May 14, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
গরমে শরীর ভালো রাখার উপায়: হিট স্ট্রোকে করণীয়

গরমে শরীর ভালো রাখার উপায়: হিট স্ট্রোকে করণীয়

গরমে শরীর ভালো রাখার উপায়: হিট স্ট্রোকে করণীয়

গরমে শরীর ভালো রাখার উপায়: হিট স্ট্রোকে করণীয়

গত পর্বে আমরা গরমে ভালো থাকার জন্য কতিপয় টিপস দিয়েছি।  এ পর্ব আমরা বাকি টিপসগুলো নিয়ে আলোচনা করব।  টিপসগুলো মেনে চললে গরম থেকে এবং  থেকে অনেকটাই নিরাপদ থাকা যাবে।

চলতি এপ্রিল মাসজুড়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। এই তীব্র গরমে নিজেকে সুস্থ রাখা জরুরি। গরমে সুস্থ থাকতে বেশ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা বলে যে স্বাস্থ্যের উপর তীব্র গরমের প্রভাব ডিহাইড্রেশন হতে পারে। এ ছাড়া হিটস্ট্রোকের মতো সমস্যাও হতে পারে। আপনি এই গ্রীষ্মে কী করতে পারেন তার পরামর্শগুলি পরীক্ষা করে দেখতে পারেন।

রসালো ফলগুলো খেতে চেষ্টা করুন:

তরমুজ, শসা, আখ এবং আমের মতো তাজা রসালো ফল খাওয়ার চেষ্টা করুন। পানি ছাড়াও ডাব, জুস, লাচি, লেবুপাতা, দই ইত্যাদি খেতে পারেন এতে শরীর আর্দ্র থাকবে। উচ্চ প্রোটিন জাতীয় খাবারের পরিবর্তে অল্প পরিমাণে খান।

খাবার স্যালাইন সাথে রাখুন:

খাবার স্যালাইন (ওরাল রিহাইড্রেশন সলিউশন) হাতে রাখুন। এগুলো কেনার জন্য সহজলভ্য। যদি না পাওয়া যায় তবে আপনি এগুলি বাড়িতে নিজেই তৈরি করতে পারেন।

সরাসরি সূর্যের আলো পরিহার করুন:

সরাসরি সূর্যালোক বা অতিরিক্ত পরিশ্রম এড়িয়ে চলুন। সরাসরি রোদে যাবেন না, বিশেষ করে সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টার মধ্যে। দিনের এই সময়টি সবচেয়ে উষ্ণ।

সানগ্লাস ব্যবহার:

সূর্যের আলো থেকে চোখ বাঁচাতে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। এ ছাড়া সরাসরি সূর্যের আলোতে না গিয়ে পায়ে ছাতা, টুপি, জুতা-স্যান্ডেল ব্যবহার করুন।

তৃষ্ণা না পেলেও প্রচুর পানি পান করুন।

নিয়মিত গোসল করুন:

সম্ভব হলে একাধিকবার গোসল করতে পারেন। বিশেষ করে ঘুমানোর আগে গোসল করলে শরীরের তাপমাত্রা কম থাকবে।

ঘরের দরজা জানালা খুলে রাখার চেষ্টা করুন:

ঘরের  দরজা জানালা রৌদ্র থাকলেও খোলা রাখার চেষ্টা করুন তাতে ঘরের তাপ বের হয়ে বাইরের বাতাস ঘরকে ঠান্ডা রাখাবে। ঘর ঠাণ্ডা রাখুন এবং ঘরে বাতাস প্রবেশ করতে দিন।

নিচের সমস্যাগুলো ডাক্তারের পরামর্শ নিন:
  • কারো শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, দুর্বলতা এবং মাথা ঘোরা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
  • গরমের দিনে খাবার একটু এদিক ওদিক হলে পেটে ব্যথা, পেটে ব্যথা এবং হজমের ব্যাঘাত ঘটে। বাইরে খাওয়ার আগে সচেতন হোন।
  • গ্রীষ্মের অতিরিক্ত গরমে চুলকানির সমস্যা বাড়ে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে হলে অতিরিক্ত গরমে প্রচুর পানি পান করতে হবে। দিনে অন্তত দুবার গোসল করা উচিত। দিনে অন্তত একবার গোসলের সময় সাবান লাগাতে হবে। ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার বেশি পরিমাণে খেতে হবে।
  • গ্রীষ্মকালে একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার নাম হিটস্ট্রোক। চিকিৎসা বিজ্ঞানের মতে, প্রচন্ড গরম আবহাওয়ায় শরীরের তাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে শরীরের তাপমাত্রা ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি হলে তাকে হিটস্ট্রোক বলে। হিটস্ট্রোক এড়াতে যতটা সম্ভব বাড়ির ভিতরে বা ছায়াযুক্ত জায়গায় থাকুন। পানির পাশাপাশি লবণযুক্ত পানীয় যেমন: খাবার স্যালাইন, ফলের রস, লাচি ইত্যাদিও খেতে হবে। চা এবং কফির মতো তাপমাত্রা বাড়ানোর পানীয় যতটা সম্ভব কম খাওয়া উচিত।
হিটস্ট্রোকে কী কী লক্ষণ দেখা দিতে পারে:

১. আপনার শরীর যদি রোদে শুকিয়ে যায় বা আপনার তাপে ব্যথা হয় তবে আপনি জ্ঞান হারাতে পারেন। প্রায় ১০২ ডিগ্রি জ্বরও হতে পারে। শরীরের বিভিন্ন জায়গা ফুলে যেতে পারে।

২. ঘন ঘন হাঁপানো, অত্যধিক ঘাম, বমি বা ঘন ঘন বমি হওয়া, মাথা ঘোরা, সূর্যের অতিরিক্ত পরিশ্রম বা তাপ ক্লান্তির লক্ষণ।

৩. হিট স্ট্রোকের কারণে শরীরের তাপমাত্রা 104 ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছে যেতে পারে। চেতনা হারানো এর লক্ষণগুলির মধ্যে একটি। অবস্থার অবনতি হলে রোগী কোমায় চলে যেতে পারে বা মারাও যেতে পারে।

৪. শরীরের তাপমাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি, গরমে অজ্ঞান হওয়া, মাথা ঘোরা, প্রচণ্ড মাথাব্যথা, ঘাম কমে যাওয়া, গরম ও শুষ্ক ত্বক, শারীরিক দুর্বলতা এবং পেশীতে টান, বমি, হৃদস্পন্দন বৃদ্ধি, শ্বাস নিতে অসুবিধা, মানসিক হ্যালুসিনেশন, খিঁচুনির মতো লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

হিট স্ট্রোকে করণীয়:
  • কারো হিটস্ট্রোক হলে বা অজ্ঞান হয়ে গেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে, কাজ করা হয়েছে-
  • হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত ব্যক্তিকে অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা বা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে নিয়ে যেতে হবে। রোগীর শরীর থেকে অপ্রয়োজনীয় কাপড় খুলে ফেলতে হবে।
  • রোগীর শরীর বায়ুচলাচল করতে হবে। ঠান্ডা জলে কাপড় ভিজিয়ে মুছে ফেলুন।
  • শরীরের তাপমাত্রা কমাতে বগল, ঘাড়, পিঠ এবং কুঁচকিতে বরফের প্যাক ব্যবহার করা যেতে পারে।
  • এবং যথাসম্ভব নিকটবর্তী হসপিটালে নিয়ে যেতে হবে এবং প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে।

    Leave a Reply

    Your email address will not be published.

    X