July 27, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
জাতিসংঘ, এখনই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন চায় না

জাতিসংঘ, এখনই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন চায় না

জাতিসংঘ, এখনই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন চায় না

জাতিসংঘ, এখনই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন চায় না

চীনের মধ্যস্থতায় রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের জন্য একটি পাইলট প্রকল্প নিয়ে এগোচ্ছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার। কিন্তু সেই প্রকল্প বাস্তবায়নে সবচেয়ে বড় বাধা স্বয়ং জাতিসংঘ। জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা চারটি রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য খাদ্য রেশন বন্ধ করে যারা প্রাথমিকভাবে প্রত্যাবাসনে সম্মত হয়েছিল।

বৃহস্পতিবার (৮ জুন), জেনেভা থেকে মিয়ানমারের বিশেষ র‌্যাপোর্টার টম অ্যান্ড্রুজ পাইলট প্রকল্প অবিলম্বে স্থগিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। পুরো বিষয়টি বাংলাদেশ সরকার নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

বিশেষ র‌্যাপোর্টার টম বলেন, রোহিঙ্গারা ফিরে গেলে তাদের জীবন ও স্বাধীনতা ঝুঁকির মুখে পড়বে। বিভিন্ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে তিনি অভিযোগ করেন, বাংলাদেশ প্রতারণামূলক ও বলপ্রয়োগের মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে।

তিনি দাবি করেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরার কোনো পরিবেশ নেই। তিনি অভিযোগ করেন, বিভিন্ন প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ রোহিঙ্গাদের গ্রেপ্তার, নথিপত্র বাজেয়াপ্ত এবং অন্যান্য হুমকি দিচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরকারি একটি সূত্র জানায়, তারা পুরো বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।

জাতিসংঘের বিরোধিতার বিষয়ে সরকারের এই কর্মকর্তা বলেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে যাতে সমস্যা না হয় সেজন্য আমরা সম্প্রতি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার বাংলাদেশ প্রধানকে সমন জারি করেছি। তাদের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড প্রত্যাবাসন বিরোধী বলে মনে হয়।

এদিকে উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে অবস্থানরত রোহিঙ্গারা যত দ্রুত সম্ভব মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরুর দাবিতে সমাবেশ করেছে। বৃহস্পতিবার (৮ জুন) সকাল ১০টার দিকে ১৩টি ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

সমাবেশে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের নেতারা বলেন, মিয়ানমারে নিপীড়ন, হত্যা ও ধর্ষণের সময় তারা প্রাণের ভয়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। বাংলাদেশ সরকার মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে। যার জন্য রোহিঙ্গারা কৃতজ্ঞ। আমি ছয় বছর ধরে এখানে ক্যাম্পে বসবাস করছি। আমরা যত দ্রুত সম্ভব মিয়ানমারে দেশে ফিরতে চাই

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গাদের নির্বিচারে হত্যা ও নির্যাতন শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। সে সময় সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে পালিয়ে বাংলাদেশের কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়। আগে থেকেই এখানে কয়েক লাখ নির্যাতিত রোহিঙ্গা ছিল।

 

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X