April 29, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
সরকার বেঁধে দেয়া দামে অনীহা:ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সকল গরুর মাংসের দোকান বন্ধ

সরকার বেঁধে দেয়া দামে অনীহা:ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সকল গরুর মাংসের দোকান বন্ধ

সরকার বেঁধে দেয়া দামে অনীহা:ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সকল গরুর মাংসের দোকান বন্ধ

সরকার বেঁধে দেয়া দামে অনীহা:ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সকল গরুর মাংসের দোকান বন্ধ

গরুর মাংস

গরুর মাংসের সাধারণ নাম গরুর মাংস বা গরুর গোস্ত। মানুষ প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই গরুর মাংস খেয়ে আসছে। গরুর মাংস প্রোটিনের একটি বড় উৎস, এবং এতে অনেক প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এবং খনিজ রয়েছে।

বাংলাদেশের একটি উপাখ্যান হলো আগেকার দিনে বাংলাদেশের মানুষ কোরবানীর ঈদ আসলে পর্যাপ্ত পরিমাণে গরুর মাংস খাওয়ার সুযোগ পেত । এছাড়াও বিয়ে-শাদী মাহফিল ওরস বা অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানে কেবল গরুর মাংস খেতে পারতেন।  এছাড়া সাধারণত কিনে গরুর মাংস খাওয়ার প্রবণতা একটা সময় বাংলাদেশে খুব একটা  দেখা যেতনা।  কিন্তু বর্তমান  মানুষ সচ্ছল হয়ে প্রচুর পরিমাণে গরুর মাংস কিনছে।   তাতে মানুষের যেমন  প্রোটিনের চাহিদা মিটছে ;  ব্যবসায়ীরাও দৈনন্দিন লাভবান হচ্ছেন।  কিন্তু এখন অনিয়ন্ত্রিত সরকারি ব্যবস্থা এবং সিন্ডিকেটের যাঁতাকলে মনে হচ্ছে যে, আবারও  চলে যেতে হবে  সেই আগের দিনে।

সরকার নির্ধারিত মূল্যে গরুর মাংস বিক্রি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীরা। সোমবার বিকেল থেকে শহরের বাজারে মাংস বিক্রি বন্ধ; এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ ক্রেতারা।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকার নির্ধারিত ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা কেজি দরে গরুর মাংস বিক্রি করতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন মাংস বিক্রেতারা। সোমবার (১৮ মার্চ) শহরের সব মাংসের দোকান বন্ধ করে দেন মাংস বিক্রেতারা। মাংসের দাম পুনর্বিবেচনা না হওয়া পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সোমবার সকাল থেকে জেলা শহরের আনন্দবাজার, ফারুকী বাজার, মেড্ডা বাজার, মৌরাইলের বউ বাজার, কাউতলী বাজারসহ অন্তত অর্ধশতাধিক দোকানে গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ রেখেছেন মাংস ব্যবসায়ীরা।

এ অবস্থায় ক্রেতারা বাজারে এসে মাংস না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন। মাংসের দাম পুনর্বিবেচনা না হওয়া পর্যন্ত মাংস বিক্রি বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

সোমবার সকালে কৃষি ও বিপণন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে মাংসের দোকানে লিফলেট বিতরণ করা হয়। লিফলেটে গরুর মাংস ব্যবসায়ীদের প্রতি কেজি ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা দরে গরুর মাংস বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়।

ব্যবসায়ীরা জানান, খামার বা ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতি কেজি ৭২০ টাকা দরে চামড়াসহ গরুর মাংস কিনতে হচ্ছে। খুচরা পর্যায়ে, ব্যবসায়ীরা প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা দরে মাংস বিক্রি করেন। কম দামে মাংস বিক্রি করা সম্ভব না হওয়ায় সকাল থেকেই জেলা শহরের মাংসের দোকান বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা।

মাংস ব্যবসায়ীরা বলেন, মানুষের চাহিদা ও ক্রয়ক্ষমতার কথা চিন্তা করেই আমরা মাংস বিক্রি করি। সরকার আমাদের যে বাজারদর দিয়েছে তা হলো ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা। এই হারে মাংস বিক্রি করলে ব্যবসায় লোকসান হবে। তাই আমরা গরুর মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত আমাদের মাংস বিক্রয় কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।

আরেক ব্যবসায়ী বলেন, আমরা লোকসানে ব্যবসা করতে পারি না। সরকার নির্ধারিত দামে গরুর মাংস বিক্রি করলে আমাদের লোকসান হবে। লোকসান দিয়ে ব্যবসা করা সম্ভব নয়। তাই সকাল থেকে মাংস বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছি।

এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মীর মোহাম্মদ কামাল বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ব্যবসায়ীরা খামারি ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া সহ গরু কিনে হাটে জবাই করে। এর দাম পড়ে প্রতি কেজি ৭২০ টাকা। এ অবস্থায় সরকার ৬৬৪ টাকা ৩৯ পয়সা নির্ধারণ করেছে। এটা আমাদের ব্রাহ্মণবাড়িয়া মার্কেটের জন্য প্রযোজ্য হবে না। অবশ্যই দাম সমন্বয় করতে হবে। বা খামারে গরুর দাম কমাতে হবে। মূল্য পুনরায় নির্ধারণ করতে হবে। অন্যথায় এই মাংসের বাজার বন্ধ করা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই।

সরকার প্রদত্ত হারে মাংস বিক্রি করলে লোকসান হবে বলেছেন ফারুকী বাজারের গরু ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক। এর ভিত্তিতে কেউ যদি মাংস বিক্রি করতে চায়, তাহলে আমাদের কোনো সমস্যা নেই।

নগরীর ফারুকী বাজারে আসা এক ক্রেতা জানান, বাড়ি থেকে গরুর মাংস কিনতে বাজারে এসে দেখেন সব মাংসের দোকান বন্ধ। গরুর মাংস কিনতে না পেরে খামার থেকে মুরগি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছি। রমজান মাসে আমরা এটা আশা করিনি। আশা করছি, ব্যবসায়ীরা তাদের সমস্যার সমাধান করে আবার দোকান খুলে দেবেন।

এদিকে ফারুকী বাজারে বাজার মূল্য লিফলেট বিতরণকালে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের কর্মচারী মো. পলাশ মন্ডল জানান, মহাপরিচালকের কার্যালয়ের নির্দেশে বাজারে লিফলেট বিতরণ করা হচ্ছে। এর বেশি আমি জানি না।

তবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাজমুল হক বলেন, সরকার যৌক্তিক মূল্য নির্ধারণ করেছে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ তাদের সঙ্গে কথা বলে সমাধান করা হবে।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেবেন মাংস ব্যবসায়ীরা। ফলপ্রসূ আলোচনার মাধ্যমে এ সমস্যার সমাধান হবে বলে তারা আশাবাদী।

আরও পড়ুন

ভারতে আয়োজিত বিশ্বকাপে ক্রিকেটারদের খাবারের মেনুতে নেই গরুর মাংস

    Leave a Reply

    Your email address will not be published.

    X