May 16, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
দক্ষিণ কোরিয়ায় চিকিৎসকদের ধর্মঘটে এক রোগীর মৃত্যু

দক্ষিণ কোরিয়ায় চিকিৎসকদের ধর্মঘটে এক রোগীর মৃত্যু

দক্ষিণ কোরিয়ায় চিকিৎসকদের ধর্মঘটে এক রোগীর মৃত্যু

দক্ষিণ কোরিয়ায় চিকিৎসকদের ধর্মঘটে এক রোগীর মৃত্যু

দক্ষিণ কোরিয়া হল পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ যা কোরীয় উপদ্বীপের দক্ষিণ অংশ নিয়ে গঠিত। এর আনুষ্ঠানিক নাম কোরিয়া প্রজাতন্ত্র। দক্ষিণ কোরিয়ার উত্তরে উত্তর কোরিয়া, পূর্বে জাপান সাগর, দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্বে কোরিয়া প্রণালী, যা দেশটিকে জাপান থেকে পৃথক করেছে এবং পশ্চিমে পীত সাগর বা  হলুদ সাগর। সিউল দক্ষিণ কোরিয়ার বৃহত্তম শহর এবং রাজধানী।

হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে অ্যাম্বুলেন্সে মহিলা রোগীর মৃত্যু হয়,চিকিত্সকদের ধর্মঘটের সাথে যুক্ত এই মৃত্যুর ঘটনাটি দেশে প্রথম বলে মনে করা হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ায় কয়েকদিন ধরে চিকিৎসকদের ধর্মঘট চলছে। এবার এই ধর্মঘটের জেরে চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যু হল ৮০ বছরের এক মহিলার। দেশে চিকিৎসকদের ধর্মঘটের সঙ্গে এটিই প্রথম মৃত্যু বলে মনে করা হচ্ছে।   কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের কারণে অ্যাম্বুলেন্সেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, চিকিৎসকদের চলমান ধর্মঘটের কারণে ওই নারীকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি বেশ কয়েকটি হাসপাতালে স্থান পায়নি। ধর্মঘটের কারণে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সংকটে হাসপাতালগুলো চাপে রয়েছে।

গত শুক্রবার,৮০ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি বেশ কয়েকটি হাসপাতালে প্রবেশের চেষ্টা করে। কিন্তু চিকিৎসকদের ধর্মঘটের কারণে কর্মী ও বেড খালি না পাওয়ায়,  তারা সবাই তাকে ফিরিয়ে দিয়েছে। অবশেষে তাকে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল কিন্তু ৬৭ মিনিট পরে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

মঙ্গলবার দেশটির গণমাধ্যমে বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রকাশিত হওয়ার পর সরকারি কর্মকর্তারা বিষয়টি তদন্ত করবেন বলে জানিয়েছেন।

স্থানীয় দক্ষিণ কোরিয়ার মিডিয়া জানিয়েছে যে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্মী কম ছিল এবং ডাক্তারদের ধর্মঘটের কারণে রোগীদের অস্ত্রোপচার স্থগিত করা হচ্ছিল। এ কারণে রোগীদের অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হচ্ছে।

দুই-তৃতীয়াংশ আবাসিক ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারের সাম্প্রতিক ঘোষণার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে মেডিকেল কলেজে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর বিরুদ্ধে । সরকার বলছে, ইন্টার্ন ও আবাসিক চিকিৎসকদের ধর্মঘটে চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকার বিক্ষোভকারী তরুণ চিকিৎসকদের ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজে ফিরতে আল্টিমেটাম দিয়েছে। অন্যথায় তাদের মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে।

মেডিকেল স্কুলে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের পিছনে যুক্তি ছিল যে দেশে বয়স্ক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে, তাই আরও ডাক্তারের প্রয়োজন হবে। তবে বিষয়টি মানতে নারাজ আন্দোলনকারীরা।

জানা গেছে যে ৮০ বছর বয়সী ব্যক্তিকে বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি বেশ কয়েকটি হাসপাতালে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু চিকিৎসকদের ধর্মঘটের কারণে স্টাফ ও বেড না থাকায় তাকে সব হাসপাতাল থেকে ফেরত পাঠানো হয়।

পরে তাকে দেশের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তির জন্য ডাকা হয়। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পথে অ্যাম্বুলেন্সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়।

দক্ষিণ কোরিয়ার মিডিয়া ব্যাপকভাবে ঘটনাটি কভার করছে। এরপর মঙ্গলবার ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেয় সরকার। পাশাপাশি চলতি মাসের শেষ নাগাদ চিকিৎসকদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। অবিলম্বে কাজে যোগ না দিলে তাদের লাইসেন্স বাতিলেরও হুমকি দিয়েছে সরকার।

দক্ষিণ কোরিয়ায় স্বাস্থ্য খাতে চিকিৎসকের সংখ্যা বৃদ্ধির প্রতিবাদে এক সপ্তাহ কাজ বন্ধ করে ধর্মঘট করছেন দক্ষিণ কোরিয়ায় অন্তত ৯ হাজার জুনিয়র চিকিৎসক। আর সারাদেশের অন্তত ১০ হাজার ইন্টার্ন ও শতাধিক হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক পদত্যাগ করেছেন। অর্গানাইজেশন ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (ওইসিডি) দেশগুলির মধ্যে দক্ষিণ কোরিয়ায় ডাক্তার-প্রতি-রোগীর অনুপাত সবচেয়ে কম। প্রতি ১০০০ জনের জন্য চিকিৎসক আছেন ৫ জন। সে কারণে দেশে চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে সরকার।

আরো ডাক্তার মানে আরো প্রতিযোগিতা। এতে চিকিৎসকদের আয় কমে যাবে। এ কারণে চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ধর্মঘট করছেন চিকিৎসকরা। যদিও সেখানে চিকিৎসকদের বেতন সবচেয়ে বেশি। OECD এর তথ্য অনুযায়ী, সেখানে একটি সরকারি হাসপাতালের একজন বিশেষজ্ঞ বছরে গড়ে প্রায় $২০০,০০০ বেতন পান।

দক্ষিণ কোরিয়ায় স্বাস্থ্যসেবা

দক্ষিণ কোরিয়ার মানুষের গড় আয়ু দ্রুত বাড়ছে দক্ষিণ কোরিয়া গড় আয়ুর দিক থেকে বিশ্বে ১৬ তম স্থানে। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাপ্তবয়স্ক জনসংখ্যার (০.১%) মধ্যে সর্বনিম্ন এইচআইভি/এইডস সংক্রমণের হার রয়েছে, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স এবং যুক্তরাজ্যের যথাক্রমে ০.৬%, ০.৪% এবং০.৩%। দক্ষিণ কোরিয়া ইনফ্লুয়েঞ্জা টিকা দেওয়ার জন্য এশিয়ার শীর্ষে, প্রতি হাজারে ৩১১ জন ভ্যাকসিন গ্রহণ করে।

শিক্ষাগত অর্জন, শিক্ষার মান এবং স্বাস্থ্যের অবস্থার উপর ভিত্তি করে ২০ থেকে ৬৪বছর বয়সী মানব সম্পদের জন্য নতুন জীবন প্রত্যাশার মানদণ্ড প্রকাশিত হয়। দক্ষিণ কোরিয়া স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং আয়ু সূচকে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে তালিকায় ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।

কোরিয়ানদেরও স্থূলতার হারও  সবচেয়ে কম – মোট জনসংখ্যার মাত্র ৩% স্থূল, OECD দেশগুলির মধ্যে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।  যেখানে  মার্কিন জনসংখ্যার ৩০% এবং ব্রিটিশ জনসংখ্যার ২৩% স্থূলতায় ভোগে। ফলস্বরূপ, দক্ষিণ কোরিয়ায়   OECD দেশগুলির মধ্যে চতুর্থ সর্বনিম্নহৃদ রোগজনিত মৃত্যুর হারও৷

    Leave a Reply

    Your email address will not be published.

    X