April 29, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: সাড়ে তিন মাস পর কারামুক্ত হয়ে ফখরুল-খসরু

বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: সাড়ে তিন মাস পর কারামুক্ত হয়ে ফখরুল-খসরু

বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে

বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে: সাড়ে তিন মাস পর কারামুক্ত হয়ে ফখরুল-খসরু

সাড়ে তিন মাস কারাভোগের পর মুক্তি পেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। গতকাল বিকেলে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতা। প্রথমে মির্জা ফখরুল ও ৪ মিনিট পর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটক দিয়ে বেরিয়ে আসেন আমীর খসরু। এ সময় বিএনপি নেতারা তাদের নেতাকর্মীদের করতালি দিয়ে স্বাগত জানান। নেতাকর্মীরা ফুলের পাপড়ি নিক্ষেপ করে এবং স্লোগান দেয়। হাত তুলে নেতাকর্মীদের অভিনন্দন জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের মানুষ গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকারের জন্য সব সময় সংগ্রাম ও সংগ্রাম করেছে। ইনশাআল্লাহ এই সংগ্রামে তারা জয়ী হবে। বিজয় না হওয়া পর্যন্ত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের চলমান আন্দোলন চলবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব।

পরে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের মানুষ নির্বাচনে না গিয়ে  গণতন্ত্রের পক্ষে ভোট দিয়েছে। সেই রায় কার্যকর না হওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের জনগণকে নিয়ে আমাদের আন্দোলন চলবে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটকে তাইফুল ইসলাম টিপু, শামীমুর রহমান শামীম, নিপুণ রায় চৌধুরী, ফরহাদ হোসেন আজাদ, সাবেক সংসদ সদস্য আলী নেওয়াজ মাহমুদ খৈয়াম, ইসরাফিল খসরু চৌধুরী, শায়রুল কবির খানসহ সংগঠনের শতাধিক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।  ছিলেন কেন্দ্রীয় নেতারাও । ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সাধারণ সম্পাদকের গাড়ি কর্ডন করে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন।

বিএনপি মহাসচিব কারাগার থেকে মুক্তি পাওয়ার সময় তাকে আনতে তার স্ত্রী রাহাত আরা বেগমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। মুক্তির পর গুলশানে চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যান মির্জা ফখরুল। কার্যালয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারিক রহমানের সঙ্গে ভার্চুয়াল শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি। পরে বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে দলের ভাইস চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকারের কোষাধ্যক্ষ রশিদুজ্জামান মিল্লাতসহ বিএনপি ও বিভিন্ন সংগঠনের একাধিক নেতা শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। গত ২ নভেম্বর বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গুলশানের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরে গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সাধারণ সভার দিন প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই সংঘর্ষের ঘটনায় ফখরুলের বিরুদ্ধে ১১টি ও খসরুর বিরুদ্ধে ১০টি মামলা হয়। এর মধ্যে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ছাড়া বাকি সব মামলায় তারা বিভিন্ন সময়ে জামিন পেয়েছেন। বুধবার প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় বিএনপির দুই শীর্ষ নেতার জামিন মঞ্জুর করেন ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফয়সাল আতিক বিন কাদের। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিভিন্ন মামলায় জামিন, প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট প্রত্যাহারের নির্দেশে দুই নেতার আইনজীবীরা বিকালে মুক্তি পান বিএনপির দুই নেতা।

এদিকে বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও দলের মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি চার মাস পর জামিনে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে তিনি কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পান। উল্লেখ্য, গত বছরের ১০ অক্টোবর রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির বাসা থেকে শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

উল্লেখযোগ্যভাবে, কয়েক মাস ধরে বিরোধী দলের হয়রানি সত্ত্বেও, ২৮শে অক্টোবর শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবিতে ঢাকায় বিএনপির একটি সমাবেশ সরকারি দমন-পীড়নকে প্ররোচিত করেছিল, প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। সমাবেশের আগের দিনগুলোতে বিএনপির শতাধিক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন বিএনপি সমর্থকরা রাস্তায় নামলে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের লাঠি, লোহার রড, ছুরিসহ বিভিন্ন অস্ত্র নিয়ে সমাবেশে হামলা করতে দেখা যায়। সমাবেশের দিন সহিংসতায় বিএনপির এক কর্মী, একজন পুলিশ কর্মকর্তা ও একজন সাংবাদিকসহ অন্তত তিনজন নিহত হন।

বিএনপি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত বিএনপি ও এর সদস্য সংগঠনের ৫ লাখের বেশি নেতা-কর্মী-সমর্থকের বিরুদ্ধে ১৩৮ হাজারের বেশি মামলা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দমন-পীড়ন ও আওয়ামী লীগের হামলায় প্রায় দুই কোটি মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ওইসব মানুষ ফেরারি জীবনযাপন করছেন।

এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের নথিভুক্ত করা ক্যাপিটাল পানিশমেন্ট জাস্টিস প্রজেক্টের মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান বলেন, বিরোধীদের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘন পদ্ধতিগত। যার মধ্যে রয়েছে বলপূর্বক গুম, বিচারবহির্ভূত হত্যা, নির্যাতন। বাংলাদেশে যতবারই নির্বাচন হয়, বিরোধী দলের নেতাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয় এবং বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে মিথ্যা ফৌজদারি মামলা দিয়ে নির্বিচারে আটক করা হয়। ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে, বিরোধীদের হয়রানি এবং ব্যাপক ভোট কারচুপির অভিযোগ ছিল। সেই নির্বাচনকে ‘অগণতান্ত্রিক’ বলে ব্যাপকভাবে নিন্দা করা হয়। বেশিরভাগ মানুষ এখন মনে করেই  জানুয়ারী ২০২৪ একইরকম দৃশ্য প্রতিফলিত হয়েছে।

    Leave a Reply

    Your email address will not be published.

    X