যুক্তরাষ্ট্রের ভেটোতে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ স্থগিত: রাশিয়ার নিন্দা
ফিলিস্তিনকে জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য করার প্রস্তাবে ভেটো দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। নিরাপত্তা পরিষদের ১৫টি দেশের মধ্যে ১২টি দেশের সমর্থন সত্ত্বেও ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হতে পারেনি।
বৃহস্পতিবার নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবে ভেটো দেয় শুধু যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাজ্য ও সুইজারল্যান্ড ভোটদানে বিরত থাকে। আর ফিলিস্তিনের পক্ষে ভোট দেওয়া ১২টি দেশ হল স্লোভেনিয়া, সিয়েরা লিওন, রাশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, মোজাম্বিক, মাল্টা, জাপান, গায়ানা, ফ্রান্স, ইকুয়েডর, চীন এবং আলজেরিয়া।
ভেটো ছাড়াই প্রস্তাবটি পাস করতে ৯ টি ভোটের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, রাশিয়া ও চীনের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের মধ্যে কেউ নিরাপত্তা পরিষদের কোনো প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ভোট দিলে সেই প্রস্তাব আর গৃহীত হয় না।
ফিলিস্তিন বর্তমানে জাতিসংঘের পর্যবেক্ষক সদস্য। ২০১২ সালে, ফিলিস্তিন জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ দ্বারা বাস্তবে একটি রাষ্ট্র হিসাবে স্বীকৃত হয়েছিল। তবে পূর্ণ সদস্যপদ পেতে নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের অনুমোদন প্রয়োজন। যদিও সাধারণ পরিষদের দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য ইতিমধ্যে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র বলে আসছে, জাতিসংঘের মাধ্যমে নয়, ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যদিও বেশ কয়েক বছর ধরে ফিলিস্তিনের সঙ্গে শান্তি আলোচনা বন্ধ রেখেছে ইসরাইল।
এমন এক সময়ে যখন ফিলিস্তিন জাতিসংঘের পূর্ণ সদস্য হওয়ার চেষ্টা করছে, যখন ইসরাইল ছয় মাস ধরে গাজায় হামলা চালাচ্ছে। একই সময়ে, দেশটি অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ করছে।
রাশিয়ার নিন্দা: এদিকে মার্কিন ভেটোর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ফিলিস্তিনিরা।
তুরস্ক বলেন, মার্কিন ভেটো লজ্জাজনক। রাশিয়াও এর তীব্র নিন্দা করেছে। জাতিসংঘে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবানজিয়া বলেছেন যে বিশ্ব সম্প্রদায়ের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠ ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে। তিনি বলেন, ভেটো দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলেছে ফিলিস্তিনিদের নিয়ে তারা আসলে কী ভাবছে। তিনি বলেন, ওয়াশিংটন আসলে মনে করে না যে ফিলিস্তিনিদের নিজস্ব রাষ্ট্র থাকা উচিত। তারা শুধু ইসরায়েলের স্বার্থ দেখে।