July 27, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
নূরের উপর ২৫টি হামলাঃ একটিরও বিচার হয়নি: যেন হামলাকারীরা পেয়েছে হামলার ছাড়পত্র

নূরের উপর ২৫টি হামলাঃ একটিরও বিচার হয়নি: যেন হামলাকারীরা পেয়েছে হামলার ছাড়পত্র

নূরের উপর ২৫টি হামলাঃ একটিরও বিচার হয়নি: যেন হামলাকারীরা পেয়েছে হামলার ছাড়পত্র

নূরের উপর ২৫টি হামলাঃ একটিরও বিচার হয়নি: যেন হামলাকারীরা পেয়েছে হামলার ছাড়পত্র

আন্দোলন সংগ্রামের  সূতিকাগার এবং সারা বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠের ছাত্রদের  অধিকার আদায়ের একমাত্র প্ল্যাটফর্ম ডাকসুর সর্বশেষ সাবেক  বিপি ভিপি।  অবশ্যই ব্যক্তিটি বাংলাদেশের রাজনীতি আর  শিক্ষা অধিকার আন্দোলনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ।  কিন্তু জাতি দেখেছে তার উপর কতবার হামলা হয়েছে ।

হামলার শুরুটা হয়েছিল কোটা সংস্কার আন্দোলন দিয়ে। এরপর থেকে হামলা, মামলা ও নির্যাতন পিছু ছাড়েনি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূরের। ২০১৮ সালে ডাকসু নির্বাচনে জয়লাভের পর ভিন্ন পরিস্থিতি দেখা দিতে শুরু করে। দেশের বিভিন্ন স্থানে একের পর এক হামলার শিকার হয়েছেন নুরুল হক নূর। প্রতিটি হামলায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে।  যদিও ছাত্রলীগ বারবার তা অস্বীকার করেই  চলছে। গত ৫ বছরে অন্তত ২৫ বার হামলার শিকার হয়েছেন নূর। বেশ কয়েকবার গুরুতর আহত হয়ে  হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে। তবে হামলার পরও কোনো মামলা হয়নি।

থানায় মামলা করতে গেলেও মামলা আমলে নেওয়া হয়নি। উল্টো নূরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। মারধরের পর থানায় একাধিকবার অভিযোগ দিলেও পুলিশ তা বয়ান হিসেবে গ্রহণ করেনি। কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। অনেকেই বলছেন, নূরের ওপর এই হামলার যেনো  ছাড়পত্র পেয়েছে হামলাকারীরা । দেশের একজন নাগরিক বারবার এভাবে আক্রান্ত হলেও বিচার হয় না।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ২০১৮ সালের ৩০ জুন প্রথম হামলার শিকার হন নূর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে নূরসহ বেশ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। এরপর নির্বাচনের দিন ১১ মার্চ ২০১৮ তারিখে ডাকসুতে হামলা হয়। নির্বাচনে ভোট কারচুপির প্রতিবাদ করতে গিয়ে ঢাবি’র রোকেয়া হলে ছাত্রলীগের মারধরের শিকার হোন নুর। হামলায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয় তাকে। সেখানে বসেই ভিপি পদে জয়ের খবর পান তিনি। সেখানেই শেষ হয়নি, ভিপি হিসেবে ক্যাম্পাসে আসতেই হামলার মুখে পড়েন নূর। নির্বাচনে জয়ের পরদিন ১২ মার্চ ঢাবিতে প্রবেশের পর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তার ওপর হামলা চালায়। তাকে থাপ্পড় দিয়ে আহত করা হয়। এ ছাড়া ২০১৮ সালের ২ এপ্রিল এক ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার প্রতিবাদে ভিপি নূর এসএম হলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বাধার মুখে পড়েন। সেখানেও তাকে ঘুষি মারা হয়।

এরপর ইফতার মাহফিলকে কেন্দ্র করে তার ওপর হামলা ও বাধা দেওয়া হয়। ২৫ মে, ২০১৯, নূর ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ইফতারে গেলে জেলা ছাত্রলীগের বাধার মুখে পড়েন। এরপর ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাকে ধাক্কা দিয়ে মঞ্চ থেকে ফেলে দেয়। রোজা না ভেঙেই তাকে ফিরে যেতে হয়েছে। ২০১৯ সালের ১২ মার্চ নুরুল হক নূর ও তার সহকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগ হামলা চালায়। হামলার ঘটনা ঘটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে। নূর গুরুতর আহত হয়ে ৪ দিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ।শাহবাগ থানায় ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলেও তা নেয়া হয়নি। উল্টো নুরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়। ২০২১ সালের ১৭ নভেম্বর টাঙ্গাইলে মাওলানা ভাসানীর মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় নুরুল হক নূর ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন। তবে হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এ ঘটনায়ও  কোনো মামলা হয়নি।

স্বর্ণ যেমন পুড়লে খাঁটি হয়, মানুষকেও রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করলে এবং আঘাত করলে সেভাবে খাঁটি হতে থাকে ।  সে অর্থে নূর এখন রাজনৈতিক ময়দানে অত্যন্ত খাঁটি সোনায় পরিণত হতে যাচ্ছে ।  হাজারো বাধা  এবং হামলা মামলা উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগোচ্ছেই  । আর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বলে দিচ্ছে  ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ এর নেতৃত্বে কর্ণধার হয়ে যেতে পারে ডাকসুর সর্বশেষ এই  ভিপি। এবং সেটা আপনার আমার সমালোচনাকে পিছনে ফেলে দিয়েই।

২০১৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর নুরুল হক নূরের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ ও মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের নেতাকর্মীরা। এতে নূরের বাম হাতের আঙুল ভেঙে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় নূরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) ভিপি ছিলেন নুরুল হক নূর। এ ঘটনায় গত ২৪ ডিসেম্বর শাহবাগ থানায় বাদী হয়ে মামলা করে পুলিশ। হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে মুক্তিযু্দ্ধ মঞ্চের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আরাফাত তূর্য ও দপ্তর সম্পাদক মেহেদী হাসান শান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু এক সপ্তাহ পর জামিনে বেরিয়ে আসেন তারা। ২০১৯ সালের ২৬ মে বগুড়ায় ইফতার মাহফিলে যোগ দিতে গিয়ে নুরুল হক নূরের ওপর হামলা হয়। হামলায় আহত নূরকে এরপর অ্যাম্বুলেন্সে করে ঢাকায় আনা হয়। তবে এ ঘটনায় কোনো মামলা হয়নি।

চলতি বছরের ১৮ জুলাই গণঅধিকার পরিষদের কার্যালয় দখলকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশের ধস্তাধস্তিতে নূরসহ দুইজন আহত হন। পরে নূরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২ আগস্ট বড় ধরনের হামলার ঘটনা ঘটে। বুধবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে বিরোধী রাজনৈতিক দলের হামলা-মামলা-হয়রানি, গুলিস্তানে মাদ্রাসা ছাত্র হাফেজ রেজাউল করিম হত্যার প্রতিবাদে সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়।  শাহবাগ থেকে সমাবেশে যোগ দিতে মিছিল নিয়ে টিএসসির কাছে এলে হামলার শিকার হন নূর। হামলায় নূরসহ ছাত্র অধিকার ও গণঅধিকার পরিষদের ৩০ থেকে ৩৫ জন সদস্য আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নূরের মিছিলে ছাত্রলীগ লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালায়। এসময় নূরকেও বেধড়ক মারধর করা হয়। এ অবস্থায় নূর ও তার সহযোগীরা দোয়েল চত্বর দিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে। পরে নূরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে নুরুল হক নূর কার্যত ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠনের একচেটিয়া আধিপত্যকে চ্যালেঞ্জ করেছেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সাফল্যের পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে ‘গেস্ট-রুম’-‘পাবলিক-রুম’ এবং ছাত্রলীগ নেতাদের সালাম জানানোর সংস্কৃতি অনেকটাই কমে গেছে। সরকার বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রবেশ করলে লাগাতার হামলার শিকার হয়েও নুরুল হক নূর স্থান ত্যাগ করেননি। উল্টো তিনি ছাত্রলীগের সমালোচনায় সোচ্চার। বিষয়টি তার জন্য ভিন্ন মাত্রা নিয়ে এসেছে।

আরও পড়ুন

দেশের বর্তমান অবস্থানকে বেহেশতের বাগানের সাথে তুলনা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চ পরিষদের এক  সদস্য বলেন, প্রতিবারই নূরের ওপর হামলা হয়। এটা সবসময় সরকার বা তার ক্যাডাররা করে থাকে। তারা নূরকে প্রতিপক্ষ মনে করে। এ পর্যন্ত প্রায় ২৫ বার হামলার শিকার হয়েছেন নূর। প্রতিবারই হত্যার অভিপ্রায়ে আক্রমণ করেছে। কিন্তু তারা ব্যর্থও হয়। সফল হতে পারেনি। হামলার ঘটনায় মামলা করলেও মামলা নেওয়া হয় না। বরং আমরা মারছি এ ভুয়া অভিযোগে উল্টো আমাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই সরকারের পুলিশ ও আদালতের প্রতি আমাদের আস্থা নেই। তাই এখন হামলা হলেও মামলা করতে যাব না। কারণ গেলেও লাভ নেই। আমরা জানি তারা মামলা নেবে না। তাই এখন থেকে হামলা হলে রাজনৈতিকভাবে জবাব দিতে হবে। থানায় গিয়ে সময় নষ্ট করে লাভ নেই।

স্বর্ণ যেমন পুড়লে খাঁটি হয়, মানুষকেও রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করলে এবং আঘাত করলে সেভাবে খাঁটি হতে থাকে ।  সে অর্থে নূর এখন রাজনৈতিক ময়দানে অত্যন্ত খাঁটি সোনায় পরিণত হতে যাচ্ছে ।  হাজারো বাধা  এবং হামলা মামলা উপেক্ষা করে সামনের দিকে এগোচ্ছেই  । আর রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বলে দিচ্ছে  ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ এর নেতৃত্বে কর্ণধার হয়ে যেতে পারে ডাকসুর সর্বশেষ এই  ভিপি। এবং সেটা আপনার আমার সমালোচনাকে পিছনে ফেলে দিয়েই।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X