May 2, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে

উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি গত বছরের তুলনায় কমেছে। একক দেশ হিসেবে ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ ৭.২৯ বিলিয়ন ডলার আয় এসেছে দেশ থেকে। এই আয় আগের বছরের তুলনায় ২৫ শতাংশ কম।

চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে বাংলাদেশ ১.১৮৬ বিলিয়ন ডলারের বেশি মূল্যের পোশাক রপ্তানি করেছে, যা ২০২৩ সালের প্রথম দুই মাসের তুলনায় ১৯.২৪  শতাংশ কম। সম্প্রতি প্রকাশিত পরিসংখ্যানে এই তথ্য উঠে এসেছে। ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্সের অধীনে টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেলস অফিসের (OTEXA)। ওটেক্সের দেশভিত্তিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আলোচিত দুই মাসে বাংলাদেশ তার প্রতিযোগীদের থেকে পিছিয়ে রয়েছে। একক বাজার হিসেবে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের সবচেয়ে বড় গন্তব্য যুক্তরাষ্ট্র। ২০২৩ সালে মার্কিন পোশাক রপ্তানি ২৫ শতাংশ হ্রাস পাবে

ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ কমার্সের অফিস অফ টেক্সটাইল অ্যান্ড অ্যাপারেল বা OTEXA প্রকাশ করে যে কোনও দেশ ডলারের পরিপ্রেক্ষিতে কতটা পণ্য রপ্তানি করছে।

সংস্থাটির তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশটি বাংলাদেশ থেকে ৯ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারের পোশাক তৈরি করেছে। যা আগের বছরের অর্থাৎ ২০২১ সালের তুলনায় ৫০ শতাংশ বেশি। কিন্তু কোভিড-১৯-এর পরে ২০২১ সালে রপ্তানি কম ছিল।

কিন্তু ২০২২ সালে রপ্তানি ছিল ৯.৭২ বিলিয়ন ডলার, কিন্তু ২০২৩  সালে তা বৃদ্ধির পরিবর্তে কমেছে। ২০২৩  সালে রপ্তানি ৭.২৯  বিলিয়ন ডলার। এভাবে এক বছরে রপ্তানি কমেছে প্রায় আড়াই বিলিয়ন ডলার বা ২৫ শতাংশ।

Otexa তথ্য অনুযায়ী, টেক্সটাইল এবং পোশাক পণ্যের সামগ্রিক মার্কিন আমদানি গত বছর২০.৫১ শতাংশ কমে $১০৪.৯৫ বিলিয়ন হয়েছে। শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব পোশাক আমদানি ২২.০৫ শতাংশ কমে৭৭.৮৪বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

চীন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বের শীর্ষ পোশাক সরবরাহকারী, তার টেক্সটাইল এবং পোশাক রপ্তানিতে ২২.৮৬ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে $২৫.১৯ বিলিয়ন। শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই দেশটির পোশাক রপ্তানি ২৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ কমে ১ হাজার ৬৩১ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রে ৫০ শতাংশের বেশি পোশাক রপ্তানি করেছে। কোভিড-১৯ এর বিধ্বংসী প্রভাব থেকে আমরা পুনরুদ্ধার হওয়ার সাথে সাথে পোশাকের চাহিদা বেড়েছে।

রপ্তানি হ্রাসের কারণ: ২০২৩ জুড়ে, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্কের একটি স্পষ্ট চাপ ছিল।

বাংলাদেশের পোশাক খাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব পড়বে বলেও কিছু আশঙ্কা ছিল, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু শ্রম অধিকার নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছে।

এমন পরিস্থিতিতে ২০২৩ সালে দেশে পোশাক রপ্তানি কমে যাওয়ার বিষয়ে নানা উদ্বেগ প্রকাশ করলেও বিজিএমইএ বলছে, এই হ্রাসের সঙ্গে রাজনীতি বা নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই।

বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলছেন, আমেরিকায় রপ্তানি কমে যাওয়ার কারণ ব্যবসা। সে দেশে মূল্যস্ফীতি ও সুদের হার কমেছে । কিন্তু শেষ পর্যন্ত আবার ব্যবসা বেড়েছে। তবে বড়দিন উপলক্ষে অর্ডার বেড়ে যায়।

বিজিএমইএ বলছে, একক দেশ হিসেবে আমেরিকা এখনো পোশাক মালিকদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে। ফলে বিকল্প বাজারের দিকে নজর রাখছেন তারা। একই সঙ্গে একই কারখানায় পোশাকের বিভিন্ন আইটেম তৈরি থেকে পণ্যে বৈচিত্র্য আনার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।

কিন্তু এখানে আরেকটি চ্যালেঞ্জ। অর্থাৎ কাস্টমস। দক্ষিণ আমেরিকা, দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিভিন্ন দেশে উচ্চ শুল্কের কারণে সেসব দেশে ব্যবসা সম্প্রসারণ করা বাংলাদেশের পক্ষে কঠিন হবে বলে মনে করছেন তৈরি পোশাক মালিকরা। এ ক্ষেত্রে সরকারের ওইসব দেশের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার বলে মত দেন তারা।

তবে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো বলছে, সরকার এ ব্যাপারে ইতিবাচক। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন এই সংস্থার ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান বলেন, এটি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এখানকার শুল্ক অপসারণের একমাত্র উপায় হলো লক্ষ্যবস্তুভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছানো। এটি একটি নির্দিষ্ট দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হতে পারে। অথবা একাধিক দেশ থাকলে, ওই এলাকায় আঞ্চলিক বাণিজ্য চুক্তি হলে আমরা সেখানে যোগ দিতে পারি

এই ক্ষেত্রে সুবিধা হল যে এটি একবারে বেশ কয়েকটি দেশের সাথে শুল্ক এবং বাণিজ্যে জড়িত হওয়া সম্ভব। নতুন চুক্তির মাধ্যমে শুল্ক কমানোর জন্য মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলেও জানান তিনি।

বাংলাদেশ এখন বিকল্প বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি করছে, যা ইউরোপ-আমেরিকার ওপর নির্ভরতা কাটানোর জন্য যথেষ্ট নয়। কিন্তু বিভিন্ন দেশে রপ্তানি বৃদ্ধি দেশের জন্য একটি বড় সুযোগ।

তবে প্রযোজক এবং সরকারী পর্যায়ে বাধাগুলি কীভাবে সমাধান করা হয় তার উপর অনেক কিছু নির্ভর করে।

    Leave a Reply

    Your email address will not be published.

    X