October 31, 2024
ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প কি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন ? কী বলছে দেশের সংবিধান?

ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প কি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন ? কী বলছে দেশের সংবিধান?

ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প কি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন ? কী বলছে দেশের সংবিধান?

ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত ডোনাল্ড ট্রাম্প কি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে লড়তে পারবেন ? কী বলছে দেশের সংবিধান?

ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে প্রথম সাবেক প্রেসিডেন্ট যিনি ফৌজদারি অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন। আর তাতেই প্রশ্ন উঠেছে ৭৭ বছর বয়সী ডোনাল্ড ট্রাম্পের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে। ডোনাল্ড ট্রাম্প কি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে  পুরো আমেরিকা জুড়ে। ফৌজদারি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত কোনো ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না এমন কোনো বিধান দেশটির সংবিধানে নেই। আপাতত দৃর্ষ্টিতে সে হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রার্থী হতে কোনো বাধা নেই।

আসন্ন নির্বাচনের আগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা হওয়ায় জনমনে এখন প্রশ্ন উঠছে- দোষী সাব্যস্ত হয়েও কি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন? চলমান নির্বাচনী প্রচারণার জন্য আদালতের এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তের অর্থ কী হতে পারে? এসব প্রশ্নের ব্যাখ্যা দিয়েই  বৃহস্পতিবার (৩১ মে) মার্কিন সংবাদমাধ্যমগুলো  প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।

যেখানে মুদ্দা কথা:
  • পর্ন লেডিকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প
  • ট্রাম্প কি আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন?
  • মার্কিন সংবিধান কি বলে?

পর্ন লেডি স্টর্মি ড্যানিয়েলসের বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের নির্বাচনের আগে যৌনতা সম্পর্কে মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছিল। সেই মামলায় বৃহস্পতিবার নিউইয়র্কের ম্যানহাটনের আদালত সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করেছে। মামলায় আনা ৩৪ টি অভিযোগের জন্য ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। নিউইয়র্ক আদালতের ১১ সদস্যের জুরি বোর্ড ট্রাম্পকে তথ্য গোপন করার জন্য ব্যবসায়িক নথি জাল করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করেছে। ১১ জুলাই ট্রাম্পের সাজা ঘোষণা করা হবে। মার্কিন আইন অনুযায়ী ট্রাম্পের জেল বা জরিমানা বা উভয়ই হতে পারে। যে মামলায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে সে দেশের আইনে সর্বোচ্চ চার বছরের কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।

নিউইয়র্ক কোর্ট জুরি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট বিচারক জুয়ান মার্চান অপরাধীদের কঠোর সাজা দেওয়ার জন্য পরিচিত। তবে একদল বিশেষজ্ঞের মতে, এই ক্ষেত্রে, আদালত শুধুমাত্র ৭৭ বছর বয়সী রিপাবলিকান নেতাকে জরিমানা দিয়ে মুক্তি দিতে পারেন। যেহেতু অপরাধের প্রকৃতি অহিংস এবং এটাই তার প্রথম অপরাধ। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের প্রতি জুরিরা আরও সহানুভূতি দেখাতে পারেন বলেও মনে করা হচ্ছে।

সূত্রের খবর, ১১ জুলাই ট্রাম্পের সাজা ঘোষণার আগে ট্রাম্পকে তার পরিবার এবং পরিচিতদের চরিত্রের প্ৰশংসাপত্র আদালতে জমা দেওয়ার সুযোগও দেওয়া হবে। কারণ আমেরিকান আইনে এই ধরনের প্ৰশংসাপত্রে শাস্তি কমানোর সম্ভাবনা রয়েছে। তবে কারাদণ্ড এখন কার্যকর নাও হতে পারে। আমেরিকান আইন অনুযায়ী, এই ক্ষেত্রে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ম্যানহাটনের রাষ্ট্রীয় আপিল আদালতে আবেদন করে স্থগিতাদেশ পেতে পারেন।

ট্রাম্প কি এখনও প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে পারেন?

হ্যাঁ ট্রাম্প এখনও মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে পারেন। মার্কিন সংবিধানে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য যোগ্য হওয়ার তিনটি প্রয়োজনীয়তার মধ্যে দোষী সাব্যস্ত অপরাধীর উল্লেখ নেই। শর্তগুলো হল:

প্রথমত, প্রার্থীদের অবশ্যই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করতে হবে।

দ্বিতীয়ত, প্রার্থীর বয়স ৩৫ বছরের বেশি হতে হবে এবং

তৃতীয়ত, প্রার্থীকে অবশ্যই কমপক্ষে ১৪ বছর ধরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতে হবে।

প্রগতিশীল সাংবিধানিক জবাবদিহি কেন্দ্রের সভাপতি এলিজাবেথ ওয়াইড্রা, এলএ টাইমসকে বলেছেন, “নির্বাচনের সময় কারাগারে থাকলেও তাকে রাষ্ট্রপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে এবং নির্বাচিত হতে বাধা দিতে পারে না।”

যদিও একটি অপরাধের জন্য দোষী সাব্যস্ত এবং এক বছর বা তার বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত ব্যক্তিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কিছু রাজ্যে প্রার্থী হওয়ার  জন্য অযোগ্য বলে মনে করা হয়।

রায় ঘোষণার পর সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আদালত থেকে বেরিয়ে এসে নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের নোটিশও দিয়েছেন তিনি। তবে আপিল আদালত ট্রাম্পের আপিলের রায় দিতে এক বছরেরও বেশি সময় নিতে পারে, কিছু আইনজীবী বলেছেন। ততদিনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন শেষ হয়ে যাবে।

মার্কিন সংবিধান অনুযায়ী দেশটির প্রেসিডেন্ট হতে হলে যে কটি মানদণ্ড প্রয়োজন সবই বিদ্যমান আছে ট্রাম্পের।

ইতিহাস আমাদের বলে যে সমাজতান্ত্রিক ইউজিন ডেবস ১৯২০ সালের নির্বাচনে কারাগার থেকে রাষ্ট্রপতির জন্য ব্যর্থ হয়েছিলেন, যদিও তিনি ট্রাম্পের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X