লাতিন আমেরিকায় সফরে ইরানের প্রেসিডেন্টঃ ভেনিজুয়েলার সাথে ১৯টি চুক্তি স্বাক্ষর
ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রাইসি বিরল কূটনৈতিক সফরে লাতিন আমেরিকার তিনটি দেশ সফর করেছেন। তিনি পাঁচ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরের প্রথম ধাপে ভেনিজুয়েলার রাজধানী কারাকাসে পৌঁছেছেন। এই সফরে তিনি মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মধ্যে থাকা তিনটি দেশ সফর করছেন। অন্য দুটি দেশ হলো কিউবা ও নিকারাগুয়া।
তিনি প্রথম পা রাখেন ভেনিজুয়েলায়। সোমবার দেশটির রাজধানী কারাকাসে পৌঁছে রাইসি বলেছিলেন যে ,আমাদের স্বার্থ অভিন্ন, লক্ষ্য অভিন্ন এবং শত্রুও অভিন্ন।।
এর আগে ২০১৬ সালে ইরানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি কিউবা ও ভেনিজুয়েলা সফর করেন। এবং ২০০৭ সালে, ইরানের রাষ্ট্রপতি মাহমুদ আহমাদিনেজাদ নিকারাগুয়া সফর করেছিলেন।
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি কারাকাসে ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে ও গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি বলেন, আমাদের স্বার্থ একই, লক্ষ্যও একই এবং শত্রুও একই।
ইরানের প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, “ইরান ও ভেনিজুয়েলা সাধারণ কূটনৈতিক সম্পর্কের চেয়ে কৌশলগতভাবে আবদ্ধ।”
“একসাথে আমরা অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারি” – দাবি ভেনিজুয়েলার প্রেসিডেন্ট মাদুরো.
তিনি আরও বলেন, ইরান নতুন বিশ্ব ব্যবস্থায় অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদীয়মান শক্তি হিসেবে তার ভূমিকা পালন করছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসির সফরের অন্যতম উদ্দেশ্য হলো দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিধি বাড়ানো। তিনি বলেন, বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বার্ষিক ৩০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য হচ্ছে। তাদের লক্ষ্য এটাকে দুই হাজার কোটি ডলারে উন্নীত করা।
এই সফরে ইরান ও ভেনিজুয়েলা স্বাস্থ্য ও খনিসহ বিভিন্ন খাতে ১৯টি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। দুই দেশের মধ্যে প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাড়ানোও তাদের এজেন্ডায় ছিল।
ভেনেজুয়েলায় বিশ্বের বৃহত্তম তেলক্ষেত্র রয়েছে। তবে দক্ষিণ আমেরিকার দেশটি ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।