July 27, 2024

Warning: Undefined array key "tv_link" in /home/admin/web/timetvusa.com/public_html/wp-content/themes/time-tv/template-parts/header/mobile-topbar.php on line 53
এবার ডা. ইউনুসের গ্রামের বাড়িতে পুলিশ: মামলা হয়েছে মাত্র ১৭৬টি

এবার ডা. ইউনুসের গ্রামের বাড়িতে পুলিশ: মামলা হয়েছে মাত্র ১৭৬টি

এবার ডা. ইউনুসের গ্রামের বাড়িতে পুলিশ: মামলা হয়েছে মাত্র ১৭৬টি

এবার ডা. ইউনুসের গ্রামের বাড়িতে পুলিশ: মামলা হয়েছে মাত্র ১৭৬টি

শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্রামের বাড়িতে পুলিশ সদস্যের পরিদর্শনের তথ্য পাওয়া গেছে ।  গত ৩১ আগস্ট চট্টগ্রামের হাটহাজারীর নাজুমিয়া হাটে এই অর্থনীতিবিদের বাড়িতে যান একজন পুলিশ পরিদর্শক।

তিনি স্থানীয়দের কাছ থেকে। ইউনূস ও তার পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করুন। কথা বলেন ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ভাইয়ের সাথেও। ডাঃ ইউনূসের ভাই মাইনুল ইসলাম ও স্থানীয়রা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে হাটহাজারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।

স্থানীয়রা বাসিন্দা,নাজুমিয়া হাটের সার দোকানদার মঞ্জুর আলী এ প্রসঙ্গে বলেন, গত ৩১ আগস্ট বিকেলে পুলিশ আমার কাছে আসে। ইউনূসের বিষয়ে জানতে চান। পরে পুলিশকে ফোন করি। ইউনূসের ছোট ভাই মাইনুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করতে বলি।

সে আমার কাছ থেকে মইনুলের ফোন নম্বর নেয় এবং তার সাথে কথা বলে। মঞ্জুর আরও বলেন, প্রথমে মদুনাঘাট বিটের এসআই মো. আজম ইউনূসের পরিবারের সদস্যরা এখন কোথায় আছেন, কী করছেন জানতে চান। তারা কোথায় পড়াশোনা করেছে? তারা কি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত?ড.  ইউনূস কোথায় পড়াশোনা করেছেন- এ তথ্য জানতে চান ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে এসব তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে জানান এসআই। এসআই আরও বলেন, ইউনূসের অবস্থান এবং পরিবারের সকল সদস্যের রাজনৈতিক ও ব্যক্তিগত তথ্য যাচাই-বাছাই করে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে। তাই তিনি গ্রামের বাড়িতে আসেন।

হাটহাজারী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ড. ইউনূসের বাসায় গেছেন জানি না। আমার থানার কোনো পুলিশ তার বাড়িতে যায়নি।

এ বিষয়ে ড. ইউনূসের ভাই মাইনুল ইসলাম বলেন, পুলিশ আমার কাছে অনেক তথ্য চেয়েছে। ড. ইউনূস কোথায় প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন? তার পরিবারের সকলের নাম কি এবং এখন কে কোথায় আছে? তিনি কখনো নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন কিনা। আপনি কি রাজনীতির সাথে যুক্ত? পরিবারের সদস্য কত জন  ভাইবোন, সবার নাম, মায়ের নাম। ভাইবোনরা কি করে? তাদের কি কোনো রাজনৈতিক পরিচয় আছে? গ্রামের বাড়িতে শেষ কবে এসেছিলেন? এগুলো জানতে চাওয়া হয়। আমি যতটুকু জানি উত্তর দিয়েছি। পরে তার পরিচয় জানতে চাইলে সে নিজেকে হাটহাজারী থানার মদুনাঘাট বিট থানার এসআই আজম বলে জানায়।

ইউনূস ১৭৬টি মামলা

মুহাম্মদ ইউনূসের কাঁধে ১৭৬টি মামলা ঝুলছে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. যার মধ্যে দুটি শ্রম আইন লঙ্ঘন করে ফৌজদারি এবং বাকিগুলো দেওয়ানি প্রকৃতির। এ ছাড়া কর ফাঁকির একটি মামলা হাইকোর্টে বিচারাধীন। তবে দুদকের দায়ের করা মামলায় এখনো কোনো চার্জশিট হয়নি এগুলো  তদন্তের  অধীন। কারখানার দায়ের করা মামলাটি মতিঝিলের শ্রম আদালতে বিচারাধীন।

গত মঙ্গলবার শ্রম আদালতে কলকারখানা অধিদপ্তরের দায়ের করা মামলায় বাদীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১৩ সেপ্টেম্বর ধার্য করা হয়েছে। চলমান এই মামলায় থাকা ধারা লঙ্ঘন করলে আইন অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৬ মাসের কারাদণ্ড হতে পারে। অন্য দুটি ধারায় ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে। ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন দাবি করেন, যারা ইউনূসকে পছন্দ করেন না, তারাই মূলত তার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা করছেন। কারখানার পক্ষে দায়ের করা মামলাটি মূলত দেওয়ানি প্রকৃতির। যে অভিযোগের ভিত্তিতে এই মামলা দায়ের করা হয় তা দেওয়ানি মামলায় প্রতিকার করা হয়। কিন্তু তারপরও কলকারখানা অধিদপ্তরে ফৌজদারি অভিযোগ দায়ের করা হয়। কেন করেছিলে? সেটা এখন সবাই জানে। ড.ইউনূসের বিরুদ্ধে কারখানার মামলাসহ দায়ের করা মামলাগুলোর কোনোটিরই কোনো ভিত্তি নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি

অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, আইন অনুযায়ী মামলার কার্যক্রম চলছে। সরকার এখানে হস্তক্ষেপ করছে না। এটা সরকারের দায়ের করা মামলা নয়। এটি কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের মামলা। তিনি (ইউনুসের আইনজীবী) আদালতে সময় চাইলে আদালত সময় দেন। অনেকদিন ধরে শুনানি চলছে । তারপরও অভিযোগের খাতিরে তিনি অভিযোগ করছেন।

কারখানার নবনিযুক্ত আইনজীবী সৈয়দ হায়দার আলী বলেন, আসামিপক্ষের আইনজীবী আবদুল্লাহ আল মামুন মামলাটি ভিত্তিহীন বলে যে অভিযোগ করেছেন, তারই  আসলে কোনো ভিত্তি নেই। মামলাটির ভিত্তি আছে বলেই আদালত মামলাটি গ্রহণ করেন।

গত ৩০শে মে গ্রামীণ টেলিকম থেকে শ্রমিক-কর্মচারীদের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে প্রফেসর ড. ইউনূস সহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এতে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯ ধারা এবং মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় অভিযোগ করা হয়েছে।

এসব ধারায় কী সাজা হতে পারে সে প্রসঙ্গে ব্যারিস্টার খাজা তানভির আহমেদ বলেন, ৪০৯ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ১০ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম অথবা বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড। ৪২০ ধারায় ৭ বছর সশ্রম বা বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং অর্থদণ্ড, ৪৬৭ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ১০ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদের সশ্রম অথবা বিনাশ্রম এবং অর্থদণ্ড। ৪৬৮ ধারায় ৭ বছর পর্যন্ত সশ্রম বা বিনাশ্রম এবং অর্থদণ্ড। ম্যানিলা প্রিভেনশন অফ বুলিং অ্যাক্ট-২০১২ -এর ধারা ৪(২) সর্বনিম্ন ৪ বছর এবং সর্বোচ্চ ১২ বছরের সাজা প্রদান করে৷ অতিরিক্ত অপরাধ সংশ্লিষ্ট সম্পত্তির মূল্যের দ্বিগুণ বা ১০ লাখ টাকা, যেটি বেশি হবে তার সমপরিমাণ অর্থদণ্ডে দণ্ডনীয় হবে।

ইউনূসের আইনজীবীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইউনূসের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত ১৭৬টি মামলার মধ্যে- গ্রামীণ টেলিকমের ৬৪টি, গ্রামীণ কল্যাণের ৬৯টি, গ্রামীণ কমিউনিকেশনের ২৫টি, গ্রামীণ ফিশারিজের ৮টি, আয়করের ৮টি এবং ফৌজদারি মামলার ২টি। তাদের ৫০ টি সদস্য প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সব মামলা এখনো যোগ করা সম্ভব হয়নি। দু-একদিনের মধ্যে আপডেট হবে। এরই মধ্যে গত ৩০ আগস্ট রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গ্রামীণ ব্যাংক এক চিঠিতে ড. ইউনূসের নিয়ন্ত্রণাধীন গ্রামীণ কমিউনিকেশনস জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করা হবে না। এ প্রতিষ্ঠানে প্রায় ৯৫০ কর্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছেন। গ্রামীণ ব্যাংক চুক্তি নবায়ন না করলে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দিতে হবে। এমনটা হলে আরও মামলার আশঙ্কা করছেন ড. ইউনূসের এই  আইনজীবী ।

আরও পড়ুন

ড.ইউনূসের বিচার স্থগিত এবং সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ১৬০ বিশ্বনেতার খোলা চিঠি

ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, একের পর এক শ্রমিকদের নিয়ে মামলা করা হচ্ছে। গত ২৮ আগস্ট মামলা করেন ১৮ জন শ্রমিক। দেড় শতাধিক শ্রমিকের মামলা এখনো বিচারাধীন। কোম্পানি আইনের ২৮ ধারায় প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ টেলিকম ও গ্রামীণ কল্যাণের মুনাফা আইন অনুযায়ী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে বণ্টন করা যাবে না। এরপরও ১৭৬ শ্রমিককে দিতে হয়েছে ৪৩৭ কোটি টাকা। তিনি বলেন, সরকারের গ্রামীণ ব্যাংক একটি চিঠিতে জানিয়েছে যে তারা গ্রামীণ টেলিকমিউনিকেশনের সাথে চুক্তি নবায়ন করবে না। চুক্তি নবায়ন না হলে প্রতিষ্ঠানের কোনো কাজ থাকবে না। শ্রমিকদের ছাঁটাই করতে হবে। তাহলে শ্রমিকরা আরো মামলা করবে। ব্যারিস্টার মামুন বলেন, ফৌজদারি আইনে দুটি মামলার মধ্যে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মামলাটি অভিযোগ গঠনের পর সাক্ষ্য গ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে। এ ঘটনায় তিনটি অভিযোগ গঠন করা হয়েছে। দেওয়ানি ও প্রশাসনিক অপরাধের জন্য ফৌজদারি হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়। শ্রম আইনের অধ্যায় ১৯ এ অপরাধের একটি তালিকা রয়েছে যা ফৌজদারি অপরাধ গঠন করে। ওই তালিকায় এই তিনটি অপরাধের উল্লেখ নেই। এসব অপরাধকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা ঠিক নয়।

1 Comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X