প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই গুগলকে ট্রাম্পের কঠোর বার্তা
২০২৪ এর নির্বাচনী ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হতে পারেন আবার কমলা হারিস প্রেসিডেন্ট হতে পারেন। তবে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগেই নিজেকে প্রেসিডেন্ট ধরে নিয়ে অভ্যাস মূলক ভাবে গুগলকে আগাম কঠোর সর্তকতা বাণী শুনিয়েছেন। আগামী নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গুগলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান বলছে, ট্রাম্প তার ট্রুথ সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে এমন সতর্কবার্তা দিয়েছেন।
একটি পোস্টে, ট্রাম্প টেক জায়ান্ট গুগলকে কেবল তার প্রতিপক্ষ, ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস সম্পর্কে ভাল রিপোর্ট হাইলাইট করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। এবং গুগল সবসময় তার সম্পর্কে খারাপ দিক তুলে ধরে বলে অভিযোগ করেছেন ট্রাম্প ।
সম্প্রতি, একটি রক্ষণশীল গোষ্ঠী বলেছে যে গুগলে ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেনশিয়াল রেস ২০২৪’ অনুসন্ধান করার পরে, ফলাফলগুলি বেশিরভাগই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রতিবেদন দেখায়। আর তার পরেই আহত হন ট্রাম্প। এই রক্ষণশীল দলটি মূলত মূল্যবোধ এবং ব্যক্তি স্বাধীনতার পক্ষে। কিন্তু ট্রাম্প তার বক্তব্যের সমর্থনে কোনো প্রমাণ বা যুক্তি দেখাননি।
ট্রাম্প লিখেছেন, “এটি একটি বেআইনি কার্যকলাপ এবং আমি আশা করি আইন বিভাগ তাদের (গুগলকে) এমন বিব্রতকর উপায়ে নির্বাচনের সাথে বিশৃঙ্খলা করার জন্য অপরাধমূলক কাজ ধরে নিয়ে বিচার করবে।”
বিভিন্নভাবে আলোচিত-সমালোচিত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেছেন, তা না হলে নির্বাচনে জয়ের পর আনুষ্ঠানিক আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার ব্যাপারে তিনি সক্রিয় হবেন।
এ বিষয়ে গুগলের মতামত জানতে চেয়েছেন দ্য গার্ডিয়ান। একই প্রশ্নের উত্তরে, গুগল বলেছে যে প্রচারাভিযান ওয়েবসাইটগুলি প্রায়শই প্রাসঙ্গিক অনুসন্ধানের শীর্ষে প্রদর্শিত হয়। গুগল আজ নিশ্চিত করেছে যে, তারা কোনো বিশেষ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের পক্ষে নয়। তবে, কোম্পানী প্রকাশ করেনি কিভাবে এর বহুল ব্যবহৃত সার্চ ইঞ্জিন পর্দার আড়ালে কিভাবে কাজ করে।
ট্রাম্প বর্তমানে অনেক আইনি মামলায় জড়িয়ে পড়েছেন। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ রয়েছে, একজন পর্ন লেডিকে তার মুখ বন্ধ রাখার জন্য অর্থ প্রদান করা, ২০২০ সালের নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করা এবং রাষ্ট্রপতি বিডেনের বিজয়ের পরে বিভিন্ন ধরণের খারাপ পরিস্থিতি তৈরি করা হয়েছে। এরই মধ্যে গুগলের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।