May 16, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
জামাই শাহীন আফ্রিদিকে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্তকে ভুল বলছেন শহীদ আফ্রিদি

জামাই শাহীন আফ্রিদিকে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্তকে ভুল বলছেন শহীদ আফ্রিদি

জামাই শাহীন আফ্রিদিকে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্তকে ভুল বলছেন শহীদ আফ্রিদি

জামাই শাহীন আফ্রিদিকে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্তকে ভুল বলছেন শহীদ আফ্রিদি

পাকিস্তানের ব্যর্থ বিশ্বকাপ অভিযানের পর বাবর আজম তিন সংস্করণেরই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন। ১৫ নভেম্বর বাবরের পদত্যাগের দুই ঘন্টার মধ্যে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করে। ব্যাটসম্যান শান মাসুদ টেস্টে, ফাস্ট বোলার শাহীন আফ্রিদি টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্ব পেয়েছেন। আগামী কয়েক মাস কোনো ওয়ানডে না থাকায় এই সংস্করণে নতুন অধিনায়কের নাম ঘোষণা করা হয়নি।

চলতি মাসে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয় মাসুদের। তার নেতৃত্বে অস্ট্রেলিয়া সফরে এরই মধ্যে সিরিজ হেরেছে পাকিস্তান। নতুন বছরে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হবে আফ্রিদির। ১২থেকে ২১ জানুয়ারির মধ্যে নিউজিল্যান্ড সফরে পাকিস্তান পাঁচটি টি-টোয়েন্টি খেলবে।

পিএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজি লাহোর কালান্দার্সকে টানা দুটি শিরোপা জিতে নেওয়া আফ্রিদি জাতীয় দলের নেতা হিসেবে কতটা ভাড়ায় তা বোঝা যাবে কয়েকদিনের মধ্যেই। কিন্তু শাহীন আফ্রিদির শ্বশুর শাহিদ আফ্রিদির বলেন, তার জামাইকে পাকিস্তানের নেতৃত্বে আনার সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।

পাকিস্তান দলের সাথে শহীদ আফ্রিদিও এই মুহূর্তে অস্ট্রেলিয়ায় অবস্থান করছেন। বাবর, রিজওয়ান, শাহীন অস্ট্রেলিয়া গিয়েছিলেন খেলতে আর শহীদ আফ্রিদি গিয়েছিলেন তার ফাউন্ডেশনের কাজে। আজ মেলবোর্নে ফাউন্ডেশনের এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, আমি রিজওয়ানকে টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চাই। কিন্তু ভুল করে শাহীনকে অধিনায়ক করা হয়। আমি রিজওয়ানকে তার কঠোর পরিশ্রম এবং খেলায় মনোযোগ দেওয়ার জন্য প্রশংসা করি। সে   কী করেছে বা কী করেনি তা নিয়ে তিনি আগ্রহী নন। তার সেরা গুণটি কেবল খেলায় মনোনিবেশ করা। সে সত্যিই একজন পরিশ্রমী  খেলয়ার।’

জামাতা শাহীনকে অধিনায়কত্ব থেকে দূরে রাখতে চান শহীদ আফ্রিদি

সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শাহীন আফ্রিদি, মোহাম্মদ রিজওয়ানসহ পাকিস্তান দলের আরও কয়েকজন সদস্য। শহীদ আফ্রিদির মন্তব্য শুনে সবাই হেসে ফেলেন।

জামাই শাহীনের নেতৃত্ব নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করলেন শ্বশুর শহীদ আফ্রিদি। দুই বছর আগে লাহোর কালান্দার্সের নেতৃত্ব পাওয়ার পর তিনি শাহীনকে বলেছিলেন, “তার উচিত আরও এক বা দুই বছর অধিনায়কত্বের চিন্তা ছেড়ে দিয়ে শুধু বোলিংয়ে মনোনিবেশ করা।”

কিন্তু লাহোরে দুইবার শিরোপা জিতে শ্বশুরকে ভুল প্রমাণ করলেন শাহীন। এবার জাতীয় দলের হয়ে নেতৃত্বের গুণ দেখিয়ে শ্বশুরকে ভুল প্রমাণ করার পালা শাহীনের।

বিশ্বকাপ অভিযানে সেমিফাইনালের আগে ছিটকে যাওয়ার পর পাকিস্তান জাতীয় দলের নেতৃত্বে এসেছে পরিবর্তন। টেস্ট দলের অধিনায়ক হয়েছেন শান মাসুদ। টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়কত্ব পেয়েছেন শাহীন আফ্রিদি। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এখনও কাউকে ওয়ানডে দলের অধিনায়ক ঘোষণা করেনি। বাবর আজম তিন সংস্করণের জন্য অধিনায়ক পদ থেকে সরে যাওয়ার পর এই পরিবর্তনগুলি এসেছে।

এর প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তানের প্রাক্তন অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি বলেছিলেন যে তিনি তার জামাই শাহীন আফ্রিদিকে অধিনায়ক করার বিষয়ে কোনও সুপারিশ বা ওকালতি করেননি। বরং বাঁহাতি পেসারকে আপাতত অধিনায়কত্ব থেকে দূরে রাখার পক্ষে ছিলেন তিনি।

শাহীনের অধিনায়কত্ব, শহীদ আফ্রিদি পেছন থেকে কল-কাঠি নেড়েছেন—এমন কোনো বিতর্ক প্রেস বা সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে দেখা যায়নি। তবে, পাকিস্তানের মিডিয়া “ক্রিকেট পাকিস্তান” শুধুমাত্র জানিয়েছে যে, চারপাশ থেকে আসা গুজব বন্ধ করতে, শাহীনের শ্বশুর শহীদ আফ্রিদি স্থানীয় মিডিয়ার সাথে শাহীনের নেতৃত্বের বিষয়ে কথা বলেছেন, “আমি সবসময় মোহাম্মদ রিজওয়ানের পক্ষে ছিলাম। আমি শপথ করে বলছি, শাহীনকে অধিনায়ক করার জন্য আমি কারো সাথে কথা বলিনি বা লবিং করিনি। আমি এসবের সাথে জড়িত নই। আমার এসব করার দরকার নেই, এবং আমি এগুলো পছন্দও করি না।

আফ্রিদি উল্টো দাবি করে বলেন, আমি বলেছি বাবরকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া ঠিক হয়নি। শাহীনকে অধিনায়কত্ব থেকে দূরে রাখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এটা ঘটে; শেষ পর্যন্ত এমনটাই হয় অধিনায়কদের কপালে।

শাহীন আফ্রিদি গত সেপ্টেম্বরে শাহিদ আফ্রিদির মেয়ে আনশা আফ্রিদিকে বিয়ে করেন। পাকিস্তানের টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হওয়ার আগে পিএসএলে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। লাহোর কালান্দার্স তার নেতৃত্বে ২০২২ এবং ২০২৩ সালে পিএসএল জিতেছিল।

শাহীন আফ্রিদি বিশ্বকাপে ৯ ম্যাচে ১৮ উইকেট নিয়েছিলেন

এই বিশ্বকাপে শাহীন ১৮ উইকেট নিলেও দল হিসেবে ভালো করতে পারেনি পাকিস্তান। বাবর আজমের দল লীগ পর্বে ৯ ম্যাচের মধ্যে ৪ জয় এবং ৫ হারে পয়েন্ট টেবিলের পঞ্চম স্থানে নিয়ে বিশ্বকাপ শেষ করেছে। বাবর নিজেও অধিনায়ক হিসেবে সমালোচিত হন। বিশ্বকাপের সময় গুঞ্জন উঠেছিল যে টুর্নামেন্ট শেষে বাবরকে অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে। বাবর নিজেই নেমে যাওয়ায় পিসিবিকে আর সে পথে হাঁটতে হয়নি।

    Leave a Reply

    Your email address will not be published.

    X