May 9, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
পানি ও বিদ্যুতহীন গাজা, খাদ্য ও চিকিৎসার সরবরাহও ফুরিয়ে যাচ্ছে

পানি ও বিদ্যুতহীন গাজা, খাদ্য ও চিকিৎসার সরবরাহও ফুরিয়ে যাচ্ছে

পানি ও বিদ্যুতহীন গাজা, খাদ্য ও চিকিৎসার সরবরাহও ফুরিয়ে যাচ্ছে

পানি ও বিদ্যুতহীন গাজা, খাদ্য ও চিকিৎসার সরবরাহও ফুরিয়ে যাচ্ছে

ফিলিস্তিনিরা রোজা রাখছেন তবে ইফতার ও সেহরি খেতে পারছেননা। তার ওপর রাত দিন সশস্ত্র হামলা চলছে তাদের উপর। বর্বর ইসরাইল রমজান মাসেও ফিলিস্তিনের উপরে অবৈধভাবে দখলদারিত্ব বজায় রাখতে নির্লজ্জ হামলা চালিয়েই যাচ্ছে । আরএদিকে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাদ্য চিকিৎসা সহকারে সবকিছু ফুরিয়ে যাচ্ছে ফিলিস্তিনের গাজাবাসির।

এই সংকট সত্ত্বেও, ফিলিস্তিনের বেকারি বা খাদ্য গুদামে হামলা বা লুটপাট করেনি ইসরাইল। 

ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস জানিয়েছে, গাজার সবচেয়ে বড় হাসপাতাল আল শিফায় মাত্র তিন চলার মতো জ্বালানি রয়েছে।

ইসরায়েল দীর্ঘ অবরুদ্ধ গাজায় সম্পূর্ণ অবরোধ আরোপ করার পর, পানি, খাদ্য ও বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর ফিলিস্তিনে গাজার  পরিস্থিতি দ্রুত অবনতির দিকে যাচ্ছে; খাদ্য ও পানির ঘাটতি বিদ্যুত ঘাটতির  অঞ্চলে মানবিক সংকটকে আরও গভীর করছে।

গাজায়  ইসরায়েলি হামলায় পরিবারের  সদস্যরা  নিহত হওয়ার পরে  ফিলিস্তিনিরা  হাহাকার করছে, এমন একটি হাহাকার সে  দেশের অনেক নাগরিক তাদের দিন কাটাচ্ছে সবসময় ।

অবরুদ্ধ গাজায় মানবিক পরিস্থিতির অবনতি অব্যাহত রয়েছে। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বলেছে উপত্যকায় মাত্র চার থেকে পাঁচ দিনের খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী রয়েছে। ডব্লিউএফপি-এর মতে, ফিলিস্তিনি অঞ্চলে খাদ্য মজুদ ইতিমধ্যেই চাপের মধ্যে রয়েছে। আর দোকানগুলোর অবস্থা আরও ভয়াবহ ।

সংস্থাটির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক মুখপাত্র আবির ইতেফা কায়রো থেকে ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বলেছেন, “গাজার পরিস্থিতি প্রতি মুহূর্তে খারাপ হচ্ছে।” বিশেষ করে মানবিক ও খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে। পাইকারী বিক্রেতাদের কাছে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রীর মজুদ দুই সপ্তাহের জন্য নাগরিকদের চাহিদা মেটাবে মাত্র।”

“কিন্তু দোকানে স্টক কম চলছে। হয়তো চার-পাঁচ দিনের খাবার বাকি আছে।”

এদিকে হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজায় বিমান হামলা চালিয়েই  যাচ্ছে ইসরাইল। তেল আবিব একটি পূর্ণ মাত্রার স্থল আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবে সীমান্তে লক্ষাধিক সেনা মোতায়েন করেছে।

ইসরাইল উত্তর গাজার বাসিন্দাদের দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।

জ্বালানি ও নিরাপত্তা সংকটের কারণে গাজা উপত্যকার পাঁচটি ময়দা মিল বন্ধ হয়ে গেছে। এতে রুটির সরবরাহ কমে গেছে। ফলে রুটি পেতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকেন নাগরিকরা। গাজায় WFP দ্বারা পরিচালিত২৩ টি বেকারির মধ্যে মাত্র চারটি চালু রয়েছে। গাজার অভ্যন্তরে আমাদের খাদ্য সরবরাহ সীমিত।

যাইহোক, এই সংকট সত্ত্বেও, কোনও ফিলিস্তিনি নাগরিক বা সংস্থা ডাব্লুএফপি পরিচালিত কোনও বেকারিতে হামলা বা লুটপাট করেনি।

৭ অক্টোবর হামাস হঠাৎ ইসরাইল আক্রমণ করে। তারা একবারে পাঁচ হাজার রকেট নিক্ষেপ করে। ইসরাইল অল্প সময়ের মধ্যে পাল্টা হামলা চালায়। প্রতিশোধমূলক হামলায়  ওই সময়ই দুই হাজারের বেশি মানুষ মারা যায়।

হামাসের হামলার জবাবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকাকে ‘মরু দ্বীপে’ পরিণত করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।

এদিকে, সম্ভাব্য স্থল অভিযানের জন্য ইসরায়েল গাজা সীমান্তে অস্ত্র ও সেনা মোতায়েন করেছে। এটি গাজায় দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করেছে। একই সঙ্গে গাজার বাসিন্দারা আবারও ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন।

ফিলিস্তিন ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলায় ‘সাদা ফসফরাস’ ব্যবহার করার অভিযোগ করেছে। এতে মানবিক সংকট ও গৃহহীন মানুষের সংখ্যা বাড়তে পারে।

এদিকে, ইসরায়েলের হামলায় অবরুদ্ধ গাজায় অন্তত ৪২৩,০০০ মানুষ তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছে, জাতিসংঘের মতে। ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় ১৩০০ টি স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে ।

ওসিএইচএর মুখপাত্র জেনস লার্কে জেনেভায় বলেছেন “সংঘাত অব্যাহত থাকায় আরও বাস্তুচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,” ।

জাতিসংঘের এই কর্মকর্তা বলেন, “ইসরায়েলের বিমান হামলা গাজা জুড়ে বাড়িঘর, স্কুলে আঘাত হেনেছে। এমনকি তারা গাজার বড় টাওয়ার ব্লক, স্কুল এবং আবাসিক ভবনে হামলা চালাচ্ছে। এতে বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি ঘটছে।”

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক বলেছেন, “আন্তর্জাতিক মানবিক আইন স্পষ্টভাবে বলেছে যে হামলার ক্ষেত্রে বেসামরিক জনসংখ্যা এবং বেসামরিক জিনিসগুলিকে অবশ্যই রক্ষা করতে হবে।”

ইউরো-মেড হিউম্যান রাইটস মনিটরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালাচ্ছে। ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গাজার হাসপাতালে জরুরি চিকিৎসা সহায়তার প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করতে একটি নিরাপদ করিডোরের আহ্বান জানিয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলছে, ইসরাইল এবং গাজা উপত্যকার আশপাশে প্রায় দেড় হাজার হামাস যোদ্ধার লাশ পাওয়া গেছে। তারা গাজা উপত্যকার ২০০ টিরও বেশি স্থানে হামলা চালায়।

গাজায় বেসামরিক বাড়িঘর, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইসরায়েলি বিমান হামলা চালিয়েছে। এমনকি হাসপাতালও রেহাই পায়নি। ফিলিস্তিনিরা ভয়াবহ খাদ্য, চিকিৎসা ও জ্বালানি সংকটের সঙ্গে মানবিক সংকটের মুখোমুখি হচ্ছে।

গাজার পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে ওই অঞ্চলে আরো ভয়াবহ অবস্থার  আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

    Leave a Reply

    Your email address will not be published.

    X