July 27, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
হোটেলে ঘোড়ার মাংস বিক্রি: ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

হোটেলে ঘোড়ার মাংস বিক্রি: ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

হোটেলে ঘোড়ার মাংস বিক্রি: ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

হোটেলে ঘোড়ার মাংস বিক্রি: ৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা

এমন একটি ধাঁধা হয়তো বা  অনেকেই শুনেছেন।

নামে আছে কামে নাই, ঘরে আছে বাজারে নেই। উত্তর হলঃ- ঘোড়ার ডিম ।

কিন্তু ঘোড়ার মাংস বিক্রয় করা, হোটেলে খাওয়ানো এ অসম্ভব ঘটনা আপনি কখনো না শুনিয়া থাকলেও লক্ষ্মীপুরের কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী এ অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছে। যাবেন কোথায়?  আর ভারতীয় পচা গরুর মাংস ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশের হোটেল গুলোতে দেদারছে বিক্রি হচ্ছে। সেখানে মসলার প্রাচুর্যের মাঝে সেটা কখনো কালা-ভুনা, কখনো লাল-ভুনা বা বিভিন্ন রূপে আপনার কাছে প্রকাশ পাচ্ছে । অজান্তেই খেয়ে ফেলছেন এই পচা এবং অস্বাস্থ্যসম্মত গরুর মাংস।

লক্ষ্মীপুর জেলা শহরের একটি হোটেলে গরুর মাংস হিসেবে ঘোড়ার মাংস বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। হোটেল মালিক মো. সবুজ, হোটেলের ম্যানেজার মো. রিয়াজ ও মাংস সরবরাহকারী কসাই মো. চৌধুরী ওরফে শাহ আলমকে আসামি করা হয়।

তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। বৃহস্পতিবার বিকেলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নাজির ইয়াসিন আরাফাত বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, আবদুল কাদের নামে এক ব্যক্তি খাবার হোটেলে ঘোড়ার মাংস গরুর মাংস হিসেবে বিক্রি করে কর্তৃপক্ষ প্রতারণা করছে বলে মামলা করেছেন। সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সদর আদালতে ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক তারেক আজিজ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করতে সদর মডেল থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

মামলার বাদী আব্দুল কাদের (৪০) সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পশ্চিম লতিফপুর গ্রামের সফি মিয়ার ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, বাদী আব্দুল কাদের বিভিন্ন কাজে লক্ষ্মীপুরের বাড়ি থেকে আসা-যাওয়া করতেন। দুপুরের খাবার বেশির ভাগ সময় হোটেলেই খেতে হয়। গত ১৭ মে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এলাকায় ঝুমুর হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে খেতে যান তিনি। তখন হোটেলের কর্মীরা জানান, ভালো মানের গরুর মাংস আছে। বাদী সরল বিশ্বাসে একটি উপাদেয় হিসেবে গরুর মাংসের অর্ডার দেন। এটি খাওয়ার সময় তাকে সন্দেহজনক করে তোলে। এ ঘটনায় তিনি আসামি সবুজ ও রিয়াজের কাছে মাংসের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু তারা বলেছে, ‘হোটেলে শুধু গরুর মাংস বিক্রি হয়। সকালে তাজা গরুর মাংস কিনে রান্না করা হয়।

এদিকে দুই দিন পর একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঝুমুর হোটেলে ঘোড়ার মাংস বিক্রি হচ্ছে। আব্দুল কাদেরের নজরে আসে খবরটি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কসাই চৌধুরীর কাছ থেকে ঘোড়ার মাংস এনে ঝুমুর হোটেলে বিক্রি করা হয়। এ ঘটনায় হোটেল মালিক সবুজ ও কসাই চৌধুরীকে আটক করেছে পুলিশ। তদন্তে ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হয়েছে বলে জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছেন বাদী। এটি প্রতারণা এবং বিশ্বাসঘাতকতা। হাজার হাজার মানুষকে প্রতারণা করছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। এ কারণে আব্দুল কাদের বাদী হয়ে গত ১৪ জুন সদর আদালতে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন বলেন, মামলার বিষয়ে আমি অবগত নই। গ্রেপ্তারি পরোয়ানার নির্দেশনা আমরা এখনো পাইনি। নির্দেশনা পত্র পাওয়ার পর অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে যথাসময়ে আদালতে সোপর্দ করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X