জাপানের প্রধানমন্ত্রীর নিজ বাসায় ইফতার ও রাতের খাবার
আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় মহামারী-পরবর্তী একটি ঐতিহাসিক মোড়ে দাঁড়িয়ে আছে। এখন আমাদের আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বিভাজন এবং সংঘাতের পরিবর্তে সহযোগিতার দিকে নিয়ে যেতে হবে। আমি মনে করি যে ‘ওয়াইফাক’ বা সম্প্রীতি এবং ‘তাসমাহ’ বা সহনশীলতা যা জাপান এবং ইসলামি দেশগুলোর আলিঙ্গন আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ধর্মীয় সহনশীলতার প্রকাশ হিসেবে রমজানে ইফতারে ৩৮টিরও বেশি মুসলিম দেশের রাষ্ট্রদূতদের আমন্ত্রণ জানান। জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা মুসলিম দেশগুলোর প্রতিনিধি দলের সম্মানে নিজ বাড়িতে ইফতার ও নৈশভোজের আয়োজন করেন। জাপানের প্রধানমন্ত্রীর পরিবারও উপস্থিত ছিলেন এবং অতিথিদের স্বাগত জানান।
ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে খেজুর দিয়ে ইফতার করা হয় এবং বিভিন্ন ধরনের খাবার পরিবেশন করা হয়। জাপানের প্রধানমন্ত্রী তার সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মুসলিম দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতদের আগমনের জন্য ধন্যবাদ জানান এবং তাদের রমজানের শুভেচ্ছা জানান।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বিভিন্ন ধারণা ও বিশ্বাসের মানুষের মধ্যে ধর্মীয় সহনশীলতা ও সম্প্রীতির ওপরও জোর দেন। মুসলিম সাফরা বিশ্বে শান্তি ও স্থিতিশীলতা এবং ধর্মীয় সম্মান প্রচারের জন্য জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে ধন্যবাদ জানান।
কিশিদা বলেছেন যে তিনি মিটিং, ফোন কলের মাধ্যমে ইসলামিক বিশ্বের সাথে “বিশ্বাস ও বন্ধুত্বের বন্ধনকে আরও গভীর করতে” কঠোর পরিশ্রম করছেন।
“আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে, আমি দীর্ঘকাল ধরে ইসলামিক বিশ্বের সাথে আমাদের সম্পর্ককে সুদৃঢ় করেছি, যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া থেকে মধ্যপ্রাচ্য, মধ্য এশিয়া, আফ্রিকা এবং ইউরোপ পর্যন্ত বিস্তৃত।”
কিশিদা তার বক্তৃতা শেষ করেন এই কামনা করে, ‘আজ রাতের উপলক্ষ, যেখানে আমরা মুসলিম সম্প্রদায়ের বন্ধুদের সাথে আমাদের মুহূর্তগুলি ভাগ করব, জাপান এবং আপনাদের দেশগুলির মধ্যে বন্ধুত্বকে আরও গভীর করার একটি দুর্দান্ত সুযোগ হবে’।
ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত এবং আরব কূটনৈতিক মিশনের ডিন, ওয়ালিদ সিয়াম আরব নিউজ জাপানকে বলেছেন: “রমজানে ইফতার এবং ডিনারের আয়োজন করা জাপানের প্রধানমন্ত্রীদের একটি ঐতিহ্য এবং আমরা এটির প্রশংসা করি।”
