রাশিয়ান গুপ্তচর তিমি সুইডেনের উপকূলে
সুইডেনের উপকূলে একটি সাদা বেলুগা তিমি দেখা গেছে। ২০১৯ সালে নরওয়েতে এরকম একটি সাদা বেলুগা তিমি দেখা গিয়েছিল৷ তখন এটি রাশিয়ান নৌবাহিনী দ্বারা প্রশিক্ষিত একটি গুপ্তচর তিমি বলে ধারনা করা হয়েছিল৷ কারণ সেই তিমিটির গলায় মানবসৃষ্ট বর্ম ছিল। সুইডেনের উপকূলে তিমিটি আবার দেখা দিয়েছে। তার গতিবিধির ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জানান তারা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বেলুগা তিমি ‘সাদা তিমি’ নামেও পরিচিত। তারা তাদের সুরেলা কণ্ঠের জন্য বিখ্যাত। প্রাপ্তবয়স্ক বেলুগা তিমিদের দেহ সাদা, কিন্তু যখন তারা বাচ্চা হয়, তখন তাদের ত্বকের রঙ গাঢ় ধূসর হয়। তারা খুব ঠান্ডা আবহাওয়াতে বরফের মধ্যেও বেঁচে থাকে।
বেলুগা তিমি ‘সাদা তিমি’ নামেও পরিচিত।
তিমির মাথা সামনের দিকে উঁচু। এটি সমুদ্রের ৮০০ মিটার গভীরে যেতে পারে এবং এক ডুবে প্রায় ২৫ মিনিট পানির নিচে থাকতে পারে। বেলুগাসের অন্যান্য তিমির মতো পৃষ্ঠীয় পাখনা নেই। ২০১৯ সালে যখন তিমিটি নরওয়েতে আসে, তখন দেশটির মৎস্য বিভাগ এটিকে আটক করে।
এ সময় তিমির সঙ্গে লাগানো বর্ম ও অ্যাকশন ক্যামেরা খুলে দেওয়া হয়। তিমিটির চারপাশে মোড়ানো প্লাস্টিকের টুকরোটিতে লেখা ছিল ‘ইকুইপমেন্ট সেন্ট পিটার্সবার্গ’।
২০১৯ সালে যখন তিমিটি নরওয়েতে আসে, তখন দেশটির মৎস্য বিভাগ এটিকে আটক করে।
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা তখন বলেছিলেন যে তিমিটি একটি ঘের থেকে পালিয়ে যেতে পারে এবং রাশিয়ান নৌবাহিনী দ্বারা প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নরওয়েজিয়ানরা বেলুগা তিমিটির নাম দিয়েছে, ‘হাভালদিমির’।
তিমি পর্যবেক্ষক ওয়ানহোল সোমবার (২৯ মে) বলেছেন যে হাভালদিমির গত তিন বছরে নরওয়ের উপকূলের অর্ধেক অতিক্রম করেছে।
রবিবার তাকে সুইডেনের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে হুনেবোস্ট্র্যান্ডে পালন করা হয়।
তিমিটির চারপাশে মোড়ানো প্লাস্টিকের টুকরোটিতে লেখা ছিল ‘ইকুইপমেন্ট সেন্ট পিটার্সবার্গ’।
ওয়ানহোল ইনস্টিটিউটের সামুদ্রিক জীববিজ্ঞানী সেবাস্টিয়ান স্ট্র্যান্ড বলেন, “আমরা জানি না কেন এটি হঠাৎ করে এত দ্রুত গতিতে চলে যাচ্ছে।” বিশেষ করে যেহেতু সে তার প্রাকৃতিক পরিবেশ থেকে এত দ্রুত দূরে সরে যাচ্ছে। এটি হরমোনের কারণে হতে পারে যা তাকে সঙ্গী খুঁজে পেতে বা একাকী বোধ করতে চালিত করে। কারণ বেলুগা তিমি খুবই সামাজিক প্রজাতি।’
মস্কো আনুষ্ঠানিকভাবে নরওয়ের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানায়নি যে তিমিটি রাশিয়ান গুপ্তচর হতে পারে।