আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আনসার ব্যাটালিয়নের কোনো সম্পর্ক নেইঃ আনসার ডিজি
বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেছেন, আন্দোলনরত আনসার সদস্যদের সঙ্গে ব্যাটালিয়ন আনসারের কোনো সম্পর্ক নেই।রোববার রাতে গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা জানান।মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ বলেন, উচ্ছৃঙ্খল আন্দোলনকারীরা আনসারের সহযোগী, ব্যাটালিয়ন আনসারের সঙ্গে যাদের কোনো সম্পর্ক নেই। এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকার জন্য অনুরোধ করছি।
এদিকে রোববার রাতে শিক্ষার্থীদের সামনে সচিবালয় থেকে পিছু হটে আনসার সদস্যরা। তারা পোশাক খুলে জিপিও এলাকা দিয়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার পর ছাত্ররা তাদের ফেলে দেওয়া কাপড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়।
এর আগে জাতীয়করণের একতরফা দাবিতে রোববার দুপুর ১২টা থেকে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন আনসার সদস্যরা। তারা সচিবালয়ের সব গেট অবরোধ করে রাখে। তাই সচিবালয়ে কেউ প্রবেশ বা বের হতে পারছিলেন না। সেখানে উপদেষ্টাদের অবরুদ্ধ করে আনসার সদস্যরা।
রাত সাড়ে ৮টার দিকে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন অবরোধ নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিলে শিক্ষার্থীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সচিবালয়ের দিকে মিছিল করে। এরপর রাত ৯টা ২০ মিনিটে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনসারদের সংঘর্ষ হয়। দুই পক্ষ একে অপরকে ধাওয়া করে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে এসে উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করে। পরে শিক্ষার্থীরা আনসার সদস্যদের ধাওয়া দেয়। এ সময় আনসার সদস্যরা পোশাক খুলে জিপিও এলাকা দিয়ে পালিয়ে যায়।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে দুর্বৃত্ত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবিতে পেশাজীবীদের বিভিন্ন দলের আন্দোলনের মধ্যে গত বুধবার মাঠে নামে আনসার সদস্যরা। তারা দৈনিক ভিত্তিতে কাজ করতে ইচ্ছুক নয়। ওই দিন থেকে তারা চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে প্রতিদিন রাজপথে বিক্ষোভ করে।
বেলা ৩টার দিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কয়েকজন কর্মকর্তা তাদের সঙ্গে কথা বলে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার কার্যালয়ে যান।
ওই বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, আনসারের পক্ষ থেকে‘রেস্ট প্রথা’ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এরপর আন্দোলন স্থগিত ঘোষণা করে আনসার। তবে এর কিছুক্ষণ পরই আনসার সদস্যরা ফের আন্দোলন শুরু করে।অবশেষে ধাওয়া খেয়ে ছাত্রদের ভয়ে ব্যর্থ হয়ে পালিয়ে গিয়ে তাদের অযৌক্তিক এই আন্দোলন ভেস্তে যায়।