মজুদ অনেকটাই কমে গেছে।

মার্কিন খুচরা বিক্রেতাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম ন্যাশনাল রিটেইল ফেডারেশনের (এনআরএফ) প্রধান অর্থনীতিবিদ জ্যাক ক্লিনহেঞ্জ একটি বিবৃতিতে বলেছেন যে ক্রেতারা অক্টোবর এবং নভেম্বরে উল্লেখযোগ্যভাবে খরচ কমিয়েছে। তবে আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় পণ্য ও সেবার মূল্য বেড়েছে ৫ দশমিক ২ শতাংশ। মানুষ সেবা খাতে ব্যয় বাড়িয়েছে। এটি প্রাক-মহামারী পরিস্থিতিতে ফিরে আসছে। এনআরএফ ডেটা আরও দেখিয়েছে যে ব্যক্তিগত আয় আগের বছরের তুলনায় সাত শতাংশ বেড়েছে, যা ভোক্তাদের তাদের ক্রয় বাড়াতে সাহায্য করেছে।

উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি গত বছরের তুলনায় প্রায় ২৫ শতাংশ কমেছে। বর্তমানে বাংলাদেশ ৭ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করছে।

ইউনাইটেড স্টেটস অফিস অফ টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল (ওটিএক্সএ) অনুসারে, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সটাইল ও পোশাক পণ্যের মোট আমদানি ২০.৫১ শতাংশ কমে ১০৪.৯৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

উল্লেখ্য, এই পরিস্থিতির মধ্যে আবার চলতি অর্থবছরের প্রথম আট মাসে সরকার ২০৩ মিলিয়ন ডলারের সুদ ও মূলধনসহ বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে। এর মধ্যে সুদ ৮০.৫৯ ডলার এবং আসল ১২২.৪০ মিলিয়ন ডলার। তবে গত বছরের একই সময়ে বাংলাদেশ ১৪২ দশমিক ৪১ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করেছে। অর্থাৎ এক বছরের মধ্যে ৮ মাসে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ বেড়েছে ৬১ মিলিয়ন ডলার। গতকাল অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে এমন চিত্র দেখা গেছে।

আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি এক বছরে কমেছে ২৫ শতাংশ

    Leave a Reply

    Your email address will not be published.

    X