রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হাজার হাজার মানুষের স্বস্তি
সাড়ে ১০ হাজারেরও বেশি রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ২০০৯ সাল থেকে ৫ আগস্ট, ২০২৪ সালের মধ্যে সারা দেশে দায়ের হয়েছে এমন ১০,৫০৬টি রাজনৈতিক হয়রানি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন মন্ত্রণালয়ের যৌথভাবে গঠিত জেলা ও মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিএনপি-জামায়াত সহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা হাজার হাজার মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে, যাকে সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের সময় নাশকতা, অস্থিরতা এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিততার অভিযোগে করা হয়েছে, এগুলোকে হয়রানি এবং ‘গায়েবি মামলা’ হিসেবে অভিহিত করেছে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এখন পর্যন্ত ১০,৫০৬টি মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মামলার নম্বরসহ জেলা পাবলিক প্রসিকিউটরদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা ম্যাজিস্ট্রেটদের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এই প্রক্রিয়ার আওতায় দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে - একটি জেলা পর্যায়ে, অন্যটি মন্ত্রণালয় পর্যায়ে। জেলা কমিটির সভাপতিত্ব করেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশ সুপার এবং পাবলিক প্রসিকিউটর। কমিটি মামলার নথি পর্যালোচনা করবে এবং যদি মনে করে যে, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে তবে তা প্রত্যাহারের সুপারিশ করবে।
এই কমিটির সভাপতি হলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং সদস্য সচিব হলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব। সংশ্লিষ্ট সচিব, অতিরিক্ত সচিব এবং যুগ্ম সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তারাও রয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সাল হাসান বলেন, নিরপরাধ রাজনৈতিক কর্মীদের হয়রানি থেকে মুক্ত করতে এবং আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে এবং তা অব্যাহত থাকবে।
এই সময়ের মধ্যে দায়ের করা মামলার শিকার যে কেউ নিজেই বা তার পক্ষে তার আইনজীবী মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনের সাথে অভিযোগ এবং চার্জশিটের একটি প্রত্যয়িত কপি জমা দিতে হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের অধীনে মামলাগুলি সাধারণত প্রত্যাহারযোগ্য নয়। এসব ক্ষেত্রে কমিশনের লিখিত অনুমোদন ছাড়া মামলা প্রত্যাহার সম্ভব নয়।
সংশ্লিষ্ট মহল মনে করে যে, এই সিদ্ধান্তের ফলে রাজনৈতিক হয়রানির শিকার হাজার হাজার মানুষ স্বস্তি পাবেন।
আরও জানুন- অভিনেত্রী শাওন-ডিবি হারুনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
রাজনীতি এর আরো খবর

প্রেসিডেন্ট হওয়ার আর ইচ্ছা নেই এরদোগানের

'নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন' নিয়ে তরুণ রাজনীতিকের প্রতিক্রিয়া / পতিতাবৃত্তির মতো মর্মান্তিক নির্যাতন কখনোই পেশা হতে পারে না: সরজিস আলম

নির্বাচনী প্রচারণার সময় ফেসবুক লাইভে গুলিতে নিহত মেক্সিকোর মেয়র প্রার্থী

ফ্যাসিস্ট ও খুনি দলকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাজপথে জনতা / আ.লীগ নিষিদ্ধ না করলে সংসদ নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না: এনসিপি

ঘুরিয়ে ফিরিয়ে একই দাবি নির্বাচন নির্বাচন / নির্বাচনের জন্য আন্দোলনের প্রয়োজন নেই: নজরুল ইসলাম খান
