সহজভাবে হজের শিক্ষা
হজের ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নতগুলো কী কী?

হজ্জ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি এবং এটি একটি ফরজ ইবাদত। শারীরিক ও আর্থিকভাবে এটি আদায় করার ক্ষমতাসম্পন্ন মুসলমানদের উপর জীবনে একবার ফরজ। হজ্জের মাধ্যমে পাপ ক্ষমা করা হয়, জান্নাতের প্রতিশ্রুতি পাওয়া যায় এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ শক্তিশালী হয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, "কবুল হজ্জের প্রতিদান জান্নাত ছাড়া আর কিছুই নয়।"
হজ ইসলামের মৌলিক পাঁচ ভিত্তির অন্যতম। শারীরিক ও আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান নারী-পুরুষের ওপর হজ ফরজ।
কুরআন কারিমে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহর তরফ থেকে সেসব মানুষের জন্য হজ ফরজ, যারা তা আদায়ের সামর্থ্য রাখে (সুরা আলে ইমরান; আয়াত: ৯৭)।
ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে হজ যেহেতু একটি স্পেশাল আমল। তাই এই আমলটির ফরজ, ওয়াজিব ও সুন্নাতগুলো জানা থাকলে সহজে আদায় করা সম্ভব হয়। তাই নিচে এগুলোর উল্লেখ করছি ।
হজের ফরজ ৩ টি:
১. ইরামের নিয়ত বা ইচ্ছা করা।
২. অকুফে আরাফা করা, (আরাফাতের ময়দানে অবস্থান) ৯ জিলহজ জোহর থেকে ১০ জিলহজ ফজরের আগপর্যন্ত যেকোনো সময় আরাফাতের ময়দানে অবস্থান করা।
৩. তাওয়াফে জিয়ারত করা, (কাবাঘর প্রদক্ষিণ) ১০ জিলহজ ভোর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্ত পর্যন্ত যেকোনো সময় কাবাঘর তাওয়াফ বা সাতবার প্রদক্ষিণ করা।
হজের ওয়াজিব ৭টি:
১. সাফা ও মারওয়া সায়ি করা বা দৌড়ানো। (এটি গুরুত্বপূর্ণ একটি ওয়াজিব এবং অনেক আলেমের মতে এটি ফরজ) ।
২. আরাফা থেকে মিনায় ফেরার পথে মুজদালিফা নামের স্থানে ১০ জিলহজ ভোর থেকে সূর্যোদয় পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কিছু সময় অবস্থান করা।
৩. রমিয়ে জিমার বা ১০, ১১ ও ১২ জিলহজ জামারায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপ করা।
৪. তামাত্তু ও কিরান হজে দমে শোকর করা ।
৫. মাথার চুল মুড়িয়ে বা কেটে ইহরাম সমাপ্ত করা ।
৬. বিদায়ী তাওয়াফ করা ।
৭. মদিনা শরিফ রওজাতুন নবী (সা.) জিয়ারত করা।
হজের সুন্নত কাজগুলো:
১. ইহরাম বাঁধার সময় গোসল বা অজু করা এবং শরীরে সুগন্ধি মাখা।
২. নতুন বা পরিষ্কার চাদর পরা। সাদা হওয়া উত্তম
৩. ইহরাম বাঁধার আগে দুই রাকাত নামাজ আদায় করা।
৪. বেশি বেশি তালবিয়া পড়া।
৫. মক্কাবাসী ব্যতিত অন্যরা হজে ইফরাদ বা কিরান করাকালীন তাওয়াফে কুদুম করা।
৬. মক্কায় থাকাকালীন বেশি বেশি তাওয়াফ করা।
৭. ইজতিবা করা। (তাওয়াফ আরম্ভ করার আগে চাদরের এক দিককে নিজের ডান বাহুর নিচে রাখা এবং অপর দিককে বাম কাঁধের ওপর পেঁচিয়ে দেওয়া)।
৮. তাওয়াফের সময় রমল করা (অর্থাৎ প্রথম তিন চক্কর সৈনিকের মতো বীরদর্পে চলা)
৯. সাঈ করার সময় উভয় মিলাইনে আখজারাইনের (সবুজ বাতি) মধ্যখানে জোরে হাঁটা (পুরুষদের জন্য) ।
১০. তাওয়াফের প্রত্যেক চক্করে হাজরে আসওয়াদে চুমু দেওয়া। চুমু দেওয়া সম্ভব না হলে হাজরে আসওয়াদের দিকে হাত উঁচিয়ে ইশারা করে হাতে চুমু দেওয়া।
১১. কোরবানির দিনসমূহে মিনায় রাত যাপন করা।
লাইফ স্টাইল এর আরো খবর

সহজভাবে হজের শিক্ষা / হজ কী? সময়, স্থান, প্রকারভেদ
.jpg)
মিথ্যা বললে তা বুঝা যাবে ব্যক্তির ‘পা’ দেখে: এফবিআই
.jpg)
আসন্ন ঈদুল আজহায় প্রস্তুতি / এবার কোরবানিযোগ্য পশু সোয়া কোটি, উদ্বৃত্ত থাকতে পারে ২০ লাখের বেশি: করা হবেনা আমদানি

বিশ্বব্যাপী বাড়ছে বাংলাদেশি পণ্যের কদর / বাংলাদেশি ২৪ পণ্য পেল ‘জিআই সনদ’

বিয়ের আগে বর-কনের যেসব স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নেয়া ভালো
