বাজেট কী এবং কেন: এবারের বাজেট
বাজেট হল একটি আর্থিক বছরে সরকারের আনুমানিক আয় ও ব্যয়। যখন একটি দেশের নির্বাচিত সরকারকে দেশের দায়িত্ব অর্পণ করা হয়, তখন সরকার আগাম অর্থনৈতিক পরিকল্পনা করে এবং দেশের ভবিষ্যত নির্ধারণ করে। যা বাস্তবে বাজেটের মাধ্যমে রূপ নেয়। একটি নির্দিষ্ট বছরে কত টাকা ব্যয় হবে তার পরিকল্পনাকেও বাজেট বলা হয়।
জাতীয় বাজেটের প্রধান অংশ দুটি। প্রথম অংশটি রাজস্ব সংগ্রহের সাথে সম্পর্কিত। এই অংশে সরকারের রাজস্ব ব্যবস্থা এবং আদায় সংক্রান্ত প্রস্তাবনা রয়েছে, আর দ্বিতীয় অংশে সরকারি ব্যয়ের প্রস্তাব রয়েছে। প্রতি বছর জাতীয় বাজেট একটি বিল বা ‘বিল’ আকারে জাতীয় সংসদে পেশ করা হয়। একে মানি বিল বলে। সংসদ সদস্যদের অনুমোদনের পর তা আইনে পরিণত হয়। বাংলাদেশে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড রাজস্ব প্রস্তাব প্রণয়ন করে এবং অর্থ বিভাগ ব্যয় প্রস্তাব প্রণয়ন করে।
একটি দেশের বাজেটের মূলত তিনটি প্রধান উদ্দেশ্য থাকে – উৎপাদন, উন্নয়ন এবং কল্যাণ। এছাড়া বিভিন্ন প্রাসঙ্গিক বিষয়ে প্রদত্ত বাজেটের মাধ্যমে একটি দেশের উৎপাদন বাড়ানোর চেষ্টা থাকে। পাশাপাশি উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার চেষ্টা করা হয়। সব মিলিয়ে সকলের কল্যাণ সাধনের প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকে।
যে কোনো বাজেটে দেশের অর্থনীতির প্রায় সব দিক বিবেচনায় রাখতে হয়।
বাজেটের কয়েকটি প্রধান উদ্দেশ্য রয়েছে। যেমন, জিডিপি প্রবৃদ্ধি কতটা অর্জিত হবে, কীভাবে মুদ্রাস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখা যায়, কীভাবে বাজেট ঘাটতি কমানো যায় এবং কীভাবে দারিদ্র্য বিমোচন করা যায়।
বাংলাদেশের বাজেট ১২ মাসের জন্য প্রণয়ন করা হয় যা চলতি বছরের ১জুলাই থেকে পরবর্তী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত কার্যকর হয়। প্রতি বছর জুন মাসে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী সরকারের পক্ষে বাজেট বিল পেশ করেন। এর আগে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বাজেট বিল বিবেচনা ও অনুমোদন করা হয়।
এবারের বাজেট ৭ লাখ ৬৪ হাজার কোটি টাকা
এবারের বাজেট ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার ৫২তম বাজেট। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সরকার ৫১টি বাজেট ঘোষণা করেছে। আগামী নির্বাচনের আগে চলতি মেয়াদে এটাই সরকারের শেষ বাজেট। এছাড়া এটি হবে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকারের ১৫তম বাজেট।