May 15, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
চীনে জনসংখ্যা বাড়াতে নারীদের ঘরে থাকতে উৎসাহিত করছে সরকার

চীনে জনসংখ্যা বাড়াতে নারীদের ঘরে থাকতে উৎসাহিত করছে সরকার

চীনে জনসংখ্যা বাড়াতে নারীদের ঘরে থাকতে উৎসাহিত করছে সরকার

চীনে জনসংখ্যা বাড়াতে নারীদের ঘরে থাকতে উৎসাহিত করছে সরকার

চীনঃ

চীনের সাংবিধানিক নাম গণপ্রজাতন্ত্রী চীন। পূর্ব এশিয়ার একটি দেশ। চীন ১৪১ কোটি  জনসংখ্যার এই দেশটি বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশ। চীনের কমিউনিস্ট পার্টি দেশ শাসন করে। বেইজিং দেশটির রাজধানী। গণপ্রজাতন্ত্রী চীন ২২ টি প্রদেশ, পাঁচটি স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল, চারটি কেন্দ্রীয় পৌরসভা (বেইজিং, তিয়ানজিন, সাংহাই এবং চংকিং) এবং দুটি আধা-স্বায়ত্তশাসিত বিশেষ প্রশাসনিক অঞ্চল (হংকং এবং ম্যাকাও) নিয়ে গঠিত। চীনও তাইওয়ানের ওপরও  সার্বভৌমত্ব দাবি করে।

  • দেশের প্রধান মেট্রোপলিটন এলাকাগুলির মধ্যে রয়েছে সাংহাই, গুয়াংজু, বেইজিং, চংকিং, শেনজেন, তিয়ানজিন এবং হংকং। চীন বিশ্বের একটি প্রধান শক্তি এবং এশিয়া মহাদেশের একটি প্রধান আঞ্চলিক শক্তি। দেশটিকে চিহ্নিত করা হয় সম্ভাব্য ভবিষ্যৎ পরাশক্তি হিসেবে।
  • চীন বিশ্বের জনসংখ্যার এক-পঞ্চমাংশের আবাসস্থল। তাদের মধ্যে ৯০% এরও বেশি চীনা হান জাতির অন্তর্ভুক্ত। হান ছাড়াও চীনে আরও ৫৫টি জাতিগত সংখ্যালঘু বসবাস করে। এর মধ্যে রয়েছে তিব্বতি, মঙ্গোল, মুসলিম উইঘুর, চুয়াং, মিয়াও, ই এবং অন্যান্য অনেক ছোট  ছোট জাতিগোষ্ঠী। অঞ্চলভেদে হান জনগোষ্ঠীর মধ্যে ভাষাগত পার্থক্যও দেখা যায়।
  • চীনের আয়তন প্রায় ৯৬ লাখ বর্গকিলোমিটার। এটি ভূমি এলাকা হিসেবে   বিশ্বের ৩৬য়/৪ র্থ বৃহত্তম দেশ।  চীনের ভূমিরূপ বিশাল এবং বৈচিত্র্যময়।
  • চীন-তিব্বতি ভাষা পরিবারের চীনা শাখার ভাষাগুলো কখনো কখনো চীনা ভাষা হিসেবে পরিচিত। যদিও ম্যান্ডারিন চীনা গণপ্রজাতন্ত্রী চীন এবং চীন প্রজাতন্ত্র (তাইওয়ান) এর একমাত্র সরকারী ভাষা, রেন্মিন্বি (CNY) তাদের মুদ্রা।
  • চীনা লোকজ ধর্ম (৭৩.৫৬%) ,বৌদ্ধধর্ম (১৫.৮৭%) , চীনা লোকজ ধর্মের অন্তর্গত তাওবাদ সহ অন্যান্য ধর্মীয় সংগঠন (৭.৬%) , খ্রিস্টধর্ম (২.৫৬%) ,ইসলাম (০.৪৫%) ।

সেই  চীনের জনসংখ্যা দিন দিন আশঙ্কাজনক হারে কমছে। দেশে প্রতিনিয়ত তারুণ্যের অভাব ঘটছে। জন্মহারের চেয়ে মৃত্যুর হার বেশি। চীন সরকার ইতিমধ্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে টিকিয়ে রাখতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে পরিস্থিতির খুব একটা পরিবর্তন হয়নি। জনসংখ্যা বাড়াতে বাধ্য হয়ে দেশটির ক্ষমতাসীন কমিউনিস্ট পার্টি নতুন ধারণার সূচনা করে। এখন শাসক দল নারীদের ঘরে থাকতে উৎসাহিত করছে। তাদের পুরনো রীতিতে ফিরে যেতে বলা হচ্ছে । এইভাবে চীনের নেতারা সমস্যাগুলি কাটিয়ে উঠতে এবং মন্থর অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করতে চাইছেন। গত সোমবার চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নারী কংগ্রেস শেষে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ অন্য নেতারা নারীদের প্রতি এমন ইঙ্গিত দেন। তবে সরকারের এমন সিদ্ধান্তে আতঙ্কিত দেশের নারীরা।

প্রতি পাঁচ বছর অন্তর চীনে একটি মহিলা কংগ্রেস (মহিলা সম্মেলন) অনুষ্ঠিত হয়। দুই দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো দলটির কার্যনির্বাহী নীতিনির্ধারণী কমিটিতে কোনো নারী নেই। এর অর্থ হল চীন তাদের  কংগ্রেস লিঙ্গ সমতা ব্যাপকভাবে হ্রাস করছে। পূর্ববর্তী সম্মেলনে, দেশটি কর্মক্ষেত্রের পাশাপাশি গৃহে নারীদের ভূমিকাকে অগ্রাধিকার দিয়েছে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট শি চলতি বছরের ভাষণে কর্মক্ষেত্রে নারীদের ভূমিকার কথা উল্লেখ করেননি। বরং সমাবেশে নারীদের বিয়ে ও সন্তান জন্মদানের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। সমাপনী সভায় নারী প্রতিনিধিদের উদ্দেশে শি বলেন, “আমাদের সক্রিয়ভাবে বিবাহ ও সন্তান জন্মদানের সংস্কৃতিকে লালন করা উচিত।” “ভালবাসা, বিয়ে, উর্বরতা এবং পরিবার” সম্পর্কে তরুণদের মতামতকে প্রভাবিত করার ক্ষেত্রেও দলটির ভূমিকা রয়েছে৷

চাকরিসহ  বিভিন্ন অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি সম্মেলনে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রেসিডেন্ট শির মতে, “আধুনিকীকরণের পথে চীনের” ঐতিহ্যগত জীবনে নারীদের প্রত্যাবর্তন অপরিহার্য। শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক সমাবেশ মহিলাদের জন্য হলেও সেখানে পুরুষদের আধিপত্য ছিল। অন্যান্য নেতারাও তাদের বক্তৃতায় বিয়ে ও সন্তান ধারণের ওপর জোর দেন। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, চীন সরকার জনসংখ্যা বৃদ্ধিকে আগের ধারায় ফিরিয়ে আনতে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। একের পর এক উদ্যোগ। নগদ প্রণোদনা প্রদান করা (আরো জন্মে উৎসাহিত করার জন্য কর সুবিধা)। ওয়াশিংটনের ফ্রিডম হাউসের গবেষণার পরিচালক ইয়াকিউ ওয়াং বলেছেন, “চীনের নারীরা এই প্রবণতা দেখে শঙ্কিত৷ অগণিত নারীরা বছরের পর বছর ধরে কর্তৃত্ববাদী সরকার এবং পুরুষতান্ত্রিক সমাজের বিরুদ্ধে লড়াই করেছে৷

উল্লেখযোগ্যভাবে, ছয় দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো চীনের জনসংখ্যা কমেছে। ২০২২ সালে, দেশের জনসংখ্যা কমপক্ষে ৮৫০,০০০ কমেছে। চীনের জাতীয় পরিসংখ্যান ব্যুরো এ তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা অনুমান করেছেন যে ২০৫০ সালের মধ্যে চীনের জনসংখ্যা কমপক্ষে ১০ কোটি ৯০ লাখ  কমে যাবে, যা ২০১৯ সালে অনুমান করা সংখ্যার প্রায় তিনগুণ। সেক্ষেত্রে, ভারত বিশ্বের সবচেয়ে জনবহুল দেশের অবস্থান দখল করবে।

দেশটির জনসংখ্যাবিদদের আশঙ্কা, জনসংখ্যা হ্রাসের এই ধারা অব্যাহত থাকলে চীন উন্নত ও ধনী দেশে পরিণত হওয়ার আগেই দেশটির জনসংখ্যা তলানিতে চলে যাবে । একই কারণে দেশের রাজস্ব কমবে, সামাজিক কল্যাণ ও স্বাস্থ্য ব্যয় বাড়বে।

আরও পড়তে

উইঘুর মুসলিম নির্যাতনকে বৈধতা দিতে চীন ট্রল আর্মি তৈরি করেছে: মুসলিম বিশ্ব নীরব

চীনা তরুণ প্রজন্ম বিয়ের প্রতি আগ্রহ হারাচ্ছে

    Leave a Reply

    Your email address will not be published.

    X