July 27, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
কুরআন তিলাওয়াত ও অধ্যয়ন মহান আমল ও সৌভাগ্যের ব্যাপার

কুরআন তিলাওয়াত ও অধ্যয়ন মহান আমল ও সৌভাগ্যের ব্যাপার

কুরআন তিলাওয়াত ও অধ্যয়ন মহান আমল ও সৌভাগ্যের ব্যাপার

কুরআন তিলাওয়াত ও অধ্যয়ন মহান আমল ও সৌভাগ্যের ব্যাপার

আল্লাহ সুবহানাতায়ালার মুখের বাণী এবং সমস্ত মানুষের জন্য একটি লিখিত চিঠি হল আল কোরআন । যাদের হৃদয়ে ঈমান পরিপূর্ণ, তাদের কাছে কোরআন তেলাওয়াত সবচাইতে প্রিয় কাজ । তারা কোরআন তেলাওয়াত ছাড়া কোনদিনই অতিক্রম করতে পারেন না । কুরআন নিজেই  বলছে;  কোরআন তেলাওয়াতে মুমিনের হৃদয় প্রশান্ত হয় এবং ঈমান ও বৃদ্ধি পায় আর কোরআন তেলাওয়াতই হল জিকির বা  আল্লাহর স্মরণের সবচেয়ে বড় মাধ্যম ।

কুরআন কি?

সবচেয়ে প্রচলিত উত্তর হল কুরআন একটি বই, একটি গ্রন্থ, মহা-গ্রন্থ।  তবে এটি বেশিরভাগ বইয়ের মতো নয়। এটি প্রমাণিত সত্য একমাত্র অপরিবর্তিত মহাগ্রন্থ।এটি এমন শব্দের সমন্বয়ে গঠিত যা প্রতিটি মানুষের জন্য সত্য এবং নির্দেশনা ধারণ করে, এবং  প্রতিটি  মুসলমান বিশ্বাস করে যে এই শব্দগুলি সরাসরি আল্লাহ  প্রদত্ত , আরবি ভাষায়, তাঁর শেষ নবী ও রসূল, মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে প্রয়োজন অনুসারে নাযিলকৃত।  এবং যে কিতাব তার নাম থেকেই প্রমাণিত হয় এই কিতাবটি সবচেয়ে বেশি মানুষ দ্বারা পঠিত।  কোরআন ছাড়া আর কোন বই বা কিতাব এত বেশি বার পঠিত হয়নি ।  এবং একমাত্র কিতাব যেটার  শুরুতেই বলা হয়েছে যে এই কিতাবে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই ।  সে কিতাবকে তেলাওয়াত করতে এবং অধ্যয়ন করতে পারাটা বড় ধরনের সৌভাগ্যের ব্যাপার ।

কুরআন মাজিদ একটি মহান পথনির্দেশক গ্রন্থ। হজরত মুহাম্মদ মুস্তফা (সা.)-এর সময় থেকে শেষ বিচারের দিন পর্যন্ত সব যুগের, সব দেশ, সব ভাষা, বর্ণ, গোত্র, পরিবেশ ও প্রকৃতির মানুষের জন্য কোরআন হল হেদায়েত ও নির্দেশনা। এ কারণেই কুরআন নবী (সা.)-এর শ্রেষ্ঠ মুজিযা

শুধু এই কুরআনে বর্ণিত নিয়ম নয়। পূর্ববর্তী নবীদের ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর কর্ম ও ফলাফলের বর্ণনা রয়েছে। ভবিষ্যত ও পরকালের জীবনের বিভিন্ন অবস্থা বর্ণনা করা হয়েছে। পাপ-পুণ্য এবং ভালো-মন্দের প্রকৃত পরিণতি বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ফলে যে কোনো ব্যক্তি কুরআনের আয়নায় নিজেকে দেখতে পায়। আপনি যদি আপনার সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে কুরআন পাঠ করেন তবে আপনি জীবনের আসল রূপ এবং ভবিষ্যতের  সঠিক  পরিণতির আভাস পাবেন।

মূলত কুরআন আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের বাণী। আসমানী কিতাব এমন একটি বই যা ছাড়া ইহকাল ও পরকালে সফলতা সম্ভব নয়। এই কুরআনের সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করার অনেক উপায় রয়েছে। কুরআন তেলাওয়াত করা। অন্যের তেলাওয়াত শ্রবণ করা। তেলাওয়াত ও তাফসীর শেখা। অন্যদের শেখানো. কুরআনের আয়াত, অর্থ ও অর্থ ইত্যাদি নিয়ে চিন্তা করা। এর সবচেয়ে সহজ ও গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো তেলাওয়াত।

কুরআন নাযিল হওয়ার পর রাসূল (সাঃ) প্রথমে তা তিলাওয়াত করেন। তিনি সাহাবায়ে কেরামকেও তেলাওয়াত  শিক্ষা দিতেন। তাই তিনি কুরআনের প্রথম শিক্ষক। তখন থেকে আজ পর্যন্ত যত আলেম এই কুরআন শিক্ষায় নিয়োজিত আছেন তারাই মূলত নবী (সা.)-এর উত্তরাধিকারী। তাদের শ্রেষ্ঠত্ব বর্ণনা করে রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন: তোমাদের মধ্যে সর্বোত্তম সেই ব্যক্তি যে কুরআন শেখে এবং শেখায়। (সহীহ বুখারী)।

কুরআন নাযিলের পর থেকেই কুরআন তেলাওয়াত সকল মুমিনদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। নামাজে এবং বাইরের নামাজে সকল অবস্থায়ই কুরআন তেলাওয়াত গুরুত্বপূর্ণ  । এতে সাধারণ ও নিয়মিতির পাশাপাশি আশ্চর্যজনক তেলাওয়াতের  অনেক ঘটনা রয়েছে। এমনকি আমাদের সাম্প্রতিক অতীতেও নামাযে পুরো কুরআন খতম করার ঘটনা রয়েছে।

অনেক সাহাবা তিন দিনে,  সাত দিনে বা  এক মাসে একটি খতম পড়তেন। অনেক। আমাদের  বড়দের অনেকেই চাঁদের তারিখ হিসাব করে তেলাওয়াত করতেন।

আসলে যারা কোরআন তেলাওয়াতের স্বাদ পায় তারা তিলাওয়াত করতেই  থাকে। তেলাওয়াত ছাড়া একটি দিন অতিবাহিত করা তাদের জন্য খাদ্য ও পানীয় ছাড়া একটি দিন অতিবাহিত করার চেয়েও কঠিন।

কুরআনের সাধারণ তেলাওয়াতের পাশাপাশি প্রতিদিন বা বিশেষ সময়ে নির্দিষ্ট কিছু সূরা ও আয়াত তেলাওয়াতের প্রতি হাদিসে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেজন্য ওই সময় ওই সূরা বা আয়াত তেলাওয়াতের ক্ষেত্রেও বিশেষ ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে এরকম দুটি হাদিস উল্লেখ করা হলো। জলিল কদর সাহাবী আবু মাসউদ আনসারী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি রাতে সূরা বাকারার শেষ দুই আয়াত পাঠ করবে, তা যথেষ্ট হবে (রাত্রির আমল হিসাবে এবং সকলের থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য)।  (সহীহ বুখারী)।

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) একদিন সাহাবীদের দিকে ইশারা করে বললেনঃ তোমাদের কেউ কি রাতে এক তৃতীয়াংশ কুরআন তেলাওয়াত করতে পারবে? বিষয়টি তাদের কাছে কঠিন মনে হয়েছিল। তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল! কে এটা করতে পারে? তারপর তিনি বললেনঃ সূরা ইখলাস (তিলাওয়াত) কুরআনের এক তৃতীয়াংশ। (সহীহ বুখারী)। [তাই সুরা ইখলাস  তিনবার তেলয়াত  করলে এক খতমের সমান সওয়াব পাওয়া যাওয়ার পাওয়া যাবে বলে রসূলুল্লাহ ইঙ্গিত করেছেন]।

আরও পড়ুন

৭০ বছর বয়সে সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্ত করেন ফিলিস্তিনি নারী বেগম আয়েশা

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X