May 1, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
উপজেলা নির্বাচন বয়কটে বিএনপি-জামায়াত:দলীয় সিদ্ধান্ত না মানলে আজীবন বহিষ্কার

উপজেলা নির্বাচন বয়কটে বিএনপি-জামায়াত:দলীয় সিদ্ধান্ত না মানলে আজীবন বহিষ্কার

উপজেলা নির্বাচন বয়কটে বিএনপি-জামায়াত:দলীয় সিদ্ধান্ত না মানলে আজীবন বহিষ্কার

উপজেলা নির্বাচন বয়কটে বিএনপি-জামায়াত:দলীয় সিদ্ধান্ত না মানলে আজীবন বহিষ্কার

বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ সমমনা দলগুলো আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিয়েছে। যারা ইতিমধ্যে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহারের জন্য তৃণমূলকে নির্দেশনা পাঠিয়েছে বিএনপি জামায়াত। নির্দেশনায় বলা হয়, যারা কেন্দ্রের নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবেন তাদের আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।

বিএনপি জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর নির্বাচন বয়কটের সিদ্ধান্তের ফলে আগামী ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো আগামী উপজেলা নির্বাচনও একদলীয় ও একতরফা হতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। গত ৭ জানুয়ারি যেভাবে আমি-আমরা ও ডামি নির্বাচিত হয়েছে , এবারও উপজেলায় একই নির্বাচন হবে। বিরোধী দল ছাড়া এ নির্বাচনে জনগণের কোনো আগ্রহ থাকবে না। কারণ নির্বাচনে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন তারা সবাই একই দলের সমর্থক। তাই এবারের নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ থাকবে না।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা  বলছেন, রাজপথের প্রধান বিরোধী দল ও সহযোগী সংগঠনগুলো উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে এবং এবারের স্থানীয়  নির্বাচনও  দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো একতরফা নির্বাচন হতে যাচ্ছে। ফলে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হলেও এ নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ অনেকটাই কমে যাবে। যেহেতু বিএনপি এবং তার মিত্ররা নির্বাচন বর্জন করেছে, তাদের সমর্থকরা ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারে, যার ফলে ভোটার কম হতে পারে। সব মিলিয়ে উপজেলা নির্বাচন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমি-ডামিদের নির্বাচন হতে যাচ্ছে।

আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে বিএনপি যাবে কি যাবে না তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছিলেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরা। উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্র প্রকাশ্যে কোনো সিদ্ধান্ত নাও দিতে পারে বলে অনেকের ধারণা। যে কেউ চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন। এমন ধারণা নিয়েই নির্বাচনের প্রথম পর্বে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন অনেকে। তবে ১৫০টি উপজেলা নির্বাচনে প্রথম ধাপে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা শেষ হওয়ার পর ১৬ এপ্রিল উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেবে না বলে ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। গত ১৫ এপ্রিল রাতে বিএনপির নীতিনির্ধারণী কমিটির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বর্তমান সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বর্জনের ধারাবাহিকতায় উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত হয়। গত ১৬ এপ্রিল দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ সিদ্ধান্তের কথা জানান। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিএনপি নির্বাচনী প্রহসনের অংশ হতে চায় না। এ কারণে ৮ মে থেকে শুরু হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।

তবে এই স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে দলের অবস্থান নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অস্পষ্ট ছিলেন বিএনপির তৃণমূল নেতারা। কারণ, এতদিন বিএনপি নেতৃত্ব কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। এরই মধ্যে প্রথম ধাপের ১৫০টি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন প্রায় ৪৫ বিএনপি নেতা। যারা দলের অবস্থানের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে আসবে তাদের ব্যাপারে বিএনপি কতটা কঠোর হতে পারে তা রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার মূল বিষয়। তবে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, গতকাল ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারিক রহমানের সভাপতিত্বে আমাদের দলের নীতিনির্ধারণী ফোরামের বৈঠকে এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। দলের এই সিদ্ধান্ত কেউ অমান্য করলে তাকে আজীবনের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হলো যারা দলের সিদ্ধান্ত মানবে না তাদের দলে রাখা হবে না।

এদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে। ঈদুল ফিতরের পরপরই মাঠ পর্যায়ে নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে দলটি। এর আগে প্রথম ধাপের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জামায়াতের অন্তত ২২ নেতা। দলের কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, তারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেন, উপজেলা নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী অংশগ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দলের এই সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যেই তৃণমূল নেতাদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা আশা করি আমাদের দলের কোনো নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েও নির্বাচনে অংশ নেবেন না। যারা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমা দিয়েছেন তারা সবাই দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করবেন।

আরও পড়ুন

ঈদ কেনাকাটায় ক্রেতার নজর দেশি পণ্যেঃ ঘৃণা উথলে উঠেছে ভারতীয় পণ্যে

    Leave a Reply

    Your email address will not be published.

    X