May 2, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
মামলার চাপে সম্পত্তি হারানোর ঝুঁকিতে ট্রাম্প

মামলার চাপে সম্পত্তি হারানোর ঝুঁকিতে ট্রাম্প

মামলার চাপে সম্পত্তি হারানোর ঝুঁকিতে ট্রাম্প

মামলার চাপে সম্পত্তি হারানোর ঝুঁকিতে ট্রাম্প

নভেম্বরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রার্থী হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক অঙ্গনে যথেষ্ট সমর্থন থাকলেও প্রচারণার জন্য তিনি যথেষ্ট অর্থ সংগ্রহ করতে পারছেন না। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলার বোঝা একজন প্রার্থী হিসাবে তাকে বিপুল পরিমাণ জরিমানা দিতে হবে।  তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং তার সম্পত্তির অংশ বাজেয়াপ্ত করা হতে পারে যদি তিনি আগামী সোমবারের মধ্যে আদালতে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারের বন্ড জমা দিতে ব্যর্থ হন। ফলে ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের জন্য মরিয়া হয়ে উঠছেন ট্রাম্প।

নিউইয়র্কের একটি আদালত ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার ছেলেদের এবং তার কোম্পানির বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে রায় দিয়েছে । তারা কয়েক বছর ধরে সম্পত্তির প্রকৃত মূল্য গোপন করে বেশ কয়েকটি ব্যাংক এবং বীমা কোম্পানিকে প্রতারণা করেছে। ট্রাম্পের রায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন, তাকে অবশ্যই সোমবারের মধ্যে পে  করতে হবে $৪৫৪ মিলিয়ন বন্ড জরিমানা গ্যারান্টি।

ট্রাম্পের আইনজীবীরা প্রায় ৩০ টি বীমা এবং বন্ড কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করেছেন কিন্তু প্রয়োজনীয় বন্ডের পরিমাণ সংগ্রহ করতে অক্ষম। তারা ট্রাম্পের সম্পত্তি বন্ধক রেখে সেই ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত নয়, একজন প্রাক্তন ফেডারেল কাউন্সেল অ্যান্ড্রু ওয়াইজম্যান দাবি করেছেন যে এটি সম্ভব নয় কারণ ট্রাম্প ইতিমধ্যে অন্যান্য ঋণ পাওয়ার জন্য কিছু সম্পত্তি বন্ধক রেখেছিলেন। তিনি  বলেছেন যে, বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বিশ্বাস করেন যে সোমবারের মধ্যে প্রয়োজনীয় বন্ড তুলতে ব্যর্থ হলে ট্রাম্প অপমানিত এবং গুরুতর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। অন্য আদালত বা নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল হস্তক্ষেপ করলেই তিনি তার হাতে কিছু অতিরিক্ত সময় পেতে পারেন

একাধিক মামলায় জর্জরিত প্রার্থী হিসেবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে গুনতে হয়েছে বিশাল জরিমানা। জরিমানা আদায় না হলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার সম্পত্তি হারাতে পারেন।

স্থানীয় সময় সোমবারের মধ্যে আদালতে প্রায় ৫০ কোটি ডলারের বন্ড পেশ করতে ব্যর্থ হলে তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট এবং সম্পত্তির কিছু অংশ জব্দ করা হতে পারে বলে জানা গেছে। ফলে ওই বিপুল পরিমাণ অর্থ সংগ্রহের জন্যউঠেপড়ে লেগেছেন  ট্রাম্প।

নিউইয়র্কের একটি আদালত মিথ্যা অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার ছেলেদের এবং তার কোম্পানির বিরুদ্ধে রায় দিয়েছে। তারা বছরের পর বছর ধরে সম্পদের প্রকৃত মূল্য গোপন করে একাধিক ব্যাংক ও বীমা কোম্পানির সঙ্গে প্রতারণা করেছে। ট্রাম্প এই রায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করবেন, তবে আপাতত তাকে জরিমানার গ্যারেন্টি হিসেবে সোমবারের মধ্যে ৪৫ কোটি ৪০ লাখ ডলার মূল্যের বন্ড জমা দিতে হবে।

ট্রাম্পের আইনজীবীরা প্রায় ৩০টি বিমা ও বন্ড কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করেও প্রয়োজনীয় অংকের বন্ড আদায় করতে পারছেন না। তারা ট্রাম্পের সম্পত্তি বন্ধক রেখে সেই ঝুঁকি নিতে প্রস্তুতও  নয়। প্রাক্তন ফেডারেল কাউন্সেল অ্যান্ড্রু ওয়াইজম্যান দাবি করেছেন যে ট্রাম্প ইতিমধ্যে অন্যান্য ঋণ পেতে কিছু সম্পত্তি বন্ধক রেখেছেন।

এদিকে, সোমবারের মধ্যে প্রয়োজনীয় বন্ড তুলতে ব্যর্থ হলে ট্রাম্প বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন বলে মনে করেন একাধিক বিশেষজ্ঞ। অন্য আদালত বা নিউইয়র্কের অ্যাটর্নি জেনারেল হস্তক্ষেপ করলেই তিনি কিছু অতিরিক্ত সময় পেতে পারেন।

অন্যদিকে ট্রাম্প নিজেই আদালতের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ করছেন। তিনি আশংকা করছেন যে শেষ পর্যন্ত তিনি এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল জিতলেও সেই সম্পত্তি হাতছাড়া হয়ে যাবে।

উল্লেখ্য, গত মাসে তিনি ১০ মিলিয়ন ডলারের বন্ড জমা দিয়ে জামিন পেতে ট্রাম্পের কাছে আবেদন করতে ব্যর্থ হন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও ৯১ টি মামলায় জর্জরিত হয়েও হাল ছাড়তে প্রস্তুত নন। তিনি তার সঙ্কট থেকে রাজনৈতিক ফায়দা  লাভের জন্য তার সমর্থকদের সহানুভূতি অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি দাবি করেন, আগামী নির্বাচনে তার পথ বাধাগ্রস্ত করতে এতগুলো মামলা করা হচ্ছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করছেন তিনি।

তবে, রিপাবলিকান দলের সমর্থন নিজের হাতে তুলে নিয়েও ট্রাম্প সুবিধা করতে পারছেন না। । দলের জাতীয় কমিটির সাথে একটি তহবিল সংগ্রহ চুক্তির অধীনে, ট্রাম্প একটি রাজনৈতিক কমিটির মাধ্যমে প্রচারাভিযানের অবদান এবং মামলার খরচের ব্যবস্থা করেছেন। কিন্তু রিপাবলিকান দাতারা কীভাবে ঐতিহ্য ভেঙে প্রার্থীর আইনি খরচ জোগাতে উদ্যোগী হবেন তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ  রয়েছে।

ট্রাম্প পার্টির জাতীয় কমিটির সাথে তহবিল সংগ্রহের চুক্তির অধীনে একটি রাজনৈতিক কমিটির মাধ্যমে প্রচারাভিযানের অবদান এবং মামলার খরচের ব্যবস্থা করেছিলেন। তবে ট্রাম্প প্রচারাভিযানের অবদানে বাইডেনের থেকে পিছিয়ে রয়েছেন।

আলোচিত সমালোচিত মার্কিন ধনাঢ্য প্রেসিডেন্টের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প অন্যতম।  অনেক মামলা, অনেক কুৎসা রটনাকে পিছনে ফেলে দিয়ে গতটার্মে  হেরে যাওয়ার পরও দলের নিরঙ্কুশ সমর্থন আদায়ের সফল হন।  কিন্তু মামলার এত বেশি চাপ এত জরিমানার মধ্য দিয়েও আগামী নির্বাচনে কি করবেন সেটাই এখন দেখার অপেক্ষায়।

    Leave a Reply

    Your email address will not be published.

    X