গুলশানে কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র থেকে তারাবীহ নামাজরত ইমামসহ ১৭ জনকে তুলে নিল পুলিশ
আমাদের ক্ষমতার লাঠি যেন কখনোই কোন ধর্মের মূলে এবং কর্মে আঘাত না করে । এভাবেই আমাদের ক্ষমতার ব্যবহারের মাত্রাকে বুঝিতে হইবে। এবং মাত্রাতিরিক্ত ক্ষমতা কখনোই এবং কোনোকালেই কারো জন্য কল্যাণ বয়ে আনেনি। কারণ মনে রাখবেন আপনার যে তাপমাত্রা সেটা অবশ্যই উঠানামা করবে । এবং যেদিন তাপমাত্রা খুব বেশি রকম নিম্নমুখী হবে তখন আপনি অধিকতর তাপমাত্রার গরমে হয়তোবা শুকিয়ে যাবেন। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই রাষ্ট্রের দেওয়া ক্ষমতাকে বুঝে-শুনে ব্যবহারে আমরা সচেষ্ট হই। নামাজ থেকে বা ইবাদত অবস্থায় কোন অন্যায় কারীকেও গ্রেফতার করা চলেনা। আইন কানুন শিখুন, পড়ুন , জানুন , বুঝুন । না বুঝলে জিজ্ঞেস করে নিন।
গুলশান এক ইসলামিক সেন্টারে তারাবীহ নামাজের সময় এক শিশু, ৩ হাফেজ ও মুসল্লি, ২ নারীসহ ১৭ জনকে আটক করে গুলশান থানায় নিয়ে যায় পুলিশ।
রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর শাহজাদপুরের সুবাস্তু মার্কেট সংলগ্ন ইসলামিক এন্টারপ্রাইজ (কুরআন শিক্ষা কেন্দ্র) থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে গুলশান থানা পুলিশ।
আটক ইমামরা হলেন- হাফেজ আব্দুল আজিজ (১৭), হাফেজ মুসফিকুর রহমান (১৬), হাফেজ জাকারিয়া (১৬) । আটককৃতদের মধ্যে ওমরা হজ্ব করতে যাবেন এমন মুসল্লিও রয়েছেন।
ইসলামিক এন্টারপ্রাইজ বা কুরআন শিক্ষা কেন্দ্রটি পাঁচ বছর ধরে স্থানীয় বাসিন্দাদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এখানে বয়স্কদের কুরআন শেখানো হয়। প্রতি বছর পবিত্র রমজান মাসে নারী-পুরুষ তারাবিহ নামাজ আদায় করেন। এছাড়া সিনিয়রদেরও সহীহ কোরআন শিক্ষার ক্লাস করে থাকেন।
ইসলামিক সেন্টার কোরআন, হাদিস এবং নামাজের বই সহ বিভিন্ন ইসলামিক বিষয়ের বই বিক্রি করে। সর্বস্তরের মানুষ এই কেন্দ্রের সঙ্গে যুক্ত।
প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক আ.মোতালেব মঈন বলেন, পুলিশ সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বিনা কারণে মুসল্লিদের আটক করেছে।মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট দেশের নাগরিকদের ধর্মীয় ইবাদাত বন্দেগি করা অবস্থায় আটক করে ধর্মীয় স্বাধীনতায় আঘাত হেনেছে পুলিশ । পুলিশ পবিত্র রমজান মাসে নামাজ রত অবস্থায় শিশু, নারী, হাফেজে-কোরআনসহ সাধারণ মুসল্লিদের আটক করে বর্বর ইসরাইলী বাহিনীর পরিচয় দিয়েছে।