May 1, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
থমথমে পরিস্থিতিতে বান্দরবানঃ চলছে যৌথ অভিযান

থমথমে পরিস্থিতিতে বান্দরবানঃ চলছে যৌথ অভিযান

থমথমে পরিস্থিতিতে বান্দরবানঃ চলছে যৌথ অভিযান

থমথমে পরিস্থিতিতে বান্দরবানঃ চলছে যৌথ অভিযান

কেএনএফের সক্রিয় নারী সদস্য ও সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারসহ  গ্রেফতার ৫৩ ,  গাড়ি, ৭টি অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার ।

কেএনএফের তাণ্ডব ও ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলায় শুক্রবার থেকে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযান শুরু হয়েছে। গতকাল রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে কেএনএফের ৫৩ সদস্যকে আটক করা হয়। এছাড়া চালকসহ ৭টি দেশীয় বন্দুক ও একটি চাঁদের গাড়ি আটক করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে ১৮ জন নারী সদস্য রয়েছেন। গ্রেফতারকৃতদের গতকাল সন্ধ্যা ৭টায় চারটি বাসে করে বান্দরবান সদর থানায় আনা হয়। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসেন রায়হান কাজেমী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে রুমা উপজেলার বেথেলপাড়া থেকে যৌথ অভিযানে ৭টি দেশীয় বন্দুকসহ কেএনএফের দুই সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএসপিআর। এ সময় তাদের ব্যবহৃত কাপড় ও ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়। রুমা সেনা জোনের অধিনায়ক লে. কর্নেল কে এম আরাফাত আমিন জানান, সেনাবাহিনী বেথেলপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ৭টি দেশীয় বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি, কেএনএফ জামাকাপড়, ল্যাপটপ, এক জোড়া বুট, ১টি ছুরি ও অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে রুমা সোনালী ব্যাংকের জুনিয়র অফিসার (ক্যাশ) কে কেএনএফের আরও ২ সদস্যসহ সন্দেহভাজন হিসেবে আটক করা হয়েছে। তার নাম লালচিয়াম বম।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, গত ২ ও ৩ এপ্রিল রুমা-থানচিতে পাহাড়িদের সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) দাঙ্গার ঘটনায় রুমা-থানচিতে এ পর্যন্ত ৮টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ডাকাতি হওয়া ব্যাংকগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে।

দাঙ্গায় জড়িতদের গ্রেফতারে সেনাবাহিনী-র‌্যাব-পুলিশ, এপিবিএনসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সমন্বয়ে একটি যৌথ বাহিনী অভিযান চালাচ্ছে। রুমা, থানচি, রোয়ানছড়ি ও আলীকদম উপজেলার সীমান্ত এলাকায়ও অভিযান জোরদার করা হয়েছে।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন জানান, অভিযানের শুরুতে থানচি থেকে ৪ ও রুমা থেকে ২ জনকে আটক করা হয়েছে। এর আগে রোববার র‌্যাবের অভিযানে বান্দরবান সদরের শরণ পাড়া থেকে কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ককে গ্রেপ্তার করা হয়। সেনাবাহিনী-র‌্যাব-পুলিশের পৃথক অভিযানে এ পর্যন্ত ৭ জনকে আটক করা হয়েছে।

রুমা উপজেলা সেনাবাহিনীর জোন কমান্ডার লে.কর্ণেল কে.এম.আরাফাত আমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, সোমবার বিকেলে রুমার বেথেল পাড়া থেকে সোনালী ব্যাংকের সহকারী ক্যাশিয়ারসহ কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের আরও ২ সদস্যকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৭টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২০ রাউন্ড গুলি, কেএনএফের পোশাক ও সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।

ভোরে যৌথবাহিনীর অভিযানে থানচি ও বান্দরবানের রাইলা চেকপোস্ট থেকে কেএনএফের ৩ সদস্য ও গাড়িচালকসহ ৪ জনকে আটক করা হয়। গতকাল কেএনএফের প্রধান সমন্বয়ককে গ্রেফতার করেছে যৌথবাহিনী।

বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কেএনএফের তিন সদস্যসহ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বান্দরবানের রোয়াছড়ি উপজেলার রাউনিন পাড়ার ভানুনান নুয়াম বোম, থানচি ইউনিয়ন সদরের সিমতলং পাড়ার জেমিনিউ বোম, থানচি উপজেলার টিএন্ডটি পাড়ার বাসিন্দা আমে ল্যাঞ্চও বোম ও চালক মোহাম্মদ কফিল উদ্দিন।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হোসেন মোহাম্মদ রায়হান কাজেমী জানান, সোমবার সকালে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন কেএনএফ সদস্য ও একজন চালককে আটক করা হয়েছে।

রোববার বান্দরবান সদরের রেইচা চেকপোস্ট এলাকায় অভিযান চালিয়ে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় কেএনএফের তিন সদস্যকে আটক করা হয় বলে জানান তারা। এছাড়াও থানচি উপজেলা থেকে চালককে আটক করা হয়েছে এবং ডাকাতিতে ব্যবহৃত বোলারো গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।

এদিকে বান্দরবানে ব্যাংক ডাকাতি ও থানায় হামলার ঘটনায় কেএনএফ সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে সেনাবাহিনী, বিজিবি, র‌্যাব, পুলিশ ও আনসারের চিরুনি অভিযান চলছে। কয়েকদিন ধরে জেলার রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়িসহ দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চলছে।

জানা গেছে, যৌথ অভিযান আরও জোরালোভাবে পরিচালনার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে। উপজেলার সার্বিক নিরাপত্তার জন্য নেওয়া হচ্ছে নতুন নতুন পদক্ষেপ। এরই অংশ হিসেবে চলমান পরিস্থিতি মোকাবেলায় বান্দরবানে চারটি বিশেষ সাঁজোয়া যান (এপিসি) আনা হয়েছে। আর এই বিশেষ সাঁজোয়া যান (এপিসি) পাঠানো হয়েছে রাওয়াংছড়ি, রুমা ও থানচি উপজেলায়।

এদিকে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন জানান, প্রতিটি এলাকায় আইনশৃঙ্খলার তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। জনবল ও শক্তি বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা সন্ত্রাসীদের দমন করতে চাই। তারা যাতে কোনো ধরনের সুইপিং অ্যাকশন না নেয় সেজন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে।

ব্যাংকিং কার্যক্রম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ব্যাংকিং কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। যেসব উপজেলায় ব্যাংকিং কার্যক্রম নেই সেগুলো জেলা থেকে পরিচালিত হচ্ছে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা জনগণের সঙ্গে আছি। এরপরও জনমনে আতঙ্ক কাটেনি। রুমা, রোয়ানছড়ি ও থানচির পরিস্থিতি এখনও থমকে আছে।

এদিকে ব্যাংক কর্মকর্তারা জানান, সশস্ত্র সন্ত্রাসী হামলা ও ব্যাংক লুটপাটের কারণে বনের তিন উপজেলায় সোনালী ও কৃষি ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে।

    Leave a Reply

    Your email address will not be published.

    X