এক মাদ্রাসা থেকেই ১০ লাখ কুরআনের হাফেজ
একমাত্র গ্রন্থ যেটা আপনি কোন ভুল না করে ,কোনরূপ পরিবর্তন বা পরিবর্ধন ছাড়াই একেবারে নির্ভুলভাবে অতি সহজে মুখস্ত বলে দিতে পারবেন। আর এটাই আল কুরআনের সবচেয়ে বড় মাহাত্ম্য। এবং যেটা প্রমাণ করে যে,এই কোন মানুষের রচনা নয়, না কোন কাল্পনিক বস্তু। কোরআন তেলাওয়াত করবেন, তা মুখস্থ করবেন আর আপনি অন্য রকম এক আবেশময় জগতে চলে যাবেন এটাই কোরআনের মুজিজা। আর সেটা আল্লাহ কর্তৃক রেজিস্টার্ড ব্রেইন ছাড়া কোন মতেই সম্ভব নয় । আর এ কোরআন শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে ব্যক্তিটার হৃদয়ে গচ্ছিত তারই নাম হাফেজ । হাফেজে কোরআন।
পাকিস্তানের একটি মাদ্রাসা থেকে অন্তত ১০ লাখ শিক্ষার্থী পবিত্র কোরআন মুখস্ত করেছে। ওয়াকাফ উল মাদারিস নামে মাদ্রাসাটি ১৯৮২সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তখন থেকে এই মাদ্রাসা থেকে দশ লাখেরও বেশি শিক্ষার্থী সফলভাবে পবিত্র কুরআন মুখস্ত করেছে।
স্টার্টআপ পাকিস্তানের খবর অনুযায়ী, শুধুমাত্র ২০১৯ সালে, ১৪ হাজার ছাত্রী সহ ৭৮ হাজার ছাত্র পবিত্র কুরআনের হাফেজ হয়েছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, মাদ্রাসা চার বছরের কম বয়সী বাচ্চাদের ভর্তি করে। তারা মাত্র দুই বছরে পবিত্র কোরআন মুখস্ত করে ফেলেন। কুরআন মুখস্থ করা ছাড়াও, পাকিস্তানের এই মাদ্রাসার ছাত্ররা ইংরেজি, উর্দু, গণিত ইত্যাদি মৌলিক বিষয়ে শিক্ষা পায়। এর মধ্যে আরও রয়েছে পাকিস্তান স্টাডিজ এবং বিজ্ঞান।
ওয়াফাক উল মাদারিসের প্রতিনিধি ক্বারী হাফিজ জলন্ধরী পাকিস্তানে বার্ষিক হাফিজ-ই-কুরআনের সংখ্যা সৌদি আরবের সাথে তুলনা করেছেন।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে আরবি পাকিস্তানের জাতীয় ভাষা না হলেও সৌদি আরবের তুলনায় পাকিস্তানে বেশি শিশু কুরআন মুখস্থ করছে। তিনি উল্লেখ করেন, সৌদি আরবে প্রতি বছর মাত্র পাঁচ হাজার শিক্ষার্থী কুরআন মুখস্ত করে।
ক্বারী হাফিজ জলন্ধরি উল্লেখ করেছেন যে ওয়াফাক উল মাদারিসের প্রচেষ্টা সৌদি সরকারের কাছ থেকে স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশটি মাদ্রাসার প্রশংসা করেছে এবং পুরস্কার দিয়েছে।
2 Comments