July 27, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস

আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস

আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস

আজ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রতি ১৪ জনের একজন থ্যালাসেমিয়া বাহক। দেশে ৭০ হাজারের বেশি শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত। প্রতি বছর ৬ হাজার শিশু বিভিন্ন ধরনের থ্যালাসেমিয়া নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। এমন পরিস্থিতিতে আজ (৮ মে) বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে পালিত হচ্ছে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস।

চিকিৎসকদের মতে, থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত রক্ত স্বল্পতাজনিত রোগ। এই রোগীরা অল্প বয়স থেকেই রক্তস্বল্পতায় ভোগেন। তাদের বৈশিষ্ট্য হল যেহেতু তারা তাদের শরীরে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ রক্ত তৈরি করতে পারে না, তাই তাদের অন্যের কাছ থেকে রক্ত নিয়ে বেঁচে থাকতে হয়।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ৭ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় এক কোটি মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। থ্যালাসেমিয়া বাহকদের আন্তঃবিবাহের মাধ্যমে প্রতি বছর সাত হাজার নতুন থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশুর জন্ম হয়। থ্যালাসেমিয়া রোগীরা মাসে এক থেকে দুই ব্যাগ রক্ত পেয়ে বেঁচে থাকে। যদি চিকিত্সা না করা হয় তবে এই রোগীরা রক্তশূন্যতায় মারা যায়।

এদিকে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বক্তব্যে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, থ্যালাসেমিয়ার চিকিৎসা দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল এবং কিছু ক্ষেত্রে জটিলও হতে পারে। তাই এ রোগ প্রতিরোধে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার কোনো বিকল্প নেই। থ্যালাসেমিয়ার বিস্তার রোধে বাহক এবং আত্মীয়দের মধ্যে বিয়ে নিরুৎসাহিত করা উচিত। ঝুঁকিপূর্ণ ক্ষেত্রে সন্তান ধারণের পর প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।

ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, থ্যালাসেমিয়া একটি দুরারোগ্য বংশগত রক্ত স্বল্পতাজনিত রোগ। বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সোসাইটি এই রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। বাংলাদেশে এ রোগের জিন বাহকের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। বাহকের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, যা দেশের সার্বিক সুস্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বাহকে-বাহকে বিয়ে হলে দম্পতির সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।  তাই বিয়ের আগে  পাত্র-পাত্রী এই রোগের জিন বাহক  কিনা তা জানা খুবই জরুরি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X