নিউইয়র্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
নিজস্ব প্রতিবেদক

নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। ১ জুলাই মঙ্গলবার জ্যামাইকার ৮৭—৪১, ১৬৫ স্ট্রিটে অবস্থিত ইলহাম একাডেমির কনফারেন্স কক্ষে এই আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। এর আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন অব ইউএসএ ইনক ১০৪তম বর্ষ উদযাপন কমিটি।
ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাইদের উদ্যোগে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ছিলেন—মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, আয়শা আক্তার, সজল রোশান, বিলকিস বেগম, জাসির কবির, টুটুল, মোহাম্মদ ইশতিয়াক উদ্দিন, মোহাম্মদ শিকদার, নাসির খান, আখতারুজ্জামান খান।
এছাড়া জাকির পাটোয়ারী, শামিম আল—আমিন, দিলরুবা আয়েশা, মোহাম্মদ বদিউজ্জামান, ইমাম চৌধুরী, ফাইজা করিম, হাবিব খান, শান্ত বিশ্বাস, সাঈদ তারেক, হাবিবুর রহমান, এবি মির্জা ইসলাম, এম এ হক, এম আর চৌধুরী, এম আমির হোসাইন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী হিসেবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শুরু হয় সমবেত কণ্ঠে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা ও পরিচালনায় ছিলেন বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ। অনুষ্ঠানের সিংহভাগজুড়ে ছিল স্মৃতিচারণ। ক্যাম্পাস জীবনের কথা বলতে গিয়ে অনেকেই আবেগে আপ্লম্নত হয়ে পড়েন। কিছু সময়ের জন্য হলেও ফিরে যান শিক্ষাজীবনে।
অনুষ্ঠান উপলক্ষে দেওয়া বাণীতে ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব এ টি এম আব্দুল বাছি জানি বলেন, আমরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারি, আমাদের প্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১০৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে পদার্পণ করেছে। দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অবদান এই প্রতিষ্ঠানকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা গর্বিত যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে আমরা ইতিহাসের অংশ। এই বিশেষ দিনে আমরা সবাই সেই মূল্যবোধকে নতুন করে স্মরণ করি—যেখানে শিক্ষা, মানবিকতা, ন্যায়বিচার এবং দেশপ্রেম একত্রে মিলে রয়েছে। দোয়া করি, যেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আগামী শত—সহস্র বছর ধরে দেশ ও জাতির কল্যাণে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে।
প্রফেসর মুহসিন পাটোয়ারি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছি বলেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠগুলোর শিক্ষকতার সর্বোচ্চ পজিশনে যেতে পেরেছি এবং এজন্য আমি আমার বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে গর্ববোধ করি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বিত শিক্ষার্থী নাসির আলী খান পল বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি কমিউনিটি এবং অন্যান্য কমিউনিটিতে লিডারশিপ কোয়ালিটি আর সাংগঠনিক দক্ষতার যতটুকু দেখাতে পেরেছি, তার পেছনে অবদান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের। এই বিশ্ববিদ্যালয় আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।
জানা যায়, গত কয়েক বছর ধরেই ঢাকা ইউনিভার্সিটি এলামনাইদের উদ্যোগে নিউইয়র্কে এই আয়োজন হয়ে আসছে। প্রতিটি আয়োজনেই যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থীদের সম্মাননা দেওয়া হয়।
কেক কেটে প্রিয় প্রতিষ্ঠানের জন্মদিন উদযাপন করেন সাবেক শিক্ষার্থীরা। নির্মল আড্ডা আর গল্প—গুজবে মেতে ওঠেন সবাই। সবশেষে চলে দলবেঁধে ছবি তোলা। যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশি কমিউনিটিকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরতে বিশেষ অবদান রাখার জন্য শামিম আল আমিনকে সম্মানিত করা হয়।
আমেরিকা এর আরো খবর
.jpeg)
‘বাংলাদেশের স্বপ্ন ও চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান’ গ্রন্থের প্রকাশনা উৎসবে বক্তারা / দেশে সংস্কারের মাধ্যেমে নতুন বন্দোবস্ত সময়ের দাবী

ফোর্থ জুলাইয়ে ‘পার্টি আয়োজনেই সীমাবদ্ধ’ বাংলাদেশী—আমেরিকানরা / যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতা দিবস পালন নিয়ে কমিউনিটিতে নানা প্রশ্ন

২৫ বছর পূর্তি পালনের প্রস্তুতি / জ্যামাইকা বাংলাদেশ ফ্রেন্ডস সোসাইটির সভা

৩৯তম ফোবানা সম্মেলন—২০২৫ / বাফেলো—নায়াগ্রাবাসীর সঙ্গে স্টিয়ারিং কমিটির মতিবিনিময়

ব্রঙ্কসে বাকা’র পথমেলায় হাজারো মানুষের উপস্থিতিতে উৎসবের আমেজ
