সহজভাবে হজের শিক্ষা
হজ কী? সময়, স্থান, প্রকারভেদ

হজ: আরবি শব্দ যার অর্থ "আকাঙ্ক্ষা করা" "ইচ্ছা করা" "ভ্রমণ করা"। হজ ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে একটি। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাধ্যতামূলক দ্বীনি কাজ যা শারীরিক, আর্থিক এবং মানসিকভাবে সক্ষম প্রতিটি মুসলিমকে তাদের জীবনে অন্তত একবার পালন করতে হবে।হাদীসে হজযাত্রীদের আল্লাহর মেহমান হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়েছে।
হজের তাৎপর্য:
- মহিলাদের জন্য হজ জিহাদের সমতুল্য। এবং এটি জান্নাত অর্জনের একটি মাধ্যম।
- হজ মুসলিমের মধ্যে শান্তি ও পবিত্রতা নিয়ে আসে এবং অতীতের সকল পাপ মুছে দেয়।
- হজ ভ্রমণের সময় ইহরামের পোশাক (কাফন) পরিধান করা পরিবার ও আত্মীয়স্বজন ত্যাগ করে পরকালের পথে যাত্রা করার কথা মনে করিয়ে দেয়।
- হজ ভ্রমণের সময় আল্লাহর বিধি-নিষেধ মেনে চলা স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, একজন মুমিনের জীবন অবাধ গড্ডালিকা প্রবাহ নয়। একজন মুমিনের জীবন আল্লাহর রজ্জুতে আবদ্ধ।
- হজ মুসলিম উম্মাহকে আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য একটি ঐক্যবদ্ধ ও শক্তিশালী জাতিতে পরিণত হতে অনুপ্রাণিত করে।
হজের ফজিলত:
আবূ হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিতঃ তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রাসূল (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)- কে বলতে শুনেছিঃ যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশ্যে হজ করলো এবং অশালীন কথাবার্তা ও গুনাহ হতে বিরত রইল, সে ঐ দিনের মত নিষ্পাপ হয়ে হজ্জ হতে ফিরে আসবে যেদিন তার মা জন্ম দিয়েছিল। (বুখারি : ১৫২১)
হজের সময় এবং নির্ধারিত স্থান
হজের সময়:
- হজের নির্ধারিত সময় হল আরবি ১২ টম মাস যুল-হিজ্জার প্রথম ১০ দিন। বিশেষ করে ৮ই থেকে ১২ই জুল-হিজ্জাহ পর্যন্ত পাঁচ দিন। এই পাঁচ দিন মূলত হজের জন্য নির্ধারিত।
হজের নির্ধারিত স্থান:
- হজের নির্ধারিত স্থানগুলো হলো কাবা শরিফ, সাফা-মারওয়া, মিনা, আরাফা ও মুজদালিফা।
(তবে আল্লাহর নবী মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর মহব্বতে সকলেই হজের মূল কাজের আগে বা পরে মদিনাতেও অবস্থান করেন)।
হজে ইফরাদ: শুধু হজের ইহরাম বেঁধে হজ সমাপন করাকে ‘হজে ইফরাদ’ বলে। এতে কোনো ওমরাহ পালন করা হয় না। ইফরাদ হজে হজের শুকরিয়া স্বরূপ কুরবানি করা মুস্তাহাব।
হজে তামাত্তু: ওমরাহর ইহরাম বেঁধে প্রথমে ওমরাহ পালন করে ইহরাম খুলে ফেলা, অতঃপর হজের জন্য আবার ইহরাম বেঁধে হজ সমাপন করাকে ‘তামাত্তু হজ’ বলে। তামাত্তু হজে হজের শোকরিয়া স্বরূপ কুরবানি করা ওয়াজিব।
হজে কিরান: ওমরাহ ও হজ একসঙ্গে উভয়টির ইহরাম বেঁধে প্রথমে ওমরাহ পালন করে ইহরাম না খুলে ওই একই ইহরামে হজ সমাপন করাকে ‘হজে কিরান’ বলে। কিরান হজে হজের শোকরিয়া স্বরূপ কুরবানি করা ওয়াজিব।
এই তিন প্রকারের মধ্যে সর্বোত্তম হল 'কিরান'। তবে, যদি দীর্ঘস্থায়ী ইহরামের কারণে নিষেধাজ্ঞাগুলি সঠিকভাবে পালন করতে না পারার ঝুঁকি থাকে, তাহলে হজ্জ তামাত্তু উত্তম।
আরও জানতে- অনুমতি ছাড়া হজ পালন করলে কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি সৌদি আরবের
লাইফ স্টাইল এর আরো খবর
.jpg)
মিথ্যা বললে তা বুঝা যাবে ব্যক্তির ‘পা’ দেখে: এফবিআই
.jpg)
আসন্ন ঈদুল আজহায় প্রস্তুতি / এবার কোরবানিযোগ্য পশু সোয়া কোটি, উদ্বৃত্ত থাকতে পারে ২০ লাখের বেশি: করা হবেনা আমদানি

বিশ্বব্যাপী বাড়ছে বাংলাদেশি পণ্যের কদর / বাংলাদেশি ২৪ পণ্য পেল ‘জিআই সনদ’

বিয়ের আগে বর-কনের যেসব স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে নেয়া ভালো

বেশি সন্তান নারীর মানসিক স্বাস্থ্য উন্নয়নের সহায়ক
