July 27, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
জীবন সঙ্গী কি পরকীয়া আসক্ত ? কিভাবে এগুবেন?

জীবন সঙ্গী কি পরকীয়া আসক্ত ? কিভাবে এগুবেন?

জীবন সঙ্গী কি পরকীয়া আসক্ত ? কিভাবে এগুবেন?

জীবন সঙ্গী কি পরকীয়া আসক্ত ? কিভাবে এগুবেন?

পরকীয়া কোনো সুখকর জিনিস নয়। এটি একটি পরিবারকে চিরতরে ধ্বংস করতে পারে। আপনার সঙ্গী যদি আপনাকে ছেড়ে দেয় এবং অন্য কারো সাথে সম্পর্ক শুরু করে, তবে এটি কি সেখানেই শেষ? নাকি ফেরার পথ আছে? আসলে, চাইলে অনেক কিছুই সম্পন্ন করা যায়, এবং কিছু জিনিস দ্বিতীয়বার চিন্তা করা যেতে পারে।

হয়তো আপনার  হৃদয় ভেঙে গেছে। আপনার সঙ্গী আপনাকে নয় অন্য কাউকে ভালোবাসে এটা সহ্য করা আপনার পক্ষে খুবই কঠিন। এই ধরনের ক্ষেত্রে, আপনি রাগে খুব কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। কিন্তু তার আগে একটু ভেবে দেখুন, আপনার সঙ্গী ভুল করছেন। তার ভুল বোঝানোর মাধ্যমে আপনি তাকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনতে পারেন। আপনার সাহায্যে, সে তার ভুল বুঝতে পারে। জেনে নিন এ ক্ষেত্রে কী করা উচিত-

ইতিবাচক মনোভাব রাখুন

যদিও এটা আপনার এবং সবার জন্যই অত্যন্ত কঠিন হবে।  তবে যতটা সম্ভব ইতিবাচক থাকার চেষ্টা করুন। আপনার সঙ্গীর উপর রাগ করবেন না। রাগ করে কেউ সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। তার দিকটা ভাবার চেষ্টা করুন। কিসে তাকে এমন ভুলের দিকে ঠেলে দিল, কেন সে অন্য কারো উপর মন বসাল? যদি, তার সাথে শান্তভাবে কথা বলার পরে, তিনি নিজের ভুল বুঝতে পারেন এবং কারণগুলি ব্যাখ্যা করেন তবে সমাধানটি আরও সহজ হবে।

সে কি চায়?

সে কি চায় আগে শুনুন। কি তাকে বিপথে নিয়ে গেছে তা খুঁজে বের করুন। বিনা দ্বিধায় তার সাথে কথা বলুন। তার মানসিক অবস্থা বোঝার চেষ্টা করুন। তার সাথে যোগাযোগ করুন। আপনি যদি সত্যিই তাকে রাখতে চান তবে আপনি তাকে আরেকটি সুযোগ দিতে পারেন।

সময় নিন

তিনি হয়তো ভাবছেন এই সম্পর্ক সাময়িক ভুল। খুব শীঘ্রই সে তার ভুল বুঝতে পারবে এবং সমস্ত আকর্ষণ ত্যাগ করবে এবং আপনার কাছে ফিরে আসবে। তাই একদিনে সিদ্ধান্ত নেবেন না। আগে ভালো করে কথা বলার চেষ্টা করুন। আর আপনি যদি তাকে কোনোভাবেই গ্রহণ করতে না পারেন তবে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তাকে বিদায় দিন। এটাই উত্তম ।

জানলে মজা পাইবেন কোন কোন পেশার লোকজন তুলনামূলক পরকীয়ায় বেশি জড়িত । যদিও এটি একটি গবেষণার ফল মাত্র।

বিশ্বব্যাপী পরকীয়া মারাত্মক হয়ে উঠেছে। ফলে বিবাহ বিচ্ছেদের হারও বাড়ছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ ধরনের সম্পর্ক পারিবারিক জীবনে অশান্তি সৃষ্টি করে। যা বিচ্ছেদের দিকে নিয়ে যায়।

যদিও সকল পেশা এবং সকল জাতের মানুষই এই ভয়াবহ মজার কাজে জড়িত সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, ১০ টি পেশা সবচেয়ে পরকীয়া আচ্ছন্নের স্থান । তাদের সবার শীর্ষে রয়েছেন চিকিৎসকরা। তারপরে রয়েছে শিক্ষকরা, তারপরে উদ্যোক্তা এবং অর্থনীতিবিদরা।

যদিও পরকীয়া সরাসরি জীবিকার সাথে সম্পর্কিত নয়, একটি অনলাইন ডেটিং মাধ্যম সম্প্রতি একটি সমীক্ষা পরিচালনা সিকশক্রা,  কোন পেশার লোকেরা সবচেয়ে বেশি পরকীয়া করে। আর সেই জরিপের ভিত্তিতেই জানা যায় কোন পেশার মানুষরা সবচেয়ে বেশি পরকীয়া করে, তার চমকপ্রদ তথ্য।

একটি জনপ্রিয় ডেটিং ওয়েবসাইট অ্যাশলে ম্যাডিসনের সাম্প্রতিক একটি গবেষণা অনুসারে, ১০ টি পেশার পরকীয়ার হার সবচেয়ে বেশি। আর এ পেশার মানুষের মধ্যে পরকীয়ার প্রবণতায় শীর্ষে রয়েছেন চিকিৎসকরা। ডেটিং ওয়েবসাইটটি ১০০০ বিবাহিত মানুষের উপর জরিপ পরিচালনা করেছে।

সমীক্ষায় দেখা গেছে যে পরকীয়ার  সাথে জড়িত ২৩ শতাংশ মহিলা ছিলেন ডাক্তার এবং নার্স। এর কারণ হিসেবে তারা জানান, দীর্ঘ সময়  কাজ করার কারণে মানসিক চাপ কমাতে তারা পরকীয়াতে জড়িয়ে পড়েন। অন্যদিকে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত পুরুষদের মধ্যে মাত্র ৫ শতাংশ চিকিৎসক ছিলেন।

তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন শিক্ষকরা। এই পেশার লোকেরা পরকীয়া সম্পর্কে সবচেয়ে বেশি আগ্রহী। ১২ শতাংশ মহিলা এবং ৪ শতাংশ পুরুষ পরকীয়ার সাথে জড়িত গবেষক, তাদের মধ্যে  যেমন অধ্যাপক, প্রভাষক বা শিক্ষকরা রয়েছেন ।

তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন উদ্যোক্তা ও অর্থনীতিবিদরা। জরিপে দেখা গেছে, ৯ শতাংশ নারী এবং ৮ শতাংশ পুরুষ বৈদেশিক বিষয়ে আগ্রহী এই ধরনের পেশায় জড়িত।

তালিকায় পরবর্তীতে রয়েছেন খুচরা বিক্রেতা, সমাজকর্মী, সাংবাদিক, তথ্যপ্রযুক্তি বা আইটি  কর্মী, আইনজীবী, বিনোদন শিল্পের মানুষ, কৃষি ও রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা।

আশ্চর্যজনকভাবে, আইটি বিভাগে কর্মরত ৫ শতাংশ পুরুষ এবং 23 শতাংশ মহিলা বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িত।

জরিপ অনুযায়ী এ পরকীয়া পেশায় পুরুষদের চেয়ে মহিলারা অনেক অগ্রগামী ।পুরুষরা  যেখানে ৩০ শতাংশ;  মহিলার সেখানে ৭০% পরকীয়া কর্মে  জড়িত ।

পরকীয়া পারিবারিক অশান্তি সৃষ্টি করে। অনেক সময় মারামারি, খুনের মতো ভয়াবহ ঘটনাও ঘটে এর জের ধরে। আর পরকীয়ার কারণে পারিবারিক কাঠামো ভেঙে পড়ছে। কষ্টের গড়া  স্বপ্নের সংসারও  ভেঙ্গে যাচ্ছে।

পরকীয়া মানুষকে ব্যভিচারের দিকে আকৃষ্ট করে। কিন্তু ইসলামে এটা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, “তোমরা ব্যভিচারের কাছেও যেও না।” প্রকৃতপক্ষে, এটি একটি অশ্লীল কাজ এবং একটি খারাপ পথ। (সূরা: বনী ইসরাইল-আয়াত:৩২)

পরকীয়া থেকে বাঁচতে
  • আপনাকে অবশ্যই ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে।
  • পুরুষ এবং মহিলা উভয়ের মধ্যে থাকতে হবে আল্লাহর ভয।
  • মানতে হবে দুজনকেই শতভাগ পর্দার বিধান ।
  • আল্লাহকে ভালোবেসে করতে হবে চোখের হেফাজত ।
  • অনলাইন ডিভাইস গুলো থেকে অবশ্যই দূরে থাকতে হবে।
  • থাকতে হবে পরিবারের অন্যান্য সদস্য ও সম- জেন্ডারের বন্ধুবান্ধবদের সাথে মিলেমিশে।

এটাকে যদি আপনি ইসলাম বলেন তাহলে এটাই ইসলাম। এটাকে যদি আধুনিক মনে করেন এটাই সর্বাধুনিক। এবং এর চেয়ে স্মার্ট কোন পদ্ধতি জানা থাকলে কমেন্টস বক্সে লিখে  জানাবেন।

হয়তোবা জ়ানিয়া থাকিবেন বা ভাবিয়া থাকবেন যে,পরকীয়া ব্যভিচারের চেয়েও জঘন্য পাপ। পরকীয়ার মূল উদ্দেশ্যই হল জেনা (অবৈধ সম্পর্ক)। এবং এটি সাধারণত নিকটতম বা দূরবর্তী প্রতিবেশীর সাথে বিকাশ লাভ করে। কখনও অফিসের সহকর্মী বা পরিচিতদের সঙ্গে। তাই নবী (সা.) এ ব্যাপারে উম্মতকে অত্যধিক জোড়ালোভাবে সতর্ক করেছেন।

আরও জানুন

চীনা তরুণ প্রজন্ম বিয়ের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X