November 22, 2024
ছাত্রলীগকে কিছু বলার সাহস নাই, ইজ্জত থাকবে না: সিলেট মহানগর আ. লীগের সভাপতি

ছাত্রলীগকে কিছু বলার সাহস নাই, ইজ্জত থাকবে না: সিলেট মহানগর আ. লীগের সভাপতি

ছাত্রলীগকে কিছু বলার সাহস নাই, ইজ্জত থাকবে না: সিলেট মহানগর আ. লীগের সভাপতি

ছাত্রলীগকে কিছু বলার সাহস নাই, ইজ্জত থাকবে না: সিলেট মহানগর আ. লীগের সভাপতি

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, আমি তোমাদের অনেক কথা শুনি। তোমাদের বলার সাহস নেই। তাহলে  আমাদের সম্মান থাকবে না। সিলেট শহরে অনেক কথা শুনি। হাঁটতে পারি না। সোমবার সন্ধ্যায় সিলেট সার্কিট হাউজে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সিলেট ও ​​সুনামগঞ্জের ছাত্রলীগ নেতাদের উদ্দেশ্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সিলেট-সুনামগঞ্জ সীমান্তে অবৈধভাবে ভারতীয় চিনি চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত সিলেট ছাত্রলীগ। এ নিয়ে আজকের পত্রিকাসহ জাতীয় গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশের পর বিষয়টি দলের স্থানীয় নেতাদের নজরে আসে। পরে তারা বিষয়টি হাইকমান্ডকে জানান। অসহায় তারাও চোরাচালান বন্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হস্তক্ষেপ চান। এবার এসব অভিযোগ সামনে রেখে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি।

সিলেট সফরে এসেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক ও কুষ্টিয়া-৩ আসনের সংসদ সদস্য মাহবুব উল আলম হানিফ, দলের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এবং কেন্দ্রীয় সদস্য আজিজুস সামাদ ডন। -সুনামগঞ্জে চলমান বন্যা পরিস্থিতিনিয়ে  তাদের সঙ্গে সিলেট জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের এ মতবিনিময় সভা হয়েছে।

ছাত্রলীগ নেতাদের নানা অপকর্মে ক্ষুব্ধ মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘ছাত্রলীগ আমাদের ছোট ভাই, আমরাও ছাত্রলীগ করেছি। ৫৫ বছর ধরে রাজনীতি আপনারা করছেন। আমি ছাত্রলীগের মাধ্যমে এখানে এসেছি। আমরা কোনো দুর্নামের মধ্য দিয়ে যাইনি। আমি আশা করি, আমাদের নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক যেমন ব্যাখ্যা করেছেন, আমাদের সময় শেষ। আমরা এখন এটি তোমাদের হাতে রাখতে চাই। তোমাদেরকে  ফিট হতে হবে। নেতৃত্বের গুণাবলী থাকতে হবে।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘বুঝতে পারছি না। এটা আমার ব্যর্থতা। সভাপতি হিসেবে সবাইকে নিয়ে একটি শক্তিশালী আওয়ামী লীগ করার চেষ্টা করি। আমি দলের নেতাদের নিয়ে রাজনীতি করি না। সবাইকে নিয়ে রাজনীতি করি। সবাই  যা বলেছেন তোমারা কতটা বুঝতে পেরেছ জানি না। কিন্তু রাতে বালিশে মাথা রেখে চিন্তা করলেই বুঝতে পারবে। জাহাঙ্গীর কবির নানকের দেওয়া ভাষণ আমাদের সিলেটের জন্য যুগান্তকারী ভাষণ। আমাদের পাথেয় ।’

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘আমরা খুব একটা সোজা দিনের মুখোমুখি হচ্ছি না। অন্যরা আমাদের জন্য চুপচাপ বসে থাকে, কঠিন দিনগুলি দেখতে। এই কঠিন দিনের মুখোমুখি হতে হবে। কিন্তু আমরা যদি আমাদের সঠিক পথে চালাতে না পারি ,জনগণের আস্থা অর্জন করতে না পারি, তাহলে আর কতদিন আমরা এই রাজনীতি করতে পারব ভেবে পাই না। যাই হোক, তোমরা আমার ছোট ভাই। আমি শাসন করতে পারি এবং করব। তাই আমার কথায় কারো মন খারাপ করার কোনো কারণ নেই। আমি তোমাদের ভবিষ্যতের জন্য বলছি।

মাসুক উদ্দিন আহমদ আরও বলেন, “জননেত্রী শেখ হাসিনা আজ প্রায় ১৬ বছর ধরে একাই দেশ চালাচ্ছেন। প্রশ্নই আসে না দেশে-বিদেশে তাঁকে সম্মান করা হয়। এসব দেখলে আমাদের হৃদয় বড় হয়ে যায়। আমাদের নেত্রী নিজেই সম্মানিত হন। তাই আমরা যদি আমাদের দেশে আমাদের নেতাকে অনুসরণ করতে না পারি, যদি আমরা তার কথা অনুসরণ করতে না পারি, তার দেওয়া রূপরেখাটি যদি আমরা পালন করতে না পারি, তাহলে আমরা আজ থেকে তোমাদের কাছে আমার অনুরোধ অন্তত, সবার ভুল থাকতে পারে, আমারও আছে আমরা সবার সঙ্গে বসব, এসব সরানোর ব্যবস্থা করব।

মাসুক উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাছির উদ্দিন খানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেশা হক, সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, সিলেট সিটি মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।

গতকালের আলোচনা সভায় দেওয়া বক্তৃতার বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুক উদ্দিন আহমদ  পত্রিকাকে বলেন, আমি সব বিষয়েই সাধারণ কথা বলেছি। তারা আমার ছোট ভাই, ছেলের সমান। আমরা যদি ভুলগুলো শোধরাতে না পারি, কে করবে? আর এই সাহস থাকা দরকার। সংশোধন না করে তারারে ব্যবহার করতাম এবং খারাপ সময়ে তা থেকে পালিয়ে যেতাম। আমার সেরকম চিন্তা নেই। তারা সবাই ভালো মানুষ, ভালো পরিবারের সন্তান। তাই বলেছি, ওদের নিয়ে ওদের বাবা-মায়ের স্বপ্ন আছে।

আরও পড়তে

Leave a Reply

Your email address will not be published.

X