July 27, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
পাকিস্তানি নারীর প্রেমে ভারতীয় বিজ্ঞানী, ছিনিয়ে নিলেন ক্ষেপণাস্ত্রের তথ্য

পাকিস্তানি নারীর প্রেমে ভারতীয় বিজ্ঞানী, ছিনিয়ে নিলেন ক্ষেপণাস্ত্রের তথ্য

পাকিস্তানি নারীর প্রেমে ভারতীয় বিজ্ঞানী, ছিনিয়ে নিলেন ক্ষেপণাস্ত্রের তথ্য

পাকিস্তানি নারীর প্রেমে ভারতীয় বিজ্ঞানী, ছিনিয়ে নিলেন ক্ষেপণাস্ত্রের তথ্য

পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে নিয়োগ পাওয়া নারীরা এর আগেও ভারতীয় গোয়েন্দা ও সেনা সদস্যদের প্রেমের জালে আটক করে আরামছে  বিভিন্ন তথ্য পেয়েছে। গত বছর এমনই একটি ঘটনা ভারতজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছিল। এরপর এই প্রক্রিয়া ঠেকাতে ভারতের পক্ষ থেকে নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিন্তু এবারও কি সেই ঘটনা ঘটেছে? এবার ভারতীয় এক ৬০ বৎসর বয়সী বিজ্ঞানীকে ফাসিয়ে দিলেন জারা দাশগুপ্ত নামে এক পাকিস্তানি গোয়েন্দা মহিলা।

ভারতে থাকাকালীন পাকিস্তানে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা নথি পাঠানোর অভিযোগে ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) এক বিজ্ঞানীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মহারাষ্ট্রের সন্ত্রাসবিরোধী শাখা বা এটিএস বুধবার ওই বিজ্ঞানীকে গ্রেফতার করেছে।

গ্রেপ্তার হওয়া বিজ্ঞানীর নাম প্রদীপ কুরুলকার। প্রাথমিক তদন্তের ভিত্তিতে ধারণা করা হচ্ছে, ‘মধু ফাঁদে’ ধরার পর সে গোপন তথ্য প্রতিবেশী দেশে পাচার করেছে।

প্রদীপকে গ্রেফতার করেছে মহারাষ্ট্রের এটিএস। সোশ্যাল মিডিয়ায় সুন্দরীদের ছবি দেখিয়ে প্রদীপের সামনে ফাঁদ বিছানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের। এর পরই তিনি গত বছর ছদ্মবেশে পাকিস্তানি গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত প্রদীপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও কল এবং হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে পাকিস্তান ইন্টেলিজেন্স অপারেটিভের (পিআইও) সাথে যোগাযোগ করেছিল।

প্রদীপ ডিআরডিও-র অন্যতম শীর্ষ পদে ছিলেন। তাই তিনি অনেক গোপন নথির কথাও জানতেন। আশঙ্কা করা হচ্ছে প্রদীপের পোস্টের অপব্যবহারের ফলে সংবেদনশীল সরকারি নথি পাকিস্তানের হাতে চলে যেতে পারে, যা পরবর্তীতে ভারতের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়াতে পারে।

অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মুম্বাইয়ের কালাচৌকি এটিএস থানায় একাধিক ধারার মামলা দায়ের করা হয়েছে। একজন ATS আধিকারিক জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই বিস্তারিত তদন্ত শুরু হয়েছে।

বুধবার গ্রেফতারের পর প্রদীপকে বৃহস্পতিবার আদালতে পেশ করা হয়। আদালত তাকে এটিএস হেফাজতে পাঠিয়েছে।

জানা গেছে, ভারতীয় প্রতিরক্ষা গবেষণা ও উন্নয়ন সংস্থার (ডিআরডিও) এক বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকর বিরুদ্ধে পাকিস্তানি মহিলা গুপ্তচরের প্রেমে পড়ে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত গোপন তথ্য পাচারের অভিযোগ উঠেছে। তিনি পুনেতে ডিআরডিওর একটি পরীক্ষাগারে পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

চলতি বছরের ৩ মে তাকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়। এখন তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে এই অভিযোগ আনা হয়েছে। বর্তমানে তিনি বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছেন।

শনিবার (৮ জুলাই) ভারতীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

জারা দাশগুপ্ত নামে এক পাকিস্তানি গোয়েন্দার প্রেমে পড়েছিলেন প্রদীপ কুরুলকার। প্রদীপের সাথে তার সম্পর্ক ২০২২ সালের জুন থেকে শুরু হয় যা   একই বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত চলে।

জারা দাশগুপ্তের সাথে চ্যাটের সময় প্রদীপ তাকে অন্যান্য গোপন প্রতিরক্ষা প্রকল্পের সাথে ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্য দিয়েছিল, চার্জশিটে বলা হয়েছে। গত সপ্তাহে আদালতে মহারাষ্ট্র পুলিশের সন্ত্রাসবিরোধী স্কোয়াড (এটিএস) তার বিরুদ্ধে একটি চার্জশিট দাখিল করেছিল।

ATS অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেছে যে প্রদীপ কুরুলকার এবং জারা দাশগুপ্ত হোয়াটসঅ্যাপের পাশাপাশি ভয়েস এবং ভিডিও কলের মাধ্যমে যোগাযোগ করতেন। জারা দাশগুপ্ত, যিনি নিজেকে যুক্তরাজ্যের একজন সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে পরিচয় দেন, ‘অশ্লীল বার্তা এবং ভিডিও’ পাঠিয়ে প্রদীপ কুরুলকারের সাথে বন্ধুত্ব করেন। তবে তদন্তের সময় জারার আইপি ঠিকানা যে পাকিস্তান, তা শনাক্ত করা হয়।

এই পাকিস্তানি গোয়েন্দা এজেন্ট ভারতের ব্রাহ্মোস লঞ্চার, ড্রোন, ইউসিভি, ফায়ার মিসাইল লঞ্চার এবং সামরিক ব্রিজিং সিস্টেম এবং অন্যান্য গোপন ও সংবেদনশীল তথ্য পাচারের চেষ্টা করেছিল। এছাড়াও বিজ্ঞানী প্রদীপ কুরুলকার জরা দাশগুপ্তের সাথে সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল (এসএএম), ড্রোন, ব্রহ্মোস এবং অগ্নি মিসাইল লঞ্চার এবং ইউসিভি সহ বিভিন্ন প্রকল্প সম্পর্কে কথা বলেছেন।

কে এই প্রদীপ? তাকে গ্রেফতারের পর থেকেই এ প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে দেশজুড়ে।

৬০ বছর বয়সী প্রদীপকে পুনেতে ডিআরডিওর সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিং ল্যাবরেটরির ডিরেক্টর পদে পোস্ট করা হয়েছিল।

প্রদীপের জন্ম ১৯৬৩ সালে। তিনি পুনে গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ থেকে ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং অধ্যয়ন করেন। ১৯৮৫ সালে, প্রদীপ খুব ভাল নম্বর পেয়ে কলেজ পাস করে।

প্রদীপ ১৯৮৮ সালে DRDO-তে যোগদান করেন। তিনি তামিলনাড়ুর আভাদিতে DRDO-এর ‘কমব্যাট ভেহিক্যালস রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এস্টাব্লিশমেন্ট’-এর জন্য কাজ করেন।

কাজে যোগ দিয়ে আরও পড়াশোনা করার ইচ্ছা প্রদীপের। কাজ করার সময় তিনি আইআইটি কানপুরে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পান।

প্রদীপ আইআইটি কানপুরে প্রতিরক্ষা তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন। মিসাইল লঞ্চার, মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং, অ্যাডভান্স রোবোটিক্স এবং মনুষ্যবিহীন মিসাইল ডিজাইনে তার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে।

পড়াশোনা শেষ করে প্রদীপ আবার ডিআরডিওতে যোগ দেন। সেখানে তিনি খুব দ্রুত পদোন্নতি পান। তিনি নিজের হাতে ভারতের জন্য বেশ কিছু প্রতিরক্ষা সামগ্রী ডিজাইন করেছিলেন।

প্রধান ডিজাইনার হিসাবে, প্রদীপ হাইপারবারিক চেম্বার, মোবাইল পাওয়ার সাপ্লাই এর মত প্রযুক্তিতে কাজ করেছেন।

প্রদীপ এমআরএসএএম, নির্ভয় সাবসনিক ক্রুজ মিসাইল সিস্টেম, প্রহর, কিউআরএসএএম এবং এক্সআরএসএএম-এর জন্য মিসাইল লঞ্চার তৈরিতেও অবদান রেখেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X