আমেরিকা

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্যে সফর

সৌদির সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের

মঙ্গলবার, মে ১৩, ২০২৫, ৩:০৬ অপরাহ্ন সর্বশেষ আপডেট: রবিবার, মে ১৮, ২০২৫, ২:৪৩ অপরাহ্ন
সৌদির সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের

প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে চার দিনের সফরের অংশ হিসেবে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। তিনি ইতিমধ্যেই সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে দেখা করেছেন। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই চুক্তিগুলির মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের একটি অস্ত্র চুক্তিও রয়েছে বলে জানা গেছে। এই সফরের মূল লক্ষ্য হলো অর্থনৈতিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করা এবং বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করা।

 

সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর ট্রাম্প দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে প্রাথমিক বৈঠক করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং আরও অনেকে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

জানা গেছে যে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চলমান সৌদি আরব সফরের সময় যেসব চুক্তি হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি।

 

- এই চুক্তির আওতায় সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম কিনবে।

- প্যাকেজটিতে রাডার সিস্টেম এবং পরিবহন বিমান ক্রয়ও অন্তর্ভুক্ত বলে জানা গেছে।

 

যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের অস্ত্র সরবরাহকারী একটি প্রধান দেশ। যদিও ২০২১ সালে জো বাইডেনের ক্ষমতায় থাকাকালীন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের কিছুটা অবনতি ঘটে। যদিও ইয়েমেন যুদ্ধে দেশটির ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পর বাইডেন প্রশাসন সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করে দেয়।

 

এর আগে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মধ্যপ্রাচ্যে চার দিনের সফরের অংশ হিসেবে সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। তিনি ইতিমধ্যেই সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে দেখা করেছেন। এই সফরে দুই দেশের মধ্যে বেশ কয়েকটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এই চুক্তিগুলির মধ্যে ১০০ বিলিয়ন ডলারের একটি অস্ত্র চুক্তিও রয়েছে বলে জানা গেছে। এই সফরের মূল লক্ষ্য হলো অর্থনৈতিক বিনিয়োগ আকর্ষণ করা এবং বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করা।

 

সৌদি আরবে পৌঁছানোর পর ট্রাম্প দেশটির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের সাথে প্রাথমিক বৈঠক করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং আরও অনেকে সেই সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

জানা গেছে যে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চলমান সৌদি আরব সফরের সময় যেসব চুক্তি হচ্ছে তার মধ্যে রয়েছে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি।

 

এই চুক্তির আওতায় সৌদি আরব যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম কিনবে।

 

প্যাকেজটিতে রাডার সিস্টেম এবং পরিবহন বিমান ক্রয়ও অন্তর্ভুক্ত বলে জানা গেছে।

 

যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে সৌদি আরবের অস্ত্র সরবরাহকারী একটি প্রধান দেশ। যদিও ২০২১ সালে জো বাইডেনের ক্ষমতায় থাকাকালীন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের কিছুটা অবনতি ঘটে। যদিও ইয়েমেন যুদ্ধে দেশটির ভূমিকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করার পর বাইডেন প্রশাসন সৌদি আরবের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করে দেয়।

 

এর আগে, সৌদি সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ড দুই দেশের সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলেছিল। ইউএস গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জানিয়েছে যে, ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এই হত্যাকাণ্ডের অনুমোদন দিয়েছিলেন। তবে, সৌদি আরব সর্বদা এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

 

সৌদি সফরের পর, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতার সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই সফরে গাজার পরিস্থিতি এবং ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

সিএনএন-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, এয়ার ফোর্স ওয়ান মার্কিন সময় ভোর ২:৪৯ মিনিটে (সৌদি সময় সকাল ৯:৪৯ মিনিটে) রিয়াদে অবতরণ করেন ট্রাম্প।

 

রিয়াদের রয়্যাল টার্মিনালে ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাতে একটি রাজকীয় আস্ফদ। পরে, তারা টার্মিনালের ভিতরে একটি ঐতিহ্যবাহী কফি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন, এরপর ট্রাম্প তার হোটেলে চলে যান।

 

সৌদি এবং আমেরিকান পতাকা রিয়াদের রাস্তাগুলি শোভিত করে, যা সফরের রাজকীয় মর্যাদা তুলে ধরে। ট্রাম্প একটি আনুষ্ঠানিক আগমন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন, সিইওদের মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন এবং রয়েল কোর্টে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবেন।

 

ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে উপসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব তার সফরের মাধ্যমে আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এবার এই সফরে ট্রাম্পের অন্যতম মিত্র হিসেবে আবির্ভূত ধনকুবের ইলন মাস্কও উপস্থিত ছিলেন।

 

ট্রাম্প যদি উপসাগরীয় দেশগুলি, বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তহবিল থেকে আমেরিকার জন্য নতুন বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে এটিকে একটি বিশেষ অর্জন হিসেবে প্রচার করবেন। তিনি দেশে ফিরে 'আমেরিকা ফার্স্ট' নীতির সাফল্য প্রচার করতে সক্ষম হবেন।

 

তিনি বুধবার সেখানে উপসাগরীয় নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। একই দিনে তিনি কাতার সফর করবেন। পরের দিন, বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফরের মাধ্যমে তার তিন দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ হবে। দুই দেশের সম্পর্কের উপর প্রভাব ফেলেছিল। ইউএস গোয়েন্দা সংস্থাগুলি জানিয়েছে যে, ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান এই হত্যাকাণ্ডের অনুমোদন দিয়েছিলেন। তবে, সৌদি আরব সর্বদা এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

 

সৌদি সফরের পর, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতার সফর করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এই সফরে গাজার পরিস্থিতি এবং ফিলিস্তিন ইস্যু নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

সিএনএন-এর এক প্রতিবেদন অনুসারে, এয়ার ফোর্স ওয়ান মার্কিন সময় ভোর ২:৪৯ মিনিটে (সৌদি সময় সকাল ৯:৪৯ মিনিটে) রিয়াদে অবতরণ করেন ট্রাম্প।

 

রিয়াদের রয়্যাল টার্মিনালে ট্রাম্পকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানাতে একটি রাজকীয় বেগুনি কার্পেট বিছানো হয়েছিল। সেখানে, সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান ট্রাম্পকে স্বাগত জানান। পরে, তারা টার্মিনালের ভিতরে একটি ঐতিহ্যবাহী কফি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন, এরপর ট্রাম্প তার হোটেলে চলে যান।

 

সৌদি এবং আমেরিকান পতাকা রিয়াদের রাস্তাগুলি শোভিত করে, যা সফরের রাজকীয় মর্যাদা তুলে ধরে। ট্রাম্প একটি আনুষ্ঠানিক আগমন অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন, দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন, সিইওদের মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন এবং রয়েল কোর্টে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবেন।

 

ট্রাম্প প্রশাসনের কাছে উপসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক গুরুত্ব তার সফরের মাধ্যমে আবারও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এবার এই সফরে ট্রাম্পের অন্যতম মিত্র হিসেবে আবির্ভূত ধনকুবের ইলন মাস্কও উপস্থিত ছিলেন।

 

ট্রাম্প যদি উপসাগরীয় দেশগুলি, বিশেষ করে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন তহবিল থেকে আমেরিকার জন্য নতুন বিনিয়োগ নিশ্চিত করতে পারেন, তাহলে এটিকে একটি বিশেষ অর্জন হিসেবে প্রচার করবেন। তিনি দেশে ফিরে 'আমেরিকা ফার্স্ট' নীতির সাফল্য প্রচার করতে সক্ষম হবেন।

 

তিনি বুধবার সেখানে উপসাগরীয় নেতাদের একটি শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবেন। একই দিনে তিনি কাতার সফর করবেন। পরের দিন, বৃহস্পতিবার সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) সফরের মাধ্যমে তার তিন দিনের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ হবে।

 

আরও পড়ুন- যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইউক্রেনের খনিজ চুক্তি স্বাক্ষর

আমেরিকা এর আরো খবর

ট্রাম্পকে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মামদানি

ট্রাম্পকে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মামদানি

১ সপ্তাহ আগে
আমেরিকা
ট্রাম্প প্রশাসনের পদ নিয়ে আলোচনায় এরিক অ্যাডামস

ট্রাম্প প্রশাসনের পদ নিয়ে আলোচনায় এরিক অ্যাডামস

১ সপ্তাহ আগে
আমেরিকা
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র পদে তহবিল সংগ্রহে এগিয়ে জোহরান মামদানি

নিউইয়র্ক সিটি মেয়র পদে তহবিল সংগ্রহে এগিয়ে জোহরান মামদানি

২ সপ্তাহ আগে
আমেরিকা
হারিকেন ইরিনের পর খুলছে নিউইয়র্ক ও নর্থ ক্যারোলিনার সৈকত

হারিকেন ইরিনের পর খুলছে নিউইয়র্ক ও নর্থ ক্যারোলিনার সৈকত

২ সপ্তাহ আগে
আমেরিকা
নিউইয়র্কে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা: পর্যটকবাহী বাস উল্টে ৫ জন নিহত

নিউইয়র্কে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা: পর্যটকবাহী বাস উল্টে ৫ জন নিহত

৩ সপ্তাহ আগে
আমেরিকা
নিউইয়র্কে উচ্ছেদের হার ২০১৮ সালের পর সর্বোচ্চ

নিউইয়র্কে উচ্ছেদের হার ২০১৮ সালের পর সর্বোচ্চ

৩ সপ্তাহ আগে
আমেরিকা
সর্বশেষ
ডাকসু নির্বাচনে ‘ট্যাগ’ দেওয়ার রাজনীতির ভূমিধস পরাজয় হয়েছে: আসিফ নজরুল

ডাকসু নির্বাচনে ‘ট্যাগ’ দেওয়ার রাজনীতির ভূমিধস পরাজয় হয়েছে: আসিফ নজরুল

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে বিজয়ী ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতৃবৃন্দ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা...

নগর ভবন ৪০ দিন বন্ধ, তবু কোটি টাকার তেল খরচ

বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিতে আন্দোলনের...

নগর ভবন ৪০ দিন বন্ধ, তবু কোটি টাকার তেল খরচ

হুন্দাই গাড়ির কারখানা থেকে কয়েকশ কর্মী আটক

যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ায় হুন্দাইয়ের একটি বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদন কারখানায় অভিযান চালিয়ে...

হুন্দাই গাড়ির কারখানা থেকে কয়েকশ কর্মী আটক

ট্রাম্পকে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মামদানি

নিউইয়র্কে মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটপ্রার্থী জোহরান মামদানিকে বিতর্কের আহ্বান জানিয়েছেন অ্যান্ড্রু...

ট্রাম্পকে বিতর্কের চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন মামদানি

সমগ্র মুসলিম উম্মার ঐক্য আরো সুসংহত হোক: প্রধান উপদেষ্টা

মহানবী (সা.)-এর অনুপম জীবনাদর্শ, সর্বজনীন শিক্ষা ও সুন্নাহর অনুসরণ আজকের...

সমগ্র মুসলিম উম্মার ঐক্য আরো সুসংহত হোক: প্রধান উপদেষ্টা

নর্থ ক্যারোলিনায় আগুনে পুড়ে একসাথে চার বোনের মৃত্যু: বেঁচে গেল দুইজন

নর্থ ক্যারোলিনার চ্যাডবর্নে চার কিশোরী বোন বাসায় একা থাকাকালীন সময়ে...

নর্থ ক্যারোলিনায় আগুনে পুড়ে একসাথে চার বোনের মৃত্যু: বেঁচে গেল দুইজন