July 27, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ পাওয়ার অপেক্ষা করছে ইসরাইল: নৌ মহড়ায় ইরানের হুঁশিয়ারি

ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ পাওয়ার অপেক্ষা করছে ইসরাইল: নৌ মহড়ায় ইরানের হুঁশিয়ারি

ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ পাওয়ার অপেক্ষা করছে ইসরাইল: নৌ মহড়ায় ইরানের হুঁশিয়ারি

ভয়ঙ্কর প্রতিশোধ পাওয়ার অপেক্ষা করছে ইসরাইল: নৌ মহড়ায় ইরানের হুঁশিয়ারি

ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রী ইসমাইল খতিব ইসরায়েলের ইহুদিবাদী শাসক ও তার পৃষ্ঠপোষকদের সতর্ক করেছেন যে তারা গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের উপর জঘন্য হামলার জন্য ভারী মূল্য দিতে হবে।ইরানের তাসনিম নিউজ এজেন্সির প্রতিবেদনে ইসমাইল খতিব শনিবার বলেছেন যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইহুদিবাদী শাসনকে সমর্থনকারী অন্যান্য সমস্ত সরকারকে অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে আঞ্চলিক জনগণ এবং স্বাধীনতা আন্দোলনকারীরা ইসরায়েলি অপরাধের প্রতি তাদের সমর্থন কোনোরূপ চিন্তা ছাড়াই ছেড়ে দেবে।

ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রী সতর্ক করে বলেছেন, গাজাবাসীদের বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য ইহুদিবাদী শাসক ও তার সমর্থকদের কঠোর, ধ্বংসাত্মক এবং বিপর্যয়কর প্রতিশোধ অপেক্ষা করছে।

তিনি বলেন, “(ইসরায়েল) শাসন কখনোই সম্পূর্ণ নিরাপত্তার মধ্যে থাকবে না।” এর সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক কলহ অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিকভাবে বৃদ্ধি পাবে।’

ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রী আরও বলেন, ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী শাসকগোষ্ঠীর বর্বরতা ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিককরণে বাধা সৃষ্টি করেছে।

ইহুদিবাদী শাসনের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিক করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে সন্তুষ্ট করার চেষ্টাকারী দেশগুলির সরকারকে, ইসমাইল খতিব তাদের মনে করিয়ে দেন যে পরিস্থিতি পরিবর্তিত হয়েছে এবং সম্পর্ক স্বাভাবিক করার প্রচেষ্টা কাজ করবে না।

৭ অক্টোবর হামাস যোদ্ধাদের “অপারেশন আল আকসা বন্যা” অভিযানের পর থেকে ইসরায়েলি বাহিনী ক্রমাগত গাজা আক্রমণ করছে। গাজা উপত্যকায় কমপক্ষে৪৩৮৫ ফিলিস্তিনি, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক নাগরিক, নিহত হয়েছে। অন্যদিকে হামাসের হামলায় প্রায় দেড় হাজার ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।

 ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে ইরানের নৌ মহড়াও চলছে

ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে হঠাৎ নৌ মহড়া চালায় ইরান। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ইসলামিক বিপ্লবী গার্ড কর্পস (IRGC) নৌবাহিনী দেশের উত্তর-দক্ষিণ জলসীমায় এই মহড়া চালায়।

ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড কর্পস (IRGC) নৌবাহিনীর২৭০০ টি নৌকা এই মহড়ায় অংশ নেয়। একটি যুদ্ধজাহাজও ছিল সে মহড়ায়।

ইসলামী বিপ্লবী গার্ড কর্পস নৌবাহিনীর কমান্ডার, রিয়ার এনদিমাল আলিরেজা তাংসিরি বলেছেন যে ইরানী নৌবাহিনীর সদস্যরা ফিলিস্তিনি জনগণের সমর্থনে পারস্য উপসাগর, কাস্পিয়ান সাগর এবং ওমান সাগরে মহড়া চালিয়েছে।

ইসরায়েলের ভয়াবহ আগ্রাসনের শিকার অসহায় ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে পারস্য উপসাগরে নৌ মহড়া চালিয়েছে ইরান। শনিবার দেশটির স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী বাসিজ এই মহড়াটি পরিচালনা করে।

ইরানের সংবাদমাধ্যম মেহের নিউজ জানিয়েছে, নৌ কমান্ডার আলী বখশাই বলেছেন, ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণকে নির্বিচারে হত্যা করা হচ্ছে। দখলদার ইসরাইলের চলমান বর্বরতার বিরুদ্ধে পারস্য উপসাগরের জলসীমায় আহভাজ, হেন্ডিজান এবং আরভান্দকেনারে নৌ মহড়া পরিচালিত হয়েছে।

তিনি জানান, মহড়ায় বিভিন্ন ধরনের জাহাজ অংশ নেয়। ইরান, ফিলিস্তিন ও প্রতিরোধ ফ্রন্টের পতাকায় সজ্জিত ছিল বিপুল সংখ্যক নৌকা। এটি ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে। গাজার জনগণের দুর্দশা দেখে ইরানিরাও হতবাক বলে জানা গেছে।

এদিকে ইরানের বিভিন্ন শহরে প্রতিদিনই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হচ্ছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিবৃতি দিচ্ছেন এবং কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, নৌ মহড়ার পাশাপাশি সিরিয়া, লেবানন, ইয়েমেন, ইরাক এবং পশ্চিম এশিয়ার বিভিন্ন বন্দরে একযোগে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হয়।

এই নৌ কমান্ডার বলেন, ইরানসহ বিশ্বের ১২০টি দেশ ফিলিস্তিনের জাতীয় পতাকাকে সমর্থন করে। নির্যাতিত ফিলিস্তিনের পতাকা তুলে ব্রিটেন ও ইউরোপেও বিক্ষোভ হয়েছে।

তিনি বলেন, মহড়ায় অংশগ্রহণকারী যুদ্ধজাহাজগুলো ইরান, ফিলিস্তিন ও প্রতিরোধ জোটের পতাকায় সজ্জিত ছিল। মহড়ায় অংশগ্রহণকারীরা ফিলিস্তিনের নির্যাতিত জনগণকে রক্ষা করার জন্য তাদের প্রস্তুতির ঘোষণা দেন।

অন্যদিকে, ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রী বলেছেন, ইসরাইলকে মানবিক শাস্তির পাশাপাশি আল্লাহ প্রদত্ত   শাস্তির  মুখোমুখিও  হতে হবে।

দখলদার ইসরাইলের চলমান বর্বরতার বিরুদ্ধে এবং নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে পারস্য উপসাগরে এই নৌ মহড়া চালিয়েছে ইরান।

তিনি জানান, মহড়ায় বিভিন্ন ধরনের জাহাজ অংশ নেয়। ইরান, ফিলিস্তিন ও প্রতিরোধ ফ্রন্টের পতাকায় সজ্জিত ছিল বিপুল সংখ্যক নৌকা। এটি ফিলিস্তিনিদের সাথে সংহতি প্রদর্শন করে। গাজার জনগণের করুণ অবস্থা  দেখে ইরানিরাও ক্রোধান্বিত  বলে জানা গেছে।

এদিকে ইরানের বিভিন্ন শহরে প্রতিদিনই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলছে। প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বিবৃতি দিচ্ছেন এবং কূটনৈতিক তৎপরতা চালাচ্ছেন। ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রী বলেছেন, ইসরায়েলকে কঠিন প্রতিশোধ ও ভয়ংকর  শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। তিনি বলেন, এই প্রতিশোধ ইসরাইলের জন্য খুবই ধ্বংসাত্মক হবে।

উল্লাখ্য, ইসরায়েলি হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত প্রায় সাড়ে চার হাজার মানুষ নিহত হয়েছে। আহত হয়েছেন ১৩ হাজারের বেশি মানুষ। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ১,০০০ এরও বেশি ইসরায়েলি নিহত হয়েছে।

এছাড়া গত দুই সপ্তাহে গাজার ২৬টি মসজিদে  হামলা  করেছে ইসরাইল।

মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গাজার বেশিরভাগ এলাকায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় আরও অনেক মসজিদ মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X