May 15, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
ভারতে আয়োজিত বিশ্বকাপে ক্রিকেটারদের খাবারের মেনুতে নেই গরুর মাংস

ভারতে আয়োজিত বিশ্বকাপে ক্রিকেটারদের খাবারের মেনুতে নেই গরুর মাংস

ভারতে আয়োজিত বিশ্বকাপে ক্রিকেটারদের খাবারের মেনুতে নেই গরুর মাংস

ভারতে আয়োজিত বিশ্বকাপে ক্রিকেটারদের খাবারের মেনুতে নেই গরুর মাংস

গরু জবাইকে পাপ আখ্যা দিলেও গরুর মাংস রপ্তানিতে পিছিয়ে নেই ভারত। এ বছরও গরুর মাংস রপ্তানিতে বিশ্বের বৃহত্তম দেশ হিসেবে অবস্থান ধরে রেখেছে বাংলাদেশের প্রতিবেশী দেশ। ভারত বিশ্বের শীর্ষ গরুর মাংস রপ্তানিকারক দেশ। এরপরেও এবারের ক্রিকেট বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর খাবারের মেনুতে গরুর মাংস অন্তর্ভুক্ত করেনি।

তবে জানলে রীতিমতো আশ্চর্য হওয়ারই কথা সম্প্রতি ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার (ইউএসডিএ) দ্বারা প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুসারে, ভারত এই বছর গরুর মাংস রপ্তানিতে শীর্ষস্থান ধরে রেখেছে, ব্রাজিলকে দ্বিতীয় স্থানে রেখে।

মানুষ প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকে গরুর মাংস খেয়ে আসছে। গরুর মাংস হল প্রোটিনের একটি সম্পূর্ণ উৎস (অর্থাৎ, সমস্ত ২০ টি অ্যামিনো অ্যাসিড পাওয়া যায়   গরুর মাংসে), এবং এটি প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ।

ওয়ানডে বিশ্বকাপের আর এক সপ্তাহেরও কম বাকি। বিশ্বকাপ খেলতে ইতিমধ্যেই ভারত পৌঁছেছে দলগুলো। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আয়োজক ভারত বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী দলগুলোর খাবারের মেনুতে গরুর মাংস অন্তর্ভুক্ত করেনি।

হিন্দু ধর্মে গরুকে পবিত্র প্রাণী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মনে করা হচ্ছে, গরুর প্রতি শ্রদ্ধা রেখে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই দলগুলোর খাদ্য তালিকায় মাংস রাখেনি। সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে উদ্ধৃত করে ইনসাইডস্পোর্ট জানিয়েছে যে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী ১০ টি দলের কোনোটিরই তাদের মেনুতে গরুর মাংস নেই।

‘হায়দ্রাবাদে থাকার সময় পাকিস্তানের খাদ্য তালিকায় কী আছে?’ শিরোনামে একটি খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম। সেখানে উঠে এসেছে, শুধু পাকিস্তান নয়, কোনো দলের খাদ্য তালিকায় গরুর মাংস নেই।

হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ওয়ার্ম আপ হিসেবে বিশ্বকাপের প্রথম দুটি ম্যাচ খেলবে পাকিস্তান। যার কারণে হায়দ্রাবাদে দুই সপ্তাহ থাকবেন বাবর আজমারা। ইনসাইডস্পোর্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হায়দ্রাবাদে পাকিস্তানি খেলোয়াড়দের প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে মুরগির মাংস, খাসির মাংস এবং মাছ রাখা হচ্ছে। বাবর-রিজওয়ানের খাবারের তালিকায় মাটন গ্রিল, খাসির ঝোল, ফিশ গ্রিল ছাড়াও রয়েছে বাটার চিকেন। পাকিস্তান দল স্টেডিয়ামের ক্যাটারিং সার্ভিসের কাছে কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবারের দাবি জানিয়েছে।

কার্বোহাইড্রেটের জন্য, পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়রা সিদ্ধ বাসমতি চাল, স্প্যাগেটি এবং নাড়া-ভাজা সবজি খাবেন।

উল্লেখিত তালিকার বাইরে কেউ কিছু খেতে চাইলে তা সঙ্গে সঙ্গে দেওয়া হবে। এছাড়া হায়দরাবাদের বিখ্যাত বিরিয়ানি রয়েছে পাকিস্তানি খাবারের তালিকায়।

উল্লেখ্য যে, ১৪  আগস্ট ২১০৮ -এ ভারত ও ইংল্যান্ডের মধ্যে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে (১১ আগস্ট) কোহলির মধ্যাহ্নভোজের মেনুতে একটি আইটেম ছিল, যা অন্যান্য খাবারের মধ্যেও  ছিল ‘ব্রেইজড বিফ পাস্তা’। এবং তাও বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (BCCI) অফিসিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা একটি ছবি থেকে।

বিসিসিআই টুইটারে কোহলির ডায়েটের ছবি পোস্ট করার পরে, এটি মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়। এরপর প্রতিবাদে ফেটে পড়ে ভারতের ভক্ত-সমর্থক থেকে শুরু করে দেশের সাধারণ মানুষ। দর্শকদের প্রশ্ন, ভারতীয় ক্রিকেট দলের তালিকায় গরুর মাংসের পাস্তা কেন রাখা হয়েছে? যেখানে দলের অধিকাংশ ক্রিকেটারই হিন্দু ! তাদের আরও প্রশ্ন, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড কীভাবে তা মেনে নিল?

ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডের (ইসিবি) দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তারা। ভারতীয় সমর্থকদের প্রশ্ন, গরুর মাংস দেওয়া কি খুব জরুরি ছিল? ভক্তদের হাত থেকে বাদ যাননি দলের ক্রিকেটাররাও। তাদের নিয়ে অনেকেই লেখেন, যে দেশে গরু জবাইয়ের নামে খুন হচ্ছে সেখানে ক্রিকেটাররা গরুর মাংস খাচ্ছেন কী করে? । এদিকে, ইসিবি জানিয়েছে যে উভয় দলের জন্য মধ্যাহ্নভোজের মেনু বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া মেনুতে ছিল একাধিক খাবার। সে যা খুশি খেতে পারে। তবে তারা (ইন্ডিয়ান ক্রিকেটাররা)সেভাবে ধর্মের যত্ন নিতে পারেনি।

যদিও একটি সাধারণ তরকারি হোক না কেন – গরুর মাংসের একটি অনন্য স্বাদ রয়েছে। এটি সারা বিশ্বের প্রিয় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবারগুলির মধ্যে একটি। অনুমান করা হচ্ছে.

তবে হ্যাঁ, ভারতের গুজরাটের একটি আদালত গরু জবাই সম্পর্কে একটি কৌতূহলী পর্যবেক্ষণ করেছে যখন বেআইনিভাবে গবাদি পশু পরিবহনের জন্য একজন ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছে। তাপি জেলা আদালতের প্রধান জেলা জজ তার পর্যবেক্ষণে বলেন, গরু জবাই বন্ধ হলে পৃথিবীর সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

বিচারক সমীর বিনোদচন্দ্র ব্যাস বলেন, “পরমাণু বিকিরণও গোবর দিয়ে তৈরি ঘরকে প্রভাবিত করে না।” এছাড়া গোমূত্রের ব্যবহার ‘অনেক দুরারোগ্য রোগের ওষুধ’। তবে বিচারক তার দাবির পক্ষে কোনো বৈজ্ঞানিক প্রমাণ উপস্থাপন করতে পারেননি।

গত নভেম্বরে দেওয়া আদেশে গো-রক্ষা সংক্রান্ত সমস্ত আলোচনা বাস্তবায়িত হয়নি বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আদালত।

আদালত বলেন, ‘গরু শুধু পশু নয়, মা। একটি গরু হল ৬৮ কোটি পবিত্র স্থান এবং ৩৩ কোটি দেবতার জীবন্ত গ্রহ৷” বিচারক গোহত্যাকে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত করেছেন৷

তিনি বলেন, ‘আজকের টেনশন এবং গরম মেজাজের মতো সমস্যা গোহত্যার সঙ্গে জড়িত। তাদের বেড়ে ওঠার একমাত্র কারণ গরু জবাই করা। সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত সাত্ত্বিক জলবায়ু পরিবর্তন প্রভাবিত হবে না।’

আরও জানতে

গরুর মাংস রাখার অভিযোগে হামলা করে মুসলিম হত্যা

গরুচোর ছাত্রলীগ নেত্রী বাবলীর বিরুদ্ধে চার্জশিট

ভারতে ১৪ ফেব্রুয়ারি গরুকে আলিঙ্গনের ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ পালনের আবেদন প্রত্যাহার করা হ

    3 Comments

    Leave a Reply

    Your email address will not be published.

    X