May 15, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
সাপের স্যুপ শীতের মজাদার খাবার যে আজব দেশে

সাপের স্যুপ শীতের মজাদার খাবার যে আজব দেশে

সাপের স্যুপ শীতের মজাদার খাবার যে আজব দেশে

সাপের স্যুপ শীতের মজাদার খাবার যে আজব দেশে

চাইনিজরা খায়না পৃথিবীতে এরকম বস্তু বা এরকম প্রাণী খুব কমই আছে। যদিও তাদের এই খাবারের কারণে পৃথিবীতে অনেক রোগ বালাই ছড়িয়েছে । তবুও তারা আদিম এ খাবারকে সহজে এড়িয়ে যেতে চাননা ।   তাদের এই আশ্চর্য খাবারের তালিকায় অন্যতম হলেও সাপ । চাই সেটা বিষাক্ত হোক বা নির্বিষ হোক  খেতে হবেই।

শীত এলেই সাপের স্যুপের বিক্রি বাড়ে, কিন্তু শরীরের ক্ষতি হয় না কেন? আজকের মজাদার আলোচনায় সে বিষয়েই থাকবে ।

গোখরা পৃথিবীর অন্যতম বিষধর সাপ। একটি কামড়ে কেউ হয়তো সর্বোচ্চ চার ঘণ্টা জীবিত থাকতে পারবেন। কিন্তু মিস চৌ-এর জন্য এই বিষধর এশিয়ান সাপটি রাতের খাবারের প্রধান মেন্যু   । তাঁর কথায়, ‘সাপের মাংসে প্রচুর প্রোটিন ও কোলাজেন থাকে। এবং এটি সম্পূর্ণ কোলেস্টেরল মুক্ত। সাপের হাড়ে থাকে  প্রচুর ক্যালসিয়াম ।

মিস চৌ হংকংয়ে সাপের মাংসের স্বাস্থ্য উপকারিতা শেয়ার করতে   তিনি প্রথম একটি রেস্তোরাঁ খুলেন। ১৯৬৯ সালে এটি  প্রতিষ্ঠিত, এই শিয়া ওয়াং হিপ রেস্তোরাঁটি হংকং (যার মূল দেশ হল  চীন বা চায়না)-এর প্রাচীনতম স্নেক স্যুপ রেস্তোরাঁ। মিস চৌ-এর বাবা   ১৯৬০  -এর দশকের গোড়ার দিকে সাপের ব্যবসা শুরু করেছিলেন। তখনই তারা এই   ভয়ংকর  সরীসৃপটি  রান্না করে খাওয়া শুরু করে।

কিন্তু আধুনিক যুগে খাদ্যাভ্যাসের পরিবর্তন হচ্ছে। এবং এখন তরুণ প্রজন্মের খুব কম মানুষই জানেন কিভাবে এই স্যুপ তৈরি করতে হয়। অনেকে বিশ্বাস করেন যে এই সাপের স্যুপ ব্রঙ্কাইটিস থেকে শুরু করে মারাত্মক রোগ শোক নিরাময় করতে পারে। রেস্তোরাঁয় খেতে আসা এক ভোক্তার পরামর্শ, প্রতি দুই সপ্তাহ পরপর সাপের স্যুপ খেলে শরীরের বিষাক্ত পদার্থ ঘাম হয়ে বেরিয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘পাঁচটি ভিন্ন প্রজাতির সাপ দিয়ে এক বাটি স্যুপ তৈরি করা যায়। বিষাক্ত হোক বা না হোক, তাদের সকলেরই রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা রয়েছে।

আমরা জানি, পৃথিবীতে এমন একটি দেশ আছে যেখানে মানুষ সাপকে ভয় পায় না, তারা তা থেকে স্যুপ তৈরি করে খায়। আর সেই দেশটি হলো চীন। শীত এলেই সে দেশের মানুষ এই স্যুপ খায়। এমনকি এই খাবারটি চীনে খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু এর কারণ কী? কিন্তু কী বিষ তাদের শরীরে ঢুকছে না? বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ে গবেষণা করছেন।

শীত এলেই সাপের স্যুপের বিক্রি বাড়ে, কিন্তু শরীরের ক্ষতি হয় না কেন?

এক বাটি স্যুপ. আর তাতে সাপ কিচিরমিচির করছে। আপনি এটি শুনলে আপনি কেঁপে উঠতে পারেন, তবে এটি চীনে একটি খুব জনপ্রিয় খাবার। আপনি কি এটা আবার ঘটবে মনে করেন? বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে এ নিয়ে গবেষণা করছেন। অবশেষে চীনারা কেন এই স্যুপ পান করে তার উত্তরও খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

রেসিপিটি হাজার বছরের পুরনো

বিশেষজ্ঞদের মতে, হাজার হাজার বছর ধরে সাপের স্যুপ দক্ষিণ চীনা খাবারের একটি অংশ। এই রেসিপিটি জিয়াং কংগিন (১৮৬৪-১৯৫২) দ্বারা জনপ্রিয় হয়েছিল, যিনি কিং রাজবংশের প্রয়াত পণ্ডিতদের একজন এবং গুয়াংজু এর স্থানীয় বাসিন্দা। সেই সময়ে, সাপের স্যুপ গুয়াংডং প্রদেশের সেরা সুস্বাদু খাবারের খেতাজ জিতেছিল। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হল এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। কিন্তু কেন? বিষধর সাপকে পানিতে সিদ্ধ করলেও সব বিষ উধাও হয়ে যায়? এর উত্তরও দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

কেন সাপের স্যুপ স্বাস্থ্যকর বলে মনে করা হয়?

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের খবর অনুযায়ী; বিশেষজ্ঞদের মতে, হান রাজবংশের সময় থেকেই সাপকে সুস্থ মনে করা হয়। কারণ এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ চীনা ওষুধের সূত্রে ব্যবহৃত হয়। সাপের স্যুপ ভিটামিন এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ এবং ভাল ঘুমের পক্ষে কাজ করে এবং ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে পারে বলে জানা যায়। । আর এই সব কারণে সে দেশের মানুষ শীত পড়লেই এই স্যুপ খাওয়া শুরু করে।

ক্যান্টনিজ ভাষায় রেস্তোরাঁটির নাম ‘শি ওং লাম’, যার অর্থ- স্নেক কিং লাম। এখানে ১০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে স্নেক স্যুপ বিক্রি হচ্ছে সাপের স্যুপের একটি প্লেটের দাম ৪৫ হংকং ডলার, যা ছয় মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশী  মুদ্রায় প্রায় ৭০০ টাকা

আকাশ-ছোঁয়া, বিরাট-বিরাট  অট্টালিকার অতি ব্যস্ত শহর হংকং৷ তারই একটি নিরিবিলি স্ট্রিটের একটি  আদিম  দোকানের সামনে দেখতে পাওয়া যাবে, লোহার খাঁচায় করে সাপ আর সাপ ! খাঁচাগুলো দোকানের দরজা পর্যন্ত স্তূপ করা৷ প্রতিটি খাঁচায় কিলবিল করছে হরেক রকমের মজাদার সাপ!

স্নেক স্যুপ চীনের মূল ভূখন্ডে, যেমন হংকং, বিশেষ করে শীতকালে খুব জনপ্রিয়

ভিতরে শত শত ড্রয়ার। ড্রয়ারের মধ্যে আপনি গ্লাস দিয়ে দেখতে পাবেন হরেক রকমের সাপ। এবং লেখা আছে বিষাক্ত তবে সবগুলোই খাবারের সাপ। এগুলোকে তারা শরীর গরম করার জন্য খেয়ে  থাকে ।  বেশিরভাগ সাপই  চর্বিহীন । তবে গ্রাহক বা পৃষ্ঠপোষকরা বলতে পারবেন সেই মাংস দিয়ে তৈরি মোটা স্যুপ খেতে কেমন লাগে।

দোকান বা রেস্তোরাঁটি মূল ভূখণ্ডের চীনের একজন সাপের ব্যবসায়ী খুলেছিলেন, হংকং-এর মতো মূল ভূখণ্ডের চীনেও সাপের স্যুপ খুব জনপ্রিয়, বিশেষ করে শীতকালে যে দামি স্যুপটি খেলে তা শরীরকে উষ্ণ রাখে, কারণ শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং অসুস্থতা কমে যায়। সাপের পিত্তে এর সমস্ত পুষ্টি রয়েছে, তাই বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী চীনা ওষুধে সাপের পিত্ত ব্যবহার করা হয়।

যাইহোক, হংকংয়ে সাপ ধরা এবং গ্রাহকদের সাপের কামড় খাওয়ানোর দিন শেষ হয়ে আসছে, আধুনিক ‘স্নাপার’দের অনেকেই মনে করেন। কাজটি কঠিন কারন বিপজ্জনক সাপুররা নিজেরাই চান না তাদের সন্তানরা এই পেশায় আসুক।

 উল্লেখ্য,

রাঁধুনি যখন সাপের কাটা মাথা রেস্তোরাঁর আবর্জনার স্তূপে ফেলে দিতে যাচ্ছিল, তখন কাটা মাথাটি রাঁধুনিকে কামড় দেয়।

চীনের দক্ষিণাঞ্চলীয় গুয়াংডং অঞ্চলে এ ঘটনায় চীনা বাবুর্চি পেং ফ্যান মারা যান । রেস্টুরেন্টে আসা ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী স্যুপ তৈরি করতে গিয়ে প্রাণ হারান বাবুর্চি। ফলে ঘটনাস্থলেই বাবুর্চির মৃত্যু হয়। জানা গেছে, সাপটিকে মেরে ফেলার ২০ মিনিট পর ময়লার স্তূপে ফেলতে যান তিনি।

প্রাণিবিদরা জানিয়েছেন। সাপকে মেরে ফেলার পরও তার মধ্যে কিছু প্রাণ থেকে যায়। সেই প্রাণ শরীর থেকে বেরিয়ে আসতে একটু বেশি সময় লাগে। আর সেই সময়ের মধ্যেই সাপের ছিন্ন মস্তক ছুঁড়ে ফেলতে গিয়ে কাটা মাথার কামড়ে প্রাণ হারান রাধুনী।

আরও পড়ুন

সাপ খাইঃ কারণ আয় ও খাবার না

    Leave a Reply

    Your email address will not be published.

    X