November 23, 2024
খাবারগুলো ফ্রিজে রাখা উচিত নয়

খাবারগুলো ফ্রিজে রাখা উচিত নয়

খাবারগুলো ফ্রিজে রাখা উচিত নয়

খাবারগুলো ফ্রিজে রাখা উচিত নয়

বেঁচে থাকার প্রয়োজনে খাবার খেতেই হবে।খাবার মানুষের মৌলিক চাহিদার অন্যতম পূরণীয় চাহিদা। তবেঅনেক লোক তাদের ব্যস্ততার কারণে প্রতিদিন বাজার করতে পারে না। আবার কেউ কেউ সপ্তাহে একদিন বাজার করতে চায়। তাই ছুটির দিনে সারা সপ্তাহের বাজার কিংবা ফল, মাছ-মাংস কিনে ফ্রিজে রাখা হয়। অনেকে কাজের সুবিধার জন্য সবজি কেটে বা রাতে নাস্তায় রুটি বানিয়ে ফ্রিজে রেখে দেন। তবে কিছু খাবার আছে যেগুলো একেবারেই ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।

তবে হ্যাঁ, খাবার ভালো রাখার জন্যই ফ্রিজ । যাইহোক, সমস্ত খাবার সব অবস্থায় ফ্রিজে সংরক্ষণ করা উচিত নয়। খাবারের মান, স্বাদ ও গন্ধ ঠিক রাখতে কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। অনুপযুক্ত খাদ্য সংরক্ষণও কিছু ক্ষেত্রে জীবাণু বৃদ্ধির কারণ হতে পারে।

জেনে নিন কোন অবস্থায় কোন খাবার ফ্রিজে রাখা যাবে না-
গুঁড়ো মশলা

গুঁড়ো মশলা কখনই ফ্রিজে রাখবেন না। কারণ এতে মশলা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। এটির শেলফ লাইফ বজায় রাখার জন্য এটি স্বাভাবিক তাপমাত্রায় একটি অন্ধকার এবং শুষ্ক জায়গায় রাখা উচিত।

পিঠা, মিষ্টি, কেক, কুকিজ

পিঠা, মিষ্টি, কেক, কুকিজ ফ্রিজে রাখলে ঠান্ডায় এর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। তাই স্টোরেজের জন্য এগুলো ফ্রিজে না রেখে এয়ারটাইট বাক্সে রাখতে হবে।

কুমড়া

কুমড়া সবসময় বায়ুচলাচল স্থানে রাখুন। কিন্তু অনেকেই বাজার থেকে কুমড়া কিনে ফ্রিজে রেখে দেন সংরক্ষণের জন্য। কুমড়ো ফ্রিজে রাখলে তা দ্রুত নষ্ট হয়ে যায় এবং শুকিয়ে যায়। তাই বাইরে স্বাভাবিক পরিসরের তাপমাত্রায়  রাখুন। আর  আলু, পেয়াজ রসুন ফ্রিজে রাখার দরকার নেই।

সয়া সস এবং ডিম

অনেকেই সয়াসস ও ডিম ফ্রিজে রাখেন। তবে সয়া সস এবং ডিমগুলিকে রেফ্রিজারেশনের পরিবর্তে ঘরের তাপমাত্রায় রাখলে সতেজতা দীর্ঘস্থায়ী হবে।

মধু

অনেকেই ফ্রিজে মধু রাখেন। মধু একটি প্রাকৃতিক খাদ্য যা সংরক্ষণের জন্য আলাদাভাবে ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া ফ্রিজে মধু রাখলে তা জমে যায়। তাই এসব খাবার দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করতে চাইলে ফ্রিজে না রেখে বাইরে স্বাভাবিক তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করুন।

সবজি

সবজি টাটকা খাওয়া ভালো। কাঁচা বা রান্না করা সবজি ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। রান্না করা সবজি ফ্রিজে রাখলেও একদিনের মধ্যেই খেতে হবে।

কাটা ফল, কাটা শাকসবজি

ফল ও সবজি কাটার পর ফ্রিজে রাখবেন না। পুষ্টিগুণ নষ্ট হতে পারে। রাখতে চাইলে পুরোটা রাখুন। ফল এক-দুই দিনের বেশি না রাখাই ভালো।

পানীয়

বাড়িতে তৈরি পানীয় ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। শরবত, ফলের রস, জিরা জল বা অন্য কোনো পানীয় অল্প সময়ের জন্য ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করা যায়। কিন্তু আপনি যদি ঠান্ডা পানীয় পান করতে চান তবে তুলনামূলকভাবে ঠান্ডা পানি ও বরফ ব্যবহার করা ভালো। পানীয় তৈরির আগে অন্যান্য পানীয় উপাদানগুলিও ঠান্ডা করা যেতে পারে। তাহলে পানীয়টি ঠাণ্ডা হওয়ার জন্য বেশিক্ষণ ফ্রিজে রাখার প্রয়োজন হবে না। রেফ্রিজারেটেড পানীয় পুষ্টির মান হারাতে পারে, গন্ধ পরিবর্তন করতে পারে এবং এমনকি পানীয়টি নষ্ট করতে পারে। টিনজাত বা প্যাকেটজাত পানীয় একবার খুললে ফ্রিজে রাখা ঠিক নয়।

রান্না করা খাবার

গরম অবস্থায় খাবার ফ্রিজে বা ডিপ-ফ্রিজ করবেন না। রান্না করা খাবারের বাক্স একবার ফ্রিজ বা ডিপ-ফ্রিজ থেকে বের করে নেওয়ার পরে আবার ফ্রিজে বা ডিপ-ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। সুতরাং, শুরুতে, ছোট বাক্সে শুধুমাত্র একটি খাবারের জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ খাবার রাখুন। আর মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করা খাবার ফ্রিজে বা ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করবেন না। প্লাস্টিকের বাক্সে খাবার ফ্রিজে না রাখাই ভালো। আপনি কাচ বা সিরামিক পাত্র ব্যবহার করতে পারেন। রান্না করা শাকসবজি চুলায় পুনরায় গরম করার পর পুনরায় ফ্রিজে রাখবেন না। রান্না করা মাছ-মাংস ফ্রিজে রাখলেও একদিনের মধ্যেই খাওয়া ভালো, কয়েক সপ্তাহ রাখতে চাইলে ডিপ ফ্রিজারে রাখুন।

দই

দই ভাঙ্গার পর ফ্রিজে রেখে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে খেয়ে ফেলুন। একবার ভেঙে ফেলা দই বারবার ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। পাত্র দই একবার ভাঙ্গার পর সর্বোচ্চ দুইবার ব্যবহার করা যায়। দই বারবার ভাঙলে পানির পরিমাণ বেড়ে যায় যাতে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জন্মাতে পারে। আবার  আসল পাত্রের পরিবর্তে অন্য কোনো পাত্রে দই রাখা উচিত নয়।

দুধ

সাধারণভাবে পাস্তুরিত দুধ প্যাকেট খোলার পরপরই ব্যবহার করে ফেলুন।  প্যাকেট খোলার পর এই দুধ ফ্রিজে না রাখাই ভালো।

কাটা মসলা

পেঁয়াজ, রসুন, আদা পুরো বাইরে রাখুন। ভালো বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা আছে এমন জায়গায় রাখুন। কাটা অবস্থায়ও ফ্রিজে না রাখাই ভালো। বরং কাটার পর পরই   ব্যবহার করতে হবে।

কাটা মশলা ফ্রিজে রাখা উচিত না

খুব প্রয়োজন হলে, পেঁয়াজ বা রসুন কাটা ফ্রিজে, মোটা টিস্যু পেপার বা কিচেন তোয়ালে মুড়িয়ে, মুখ বন্ধ করে আলাদা বাক্সে রাখতে পারেন। এটিও ২৪ ঘন্টার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত।  কাটার পর  এগুলো ফ্রিজে রাখলে ফ্রিজে গন্ধ ছড়াতে পারে।

চা আর কফি

চা এবং কফি ফ্রিজে রাখবেন না।  এগুলো রেফ্রিজারেটরের আর্দ্রতা   কেড়ে নিতে   পারে।

কলা

কলা; বিশেষ করে অর্ধ-পাকা কলা বা অ্যাভোকাডো ফ্রিজে রাখলে পাকতে চায় না। তাই এগুলো পাকার জন্য স্বাভাবিক তাপমাত্রায় বাইরে রাখতে হবে।

আরও পড়ুন

বিশ্বের ৩১০ কোটি মানুষ স্বাস্থ্যকর খাবার কেনার সামর্থ্য রাখে না

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X